৪৬৫৯

পরিচ্ছেদঃ ১১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীদের গালি দেয়া নিষেধ

৪৬৫৯। আমর ইবনু আবূ কুররা (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুযাইফাহ (রাঃ) মাদায়েনে অবস্থানকালে এমন কিছু কথা উল্লেখ করেন, যে কথাগুলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসন্তুষ্ট অবস্থায় কতিপয় সাহাবীকে বলেছিলেন। হুযাইফাহ (রাঃ)-এর কথাগুলো যারা শুনেছিল, তাদের কতক এসে সালমান (রাঃ)-এর নিকট হুযাইফাহ (রাঃ)-এর বক্তব্যে বর্ণনা দিলে সালমান (রাঃ) বলেন, হুযাইফাহ (রাঃ) যা বলেছেন, তা তিনিই ভালো জানেন। অতঃপর তারা হুযাইফাহ (রাঃ)-এর নিকট ফিরে এসে বললেন, আমরা সালমান (রাঃ)-এর নিকট আপনার কথাগুলো বলেছি কিন্তু তিনি আপনার কথার সমর্থন বা অসমর্থন কোনোটিই দেননি।

অতঃপর হুযাইফাহ (রাঃ) সালমান (রাঃ)-এর সঙ্গে সবজি বাগানে সাক্ষাৎ করে বলেন, হে সালমান! যে কথা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট শুনেছি, তার সমর্থন দিতে তোমাকে কিসে বিরত রেখেছে? সালমান (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসন্তুষ্ট হলে তাঁর কিছু সাহাবীকে কিছু কথা বলতেন এবং তাঁর সাহাবীদের মধ্যে কারো উপর সন্তুষ্ট হয়ে সন্তোষসূচ কিছু কথা বলতেন। যদি তুমি এ বিষয়গুলোর উল্লেখ থেকে বিরত না থাকো, তাহলে তুমি অনেক লোককে পরস্পর ভালবাসা ও বন্ধুত্বে আবদ্ধ করবে আর একদলকে পরস্পর মনমালিন্য ও অসন্তোষে ফেলবে, এতে দলাদলির সৃষ্টি হবে।

তুমি জানো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ভাষণে বলেছেন, আমার উম্মাতের যাকে আমি অসন্তুষ্ট অবস্থায় মন্দ বলি অভিশাপ দেই কেননা আদম সন্তান হিসেবে আমিও তাদের মতো অসন্তুষ্ট হয়ে থাকি। তিনি আমাকে সৃষ্টিকূলের জন্য করুণার আধার করে পাঠিয়েছেন। হে আল্লাহ! আমার গালি ও অভিশাপকে কিয়ামতের দিন তাদের জন্য রহমতে পরিবর্তন করো। আল্লাহর কসম! যদি তুমি বিরত না থাকো তাহলে আমি অবশ্যই উমার (রাঃ)-কে লিখে পাঠাবো। অতঃপর কিছু সংখ্যক লোকের দ্বারা তার উপর চাপ সৃষ্টি করা হলে তিনি তার কসম ভঙ্গের কাফফারা দিলেন, উমার (রাঃ)-কে চিঠি লিখেননি এবং কসম ভঙ্গের আগেই কাফফারা দিলেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, কসম ভঙ্গের (কাফফারা) আগে বা পরে দেয়া উভয়ই জায়িয।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي النَّهْيِ عَنْ سَبِّ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ بْنُ قُدَامَةَ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ قَيْسٍ الْمَاصِرُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي قُرَّةَ، قَالَ: كَانَ حُذَيْفَةُ بِالْمَدَائِنِ فَكَانَ يَذْكُرُ أَشْيَاءَ قَالَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لِأُنَاسٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فِي الْغَضَبِ، فَيَنْطَلِقُ نَاسٌ مِمَّنْ سَمِعَ ذَلِكَ مِنْ حُذَيْفَةَ فَيَأْتُونَ سَلْمَانَ فَيَذْكُرُونَ لَهُ قَوْلَ حُذَيْفَةَ، فَيَقُولُ سَلْمَانُ: حُذَيْفَةُ أَعْلَمُ بِمَا يَقُولُ، فَيَرْجِعُونَ إِلَى حُذَيْفَةَ فَيَقُولُونَ لَهُ قَدْ ذَكَرْنَا قَوْلَكَ لِسَلْمَانَ فَمَا صَدَّقَكَ وَلَا كَذَّبَكَ، فَأَتَى حُذَيْفَةُ سَلْمَانَ وَهُوَ فِي مَبْقَلَةٍ فَقَالَ: يَا سَلْمَانُ، مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تُصَدِّقَنِي بِمَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ سَلْمَانُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَغْضَبُ فَيَقُولُ فِي الْغَضَبِ لِنَاسٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، وَيَرْضَى فَيَقُولُ فِي الرِّضَا لِنَاسٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، أَمَا تَنْتَهِي حَتَّى تُوَرِّثَ رِجَالًا حُبَّ رِجَالٍ وَرِجَالًا بُغْضَ رِجَالٍ، وَحَتَّى تُوقِعَ اخْتِلَافًا وَفُرْقَةً؟ وَلَقَدْ عَلِمْتَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَ فَقَالَ: أَيُّمَا رَجُلٍ مِنْ أُمَّتِي سَبَبْتُهُ سَبَّةً، أَوْ لَعَنْتُهُ لَعْنَةً فِي غَضَبِي، فَإِنَّمَا أَنَا مِنْ وَلَدِ آدَمَ أَغْضَبُ كَمَا يَغْضَبُونَ، وَإِنَّمَا بَعَثَنِي رَحْمَةً لِلْعَالَمِينَ، فَاجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ صَلَاةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَاللَّهِ لَتَنْتَهِيَنَّ أَوْ لَأَكْتُبَنَّ إِلَى عُمَرَ

