২১০৩

পরিচ্ছেদঃ ২৮. জন্মগ্রহণের আগেই বিয়ে দেয়া

২১০৩। সারাহ্ বিনতু মিকসাম (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি মায়মূনা বিনতু কারদাম (রাযি.)-কে বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজের (হজ্জের) বছরে আমি আমার পিতার সাথে বের হলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখে আমার পিতা তাঁর নিকট উপস্থিত হলেন। এ সময় তিনি তাঁর উষ্ট্রীর উপর ছিলেন এবং তাঁর সাথে ছিলো শিক্ষকদের হাতে যেরূপ দোররা থাকে সেরূপ দোররা। এ সময় আমি আরব ও অন্যান্যদের বলে শুনলাম, দোররা দূরে থাকো, দোররা থেকে দূরে থাকো, দোররা থেকে দূরে থাকো।

অতঃপর আমার পিতা তাঁর কাছে গিয়ে তার পা দু’খানা জড়িয়ে ধরে তাঁর রিসালাতের স্বীকৃতি দেন, তার কাছে অবস্থান করেন এবং তাঁর কথা শুনেন। আমার পিতা বলেন, আমি (জাহিলী যুগে) ’আসরান’ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। ইবনুল মুসান্নার বর্ণনায় রয়েছে ’গাস্‌রান।’ তখন তারিক ইবনুল মুরাক্কা’ বললো, আমাকে এর বিনিময়ে কে একটি তীর দিবে? আমি বললাম, এর বিনিময় কি? সে বললো, আমার সর্বপ্রথম যে কন্যাটি জন্মগ্রহণ করবে তাকে তার সাথে বিয়ে দিবো। আমি আমার তীরটি তাকে দিলাম।

এরপর আমি তাদের কাছ থেকে চলে গেলাম। পরে আমি জানতে পারলাম, তার কন্যা সন্তান জন্ম হয়েছে এবং সে সাবিলাকাও হয়েছে। অতঃপর আমি তার নিকট গিয়ে বললাম, আমার স্ত্রী আমাকে দিন। সুতরাং তারা তাকে আমার নিকট সোর্পদ করতে প্রস্তুতি নিলো। কিন্তু সে (পিতা) শপথ করে বললো, অতিরিক্ত কিছু মোহর না দিলে কন্যাকে দিবো না। অপরদিকে আমিও শপথ করি, তাকে পূর্বে যা দিয়েছি, তা ছাড়া অতিরিক্ত কিছুই দিবো না।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ বর্তমানে সে একজন মহিলা। হয় তো সে তোমাকে (বৃদ্ধ) দেখেছে। তিনি আরো বললেনঃ আমি ইচ্ছা, তুমি তাকে ত্যাগ করো। তিনি (কারদাম), বলেন, আমি আমার শপথের জন্য ভীত হলাম এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দিকে তাকালাম। তিনি আমার অবস্থা অনুধাবন করে বললেনঃ (শপথের কারণে) তোমার কোনো গুনাহ হবে না এবং তোমার প্রতিপক্ষেরও কোনো গুনাহ হবে না।[1]

দুর্বল।

بَابٌ فِي تَزْوِيجِ مَنْ لَمْ يُولَدْ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْمَعْنَى، قَالَا: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ مِقْسَمٍ الثَّقَفِيُّ، مِنْ أَهْلِ الطَّائِفِ، حَدَّثَتْنِي سَارَةُ بِنْتُ مِقْسَمٍ، أَنَّهَا سَمِعَتْ مَيْمُونَةَ بِنْتَ كَرْدَمٍ، قَالَتْ: خَرَجْتُ مَعَ أَبِي فِي حَجَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَنَا إِلَيْهِ أَبِي وَهُوَ عَلَى نَاقَةٍ لَهُ فَوَقَفَ لَهُ وَاسْتَمَعَ مِنْهُ وَمَعَهُ دِرَّةٌ كَدِرَّةِ الْكُتَّابِ، فَسَمِعْتُ الْأَعْرَابَ وَالنَّاسَ وَهُمْ يَقُولُونَ: الطَّبْطَبِيَّةَ الطَّبْطَبِيَّةَ الطَّبْطَبِيَّةَ، فَدَنَا إِلَيْهِ أَبِي، فَأَخَذَ بِقَدَمِهِ، فَأَقَرَّ لَهُ، وَوَقَفَ عَلَيْهِ، وَاسْتَمَعَ مِنْهُ، فَقَالَ: إِنِّي حَضَرْتُ جَيْشَ، عِثْرَانَ، قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى: جَيْشَ غِثْرَانَ، فَقَالَ طَارِقُ بْنُ الْمُرَقَّعِ: مَنْ يُعْطِينِي رُمْحًا، بِثَوَابِهِ؟ قُلْتُ: وَمَا ثَوَابُهُ؟ قَالَ: أُزَوِّجُهُ أَوَّلَ بِنْتٍ تَكُونُ لِي، فَأَعْطَيْتُهُ رُمْحِي، ثُمَّ غِبْتُ عَنْهُ، حَتَّى عَلِمْتُ أَنَّهُ قَدْ وُلِدَ لَهُ جَارِيَةٌ وَبَلَغَتْ، ثُمَّ جِئْتُهُ فَقُلْتُ لَهُ: أَهْلِي جَهِّزْهُنَّ إِلَيَّ، فَحَلَفَ أَنْ لَا يَفْعَلَ حَتَّى أُصْدِقَهُ صَدَاقًا جَدِيدًا غَيْرَ الَّذِي كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ، وَحَلَفْتُ لَا أُصْدِقُ غَيْرَ الَّذِي أَعْطَيْتُهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَبِقَرْنِ أَيِّ النِّسَاءِ هِيَ الْيَوْمَ قَالَ: " قَدْ رَأَتِ الْقَتِيرَ، قَالَ: أَرَى أَنْ تَتْرُكَهَا قَالَ: فَرَاعَنِي ذَلِكَ، وَنَظَرْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ مِنِّي قَالَ: لَا تَأْثَمُ، وَلَا يَأْثَمُ صَاحِبُكَ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: الْقَتِيرُ الشَّيْبُ

ضعيف

حدثنا الحسن بن علي، ومحمد بن المثنى المعنى، قالا: حدثنا يزيد بن هارون، اخبرنا عبد الله بن يزيد بن مقسم الثقفي، من اهل الطاىف، حدثتني سارة بنت مقسم، انها سمعت ميمونة بنت كردم، قالت: خرجت مع ابي في حجة رسول الله صلى الله عليه وسلم فرايت رسول الله صلى الله عليه وسلم فدنا اليه ابي وهو على ناقة له فوقف له واستمع منه ومعه درة كدرة الكتاب، فسمعت الاعراب والناس وهم يقولون: الطبطبية الطبطبية الطبطبية، فدنا اليه ابي، فاخذ بقدمه، فاقر له، ووقف عليه، واستمع منه، فقال: اني حضرت جيش، عثران، قال ابن المثنى: جيش غثران، فقال طارق بن المرقع: من يعطيني رمحا، بثوابه؟ قلت: وما ثوابه؟ قال: ازوجه اول بنت تكون لي، فاعطيته رمحي، ثم غبت عنه، حتى علمت انه قد ولد له جارية وبلغت، ثم جىته فقلت له: اهلي جهزهن الي، فحلف ان لا يفعل حتى اصدقه صداقا جديدا غير الذي كان بيني وبينه، وحلفت لا اصدق غير الذي اعطيته، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: وبقرن اي النساء هي اليوم قال: " قد رات القتير، قال: ارى ان تتركها قال: فراعني ذلك، ونظرت الى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فلما راى ذلك مني قال: لا تاثم، ولا ياثم صاحبك. قال ابو داود: القتير الشيب ضعيف


Narrated Maymunah, daughter of Kardam:

I went out along with my father during the hajj performed by the Messenger of Allah (ﷺ). I saw the Messenger of Allah (ﷺ). My father came near him; he was riding his she-camel. He stopped there and listened to him. He had a whip like the whip of the teachers. I heard the Bedouin and the people saying: Keep away from the whip. My father came up to him. He caught hold of his foot and acknowledged him (his Prophethood). He stopped and listened to him.

He then said: I participated in the army of Athran (in the pre-Islamic days).

The narrator, Ibn al-Muthanna, said: Army of Gathran. Tariq ibn al-Muraqqa' said: Who will give me a lance and get a reward?

I asked: What is its reward? He replied: I shall marry him to my first daughter born to me. So I gave him my lance and then disappeared from him till I knew that a daughter was born to him and she came of age.

I then came to him and said: Send my wife to me. He swore that he would not do that until I fixed a dower afresh other than that agreed between me and him, and I swore that I should not give him the dower other than that I had given him before.

The Messenger of Allah (ﷺ) said: How old is she now?

He said: She has grown old. He said: I think you should leave her. He said: This put awe and fear into me, and I looked at the Messenger of Allah (ﷺ).

When he felt this in me, he said: You will not be sinful, nor will your companion be sinful.

Abu Dawud said: Qatir means old age.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)