২৫৭২

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - মক্কায় প্রবেশ করা ও তাওয়াফ প্রসঙ্গে

২৫৭২-[১২] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে (হজের উদ্দেশে) রওনা হলাম। তখন আমরা হজ্জ/হজ ছাড়া অন্য কিছুর (’উমরার) তালবিয়াহ্ পড়তাম না। আমরা ’সারিফ’ নামক স্থানে পৌঁছলে আমার ঋতুস্রাব শুরু হয়ে গেলো। এমন সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে আসলেন। আমি হজ্জ/হজ করতে পারবো না বিধায় কাঁদছিলাম। (কাঁদতে দেখে) তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, মনে হয় তোমার ঋতুস্রাব শুরু হয়েছে। আমি বললাম, হ্যাঁ! তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এটা এমন বিষয় যা আল্লাহ তা’আলা আদম-কন্যাদের জন্য নির্ধারণ করেছেন। তাই হাজীগণ যা করে তুমিও তা করতে থাকো, তবে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তুমি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ থেকে বিরত থাকো। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ دُخُوْلِ مَكَّةَ وَالطَّوَافِ

وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا نَذْكُرُ إِلَّا الْحَجَّ فَلَمَّا كُنَّا بِسَرِفَ طَمِثْتُ فَدَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَبْكِي فَقَالَ: «لَعَلَّكِ نَفِسْتِ؟» قُلْتُ: نَعَمْ قَالَ: «فَإِنَّ ذَلِكِ شَيْءٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ فَافْعَلِي مَا يَفْعَلُ الْحَاجُّ غَيْرَ أَنْ لَا تَطُوفِي بِالْبَيْتِ حَتَّى تَطْهُرِي»

وعن عاىشة قالت: خرجنا مع النبي صلى الله عليه وسلم لا نذكر الا الحج فلما كنا بسرف طمثت فدخل النبي صلى الله عليه وسلم وانا ابكي فقال: «لعلك نفست؟» قلت: نعم قال: «فان ذلك شيء كتبه الله على بنات ادم فافعلي ما يفعل الحاج غير ان لا تطوفي بالبيت حتى تطهري»

ব্যাখ্যা: সারিফ মক্কা হতে দশ মাইল দূরে একটি প্রসিদ্ধ জায়গার নাম। ষষ্ঠ হিজরীর অনাদায়ী ‘উমরা কাযা করার উদ্দেশে সপ্তম হিজরীতে মক্কা যাওয়ার পথে এ সারিফ নামক স্থানেই মায়মূনাহ্’র সাথে ইহরাম অবস্থায় রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিবাহ হয় এবং ফিরার পথে এ স্থানেই হালাল অবস্থায় তার বাসর রাত্রি যাপন হয় এবং পরের দিন ওয়ালীমা অনুষ্ঠান হয়। হিজরী ৬১ মতান্তরে ৫১ সনে এ স্থানেই মায়মূনাহ্ (রাঃ) ইন্তিকাল করেন এবং সেখানেই তিনি সমাধিত হন। বর্তমানে স্থানটি যিয়ারতগাহ হিসেবে প্রসিদ্ধ।

বর্ণিত হাদীসটি থেকে বুঝা যায় যে, হায়িয ও নিফাসগ্রস্থ মহিলা এবং জুনুবী ব্যক্তি হজ্জের তাওয়াফ ব্যতীত যাবতীয় সব কাজ করতে পারবে। হ্যাঁ- তাওয়াফের অনুগামী হিসেবে তাওয়াফের দু’ রাক্‘আত সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) ও সা‘ঈও করতে পারবে না।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১১: হজ্জ (كتاب المناسك)