পরিচ্ছেদঃ ২৪. কাকে যাকাত দিবে এবং ধনীর পরিচয়
১৬২৭। ’আত্বা ইবনু ইয়াসার (রহঃ) হতে বনী আসাদের এক ব্যক্তি সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি ও আমার পরিবার-পরিজন বাকী’ আল-গারকাদ (কবরস্থানে) যাত্রাবিরতী করি। আমার স্ত্রী বললো, আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গিয়ে আমাদের আহারের জন্য কিছু খাবার চান। পরিবারের প্রত্যেকেই তাদের প্রয়োজন বর্ণনা করলো। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গিয়ে দেখি, এক লোক তাঁর নিকট কিছু চাইছে। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেন, আমার কাছে তোমাকে দেয়ার মতো কিছু নাই। অতঃপর লোকটি রাগান্বিত অবস্থায় একথা বলতে বলতে চলে গেলো যে, আমার জীবনের শপথ! আপনি কেবল আপনার পছন্দের লোককেই দিয়ে থাকেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ ব্যক্তি আমার উপর এ জন্যই ক্ষুদ্ধ হয়েছে যে, আমি তাকে দিতে পারলাম না। তোমাদের যে কেউ ভিক্ষা করে, অথচ তার এক ’উকিয়া বা তার সমপরিমাণ সম্পদ আছে, সে তো বিরক্ত করার জন্যই ভিক্ষা করে। আসাদী লোকটি বলেন, (আমি ভাবলাম) আমাদের একটি উষ্ট্রী আছে, যা উকিয়ার চাইতে উত্তম, এক উকিয়া হচ্ছে চল্লিশ দিরহাম। অতঃপর আমি তার কাছে কিছু না চেয়েই ফিরে আসি। পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কিছু যব ও কিশমিশ এলে তিনি তা থেকে আমাদেরকেও একভাগ দিলেন, অথবা বর্ণনাকার বলেছেনঃ এমনকি মহান আল্লাহ আমাদেরকে সম্পদশালী করেন।[1]
সহীহ।
باب مَنْ يُعْطَى مِنَ الصَّدَقَةِ وَحَدِّ الْغِنَى
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي أَسَدٍ أَنَّهُ قَالَ نَزَلْتُ أَنَا وَأَهْلِي، بِبَقِيعِ الْغَرْقَدِ فَقَالَ لِي أَهْلِي اذْهَبْ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَسَلْهُ لَنَا شَيْئًا نَأْكُلُهُ فَجَعَلُوا يَذْكُرُونَ مِنْ حَاجَتِهِمْ فَذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَوَجَدْتُ عِنْدَهُ رَجُلاً يَسْأَلُهُ وَرَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لَا أَجِدُ مَا أُعْطِيكَ " . فَتَوَلَّى الرَّجُلُ عَنْهُ وَهُوَ مُغْضَبٌ وَهُوَ يَقُولُ لَعَمْرِي إِنَّكَ لَتُعْطِي مَنْ شِئْتَ . فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " يَغْضَبُ عَلَىَّ أَنْ لَا أَجِدَ مَا أُعْطِيهِ مَنْ سَأَلَ مِنْكُمْ وَلَهُ أُوقِيَّةٌ أَوْ عَدْلُهَا فَقَدْ سَأَلَ إِلْحَافًا " . قَالَ الأَسَدِيُّ فَقُلْتُ لَلَقِحَةٌ لَنَا خَيْرٌ مِنْ أُوقِيَّةٍ وَالأُوقِيَّةُ أَرْبَعُونَ دِرْهَمًا . قَالَ فَرَجَعْتُ وَلَمْ أَسْأَلْهُ فَقَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم بَعْدَ ذَلِكَ شَعِيرٌ أَوْ زَبِيبٌ فَقَسَمَ لَنَا مِنْهُ - أَوْ كَمَا قَالَ - حَتَّى أَغْنَانَا اللهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَكَذَا رَوَاهُ الثَّوْرِيُّ كَمَا قَالَ مَالِكٌ .
- صحيح
‘Ata’ b. Yasar said :
A man from Banu Asad said : I and my family alighted at Baqi al-Gharqad. My wife said to me : Go the Messenger of Allah(ﷺ) and beg something from him for our eating, and made a mention of there need. So I went to the Messenger of Allah(May peace be upon him). I found with a man who was begging from him and he was saying to him: I have nothing to give you. The man turned away from him in anger while he was saying: By my life, you give anyone you wish. The Messenger of Allah(May peace be upon him) said : He’s anger with me, for I have nothing to give him. If any of you begs when he has an Uqiyah or its equivalent, he has begged immoderately. The man of Banu Asad said : So I said : The she camel of ours is better than an uqiyah, while an uqiyah is equivalent to 40 Dirhams. I therefore returned and did not beg from him. Afterwards some barley and raisins where brought to the Messenger of Allah (May peace be upon him). He gave us a share from them (or as he reported)till Allah, the Exalted, made us self-sufficient(i.e well off).
Abu Dawud said: Al-Thawri narrated it as Malik narrated.