২২৫৩

পরিচ্ছেদঃ ২৭. লি‘আন সম্পর্কে

২২৫৩। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক জুমু’আহর রাতে আমি মসজিদে উপস্থিত ছিলাম। তখন এক আনসারী ব্যক্তি মসজিদে এসে বললো, যদি কোনো ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে অন্য পুরুষকে অবৈধ কাজে লিপ্ত পায় এবং সে যদি তা প্রকাশ করে তাহলে অভিযোগকারীকে তোমরা মিথ্যাবাদীতার শাস্তি দিবে নাকি তাকে (যিনাকারীকে) হত্যা করার কারণে তাকেও হত্যা করবে? আর সে যদি নীরব থাকে তবে ক্ষোভ নিয়েই নীরব থাকবে। আল্লাহর শপথ! আমি এ বিষয়ে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করবো। অতঃপর ভোর বেলায় সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো, যদি কোনো ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে অন্য পুরুষকে অবৈধ কাজে লিপ্ত পায়, তাহলে আপনারা কি তাকে তা বলার অপরাধে মিথ্যাবাদীতার শাস্তি দিবেন? নাকি সে (যিনাকারীকে) হত্যা করলে (কিসাসস্বরূপ) তাকেও হত্যা করবেন, নাকি সে ক্ষোভ নিয়ে চুপ থাকবে?

তার কথা শুনে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ ’হে আল্লাহ! সঠিক তথ্য প্রকাশ করে দিন’ এবং তিনি দু’আ করতে থাকলেন। অতঃপর লি’আনের আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ ’’এবং যারা নিজেদের স্ত্রীদের উপর যিনার অভিযোগ দেয় অথচ তাদের কাছে তারা ছাড়া অন্য কেউ সাক্ষী নেই...’’ (সূরা আন-নূরঃ ৬) বস্তুত লোকটিই এ গুরুতর ব্যাপারে জড়িয়ে পড়েছিল।

পরে সে ও তার স্ত্রী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে লি’আন করলো এবং সে ব্যক্তি আল্লাহর শপথ দ্বারা চারবার শপথ করলো যে, সে তার দাবীতে সত্যবাদী। আর পঞ্চমবারে সে বললো, তার উপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক যদি সে মিথ্যাবাদী হয়ে থাকে। অতঃপর উক্ত মহিলা লি’আন করতে উদ্যত হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ থামো! কিন্তু সে বিরত থাকতে অস্বীকার করলো এবং লি’আন করলো। উভয় লি’আনকারী চলে গেলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সম্ভবত সে কালো ও স্থুলদেহী সন্তান প্রসব করবে। পরে তাই হলো, সে কালো ও স্থুলদেহী সন্তানই প্রসব করলো।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي اللِّعَانِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: إِنَّا لَلَيْلَةُ جُمُعَةٍ فِي الْمَسْجِدِ، إِذْ دَخَلَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ فِي الْمَسْجِدِ، فَقَالَ: لَوْ أَنَّ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا فَتَكَلَّمَ بِهِ جَلَدْتُمُوهُ، أَوْ قَتَلَ قَتَلْتُمُوهُ؟ فَإِنْ سَكَتَ سَكَتَ عَلَى غَيْظٍ، وَاللَّهِ لَأَسْأَلَنَّ عَنْهُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْغَدِ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ، فَقَالَ: لَوْ أَنَّ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا فَتَكَلَّمَ بِهِ جَلَدْتُمُوهُ، أَوْ قَتَلَ قَتَلْتُمُوهُ أَوْ سَكَتَ سَكَتَ عَلَى غَيْظٍ؟، فَقَالَ: اللَّهُمَّ افْتَحْ، وَجَعَلَ يَدْعُو، فَنَزَلَتْ آيَةُ اللِّعَانِ: وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلَّا أَنْفُسُهُمْ هَذِهِ الْآيَةَ، فَابْتُلِيَ بِهِ ذَلِكَ الرَّجُلُ مِنْ بَيْنِ النَّاسِ، فَجَاءَ هُوَ وَامْرَأَتُهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَلَاعَنَا: فَشَهِدَ الرَّجُلُ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنَ الصَّادِقِينَ، ثُمَّ لَعَنَ الْخَامِسَةَ عَلَيْهِ إِنْ كَانَ مِنَ الْكَاذِبِينَ، قَالَ: فَذَهَبَتْ لِتَلْتَعِنَ، فَقَالَ لَهَا: النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَهْ، فَأَبَتْ، فَفَعَلَتْ، فَلَمَّا أَدْبَرَا، قَالَ: لَعَلَّهَا أَنْ تَجِيءَ بِهِ أَسْوَدَ جَعْدًا فَجَاءَتْ بِهِ أَسْوَدَ جَعْدًا

صحيح

حدثنا عثمان بن ابي شيبة، حدثنا جرير، عن الاعمش، عن ابراهيم، عن علقمة، عن عبد الله بن مسعود قال: انا لليلة جمعة في المسجد، اذ دخل رجل من الانصار في المسجد، فقال: لو ان رجلا وجد مع امراته رجلا فتكلم به جلدتموه، او قتل قتلتموه؟ فان سكت سكت على غيظ، والله لاسالن عنه رسول الله صلى الله عليه وسلم، فلما كان من الغد اتى رسول الله صلى الله عليه وسلم فساله، فقال: لو ان رجلا وجد مع امراته رجلا فتكلم به جلدتموه، او قتل قتلتموه او سكت سكت على غيظ؟، فقال: اللهم افتح، وجعل يدعو، فنزلت اية اللعان: والذين يرمون ازواجهم ولم يكن لهم شهداء الا انفسهم هذه الاية، فابتلي به ذلك الرجل من بين الناس، فجاء هو وامراته الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فتلاعنا: فشهد الرجل اربع شهادات بالله انه لمن الصادقين، ثم لعن الخامسة عليه ان كان من الكاذبين، قال: فذهبت لتلتعن، فقال لها: النبي صلى الله عليه وسلم مه، فابت، ففعلت، فلما ادبرا، قال: لعلها ان تجيء به اسود جعدا فجاءت به اسود جعدا صحيح


‘Abd Allah (bin Mas’ud) said “We were in the mosque on the night of a Friday, suddenly a man from the Ansar entered the mosque”. And said “If a man finds a man along with wife and declares (about her adultery) you will flog him. Or if he kills you, you will kill him or if keeps silence he will keep silence in anger. I swear by Allaah, I shall ask the Apostle of Allaah(ﷺ) about it”. On the next day he came to the Apostle of Allaah(ﷺ) and said “If a man finds a man along with wife and declares (about her adultery) you will flog him. Or if he kills you, you will kill him or if keeps silence he will keep silence in anger.” He said “O Allaah, disclose”. He kept on praying until the verses regarding invoking curses (li’an) came down “As for those who accuse their wives but have no witnesses except themselves.” So, the man was first involved in this trial among the people. He and his wife came to the Apostle of Allaah(ﷺ). They invoked curses on each other. The man bore witness before Allaah four times that the thing he said was indeed true. He then invoked curse of Allaah on him for the fifth time if he was a liar. She then wanted to invoke curses of Allaah on him. The Prophet (ﷺ) said “Do not do that. Bust she refused and did so (i.e., invoked curses). When they returned he said “Perhaps she will give birth to a black child with curly hair.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৭/ তালাক (كتاب الطلاق)