صحيح

حدثنا احمد بن يونس، حدثنا زاىدة بن قدامة الثقفي، حدثنا عمر بن قيس الماصر، عن عمرو بن ابي قرة، قال: كان حذيفة بالمداىن فكان يذكر اشياء قالها رسول الله صلى الله عليه وسلم: لاناس من اصحابه في الغضب، فينطلق ناس ممن سمع ذلك من حذيفة فياتون سلمان فيذكرون له قول حذيفة، فيقول سلمان: حذيفة اعلم بما يقول، فيرجعون الى حذيفة فيقولون له قد ذكرنا قولك لسلمان فما صدقك ولا كذبك، فاتى حذيفة سلمان وهو في مبقلة فقال: يا سلمان، ما يمنعك ان تصدقني بما سمعت من رسول الله صلى الله عليه وسلم؟ فقال سلمان: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يغضب فيقول في الغضب لناس من اصحابه، ويرضى فيقول في الرضا لناس من اصحابه، اما تنتهي حتى تورث رجالا حب رجال ورجالا بغض رجال، وحتى توقع اختلافا وفرقة؟ ولقد علمت ان رسول الله صلى الله عليه وسلم خطب فقال: ايما رجل من امتي سببته سبة، او لعنته لعنة في غضبي، فانما انا من ولد ادم اغضب كما يغضبون، وانما بعثني رحمة للعالمين، فاجعلها عليهم صلاة يوم القيامة والله لتنتهين او لاكتبن الى عمر صحيح


‘Amr b. Abl Qurrah said :
Hudhaifah was in al-Mada’in. He used to mention things which the Messenger of Allah (May peace be upon him) said to some people from among his Companions in anger. The people who heard from Hudhaifah would go to Salman and tell him what Hudhaifah said. Salman would say: Hudhaifah knows best what he says. Then they would come to Hudhaifah and tell him: We mentioned Salman what you said, but he neither testified you nor falsified you. So Hudhaifah came to salman who was in his vegetable farm, and said : Salman, what prevents you from testifying me of what I heard from the Messenger of Allah (May peace be upon him) ? Salman said: The Messenger of Allah (May peace be upon him) sometimes would be angry, and said in anger something to some of his Companions; he would be sometimes pleased and said in pleasure something to some of his Companions. Would you not stop until you create love of some people in the hearts of some people, and hatred of some people in the hearts of some people, and until you generate disagreement and dissension? You know that the Messenger of Allah (May peace be upon him) addressed, saying : If I abused any person of my people, or cursed him in my anger. I am one of the children of Adam : I become angry as they become angry. He (Allah) has sent me as a mercy for all worlds. (O Allah!) make them (Abuse or curse) blessing for them on the day of judgment! I swear by Allah. You should stop (mentioning these traditions), otherwise I shall writ to ‘Umar.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة)