১৯০১

পরিচ্ছেদঃ ৫৭. সাফা ও মারওয়ার মাঝে তাওয়াফ (সাঈ) করা

১৯০১। হিশাম ইবনু ’উরওয়াহ (রহ.) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী ’আয়িশাহ (রাঃ)-কে আমার ছেলে বেলায় জিজ্ঞেস করলাম, মহান পরাক্রমশালী আল্লাহর এ বাণী সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? ’’নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত।’’ আমি মনে করি, কেউ এই দুই পাহাড়ের মাঝে তাওয়াফ (সাঈ) না করলে তার কোনো গুনাহ হবে না। ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, ’কখনো নয়, তুমি এই আয়াতের যেরূপ ব্যাখ্যা করলে তা ঠিক হলে আয়াতটি হতো এরূপঃ ’’তার কোনো গুনাহ নেই যদি সে এই দুই পাহাড়ের মাঝে তাওয়াফ না করে।’’

মূলতঃ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়েছে আনসারদের সম্পর্কে। ইসলাম গ্রহণের পূর্বে তারা ’’মানাত’’ মূর্তির উদ্দেশ্যে ইহরাম বাঁধতো। আর এ মানাত মূর্তি ’’কুদাইদ’’ পাহাড় বরাবরে অবস্থিত ছিলো। সুতরাং তারা সাফা মারওয়ার মাঝে তাওয়াফ (সাঈ) করাকে আপত্তিকর ভাবতো। ইসলাম গ্রহণের পর এ বিষয়ে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলো। তখন মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ অবতীর্ণ করলেনঃ ’’নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয় আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত।’’ (সূরা আল-বাকারাহঃ ১৫৮)[1]

সহীহ।

بَابُ أَمْرِ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، ح وحَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ: قُلْتُ لِعَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَا يَوْمَئِذٍ حَدِيثُ السِّنِّ أَرَأَيْتِ قَوْلَ اللَّهِ تَعَالَى (إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ) [البقرة: ١٥٨] فَمَا أَرَى عَلَى أَحَدٍ شَيْئًا أَنْ لَا يَطَّوَّفَ بِهِمَا، قَالَتْ عَائِشَةُ: كَلَّا لَوْ كَانَ كَمَا تَقُولُ: كَانَتْ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لَا يَطَّوَّفَ بِهِمَا إِنَّمَا أُنْزِلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ فِي الْأَنْصَارِ كَانُوا يُهِلُّونَ لِمَنَاةَ وَكَانَتْ مَنَاةُ حَذْوَ قُدَيْدٍ، وَكَانُوا يَتَحَرَّجُونَ أَنْ يَطُوفُوا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، فَلَمَّا جَاءَ الْإِسْلَامُ سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى (إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ) [البقرة: ١٥٨]
صحيح

حدثنا القعنبي، عن مالك، عن هشام بن عروة، ح وحدثنا ابن السرح، حدثنا ابن وهب، عن مالك، عن هشام بن عروة، عن ابيه، انه قال: قلت لعاىشة زوج النبي صلى الله عليه وسلم، وانا يومىذ حديث السن ارايت قول الله تعالى (ان الصفا والمروة من شعاىر الله) [البقرة: ١٥٨] فما ارى على احد شيىا ان لا يطوف بهما، قالت عاىشة: كلا لو كان كما تقول: كانت فلا جناح عليه ان لا يطوف بهما انما انزلت هذه الاية في الانصار كانوا يهلون لمناة وكانت مناة حذو قديد، وكانوا يتحرجون ان يطوفوا بين الصفا والمروة، فلما جاء الاسلام سالوا رسول الله صلى الله عليه وسلم عن ذلك فانزل الله تعالى (ان الصفا والمروة من شعاىر الله) [البقرة: ١٥٨] صحيح


‘Urwa bin Al Zubair said I said to A’ishah, wife of the Prophet(ﷺ) while I was a boy. What do you think about the pronouncement of Allaah, the Exalted “Lo! (The Mountains) Al Safa’ and Al Marwah are among the indications of Allaah. “I think there is no harm for anyone if he does not run between them. A’ishah(may Allah be pleased with her) said Nay, had it been so as you said, it would have been thus. It is no sin on him not to go around them. This verse was revealed about the Ansaar, they used to perform hajj for Manat. Manat was erected in front of Qudaid. Hence they used to avoid going around Al Safa and Al Marwah. When Islam came, they asked the Apostle of Allaah(ﷺ) about it. Allaah, the Exalted therefore revealed the verse “Lo! (The Mountains) Al Safa’ and Al Marwah are among the indications of Allaah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৫/ হাজ্জ (হজ্জ/হজ) (كتاب المناسك)