২২৭০

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়াতা‘আলার জিকির ও তাঁর নৈকট্য লাভ

২২৭০-[১০] ’আবদুল্লাহ ইবনু বুসর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার এক বিদুঈন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল, সর্বোত্তম ব্যক্তি কে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ সৌভাগ্যবান সে ব্যক্তি, যে দীর্ঘ হায়াত পেয়েছে এবং যার ’আমল নেক হয়েছে। সে ব্যক্তি আবার জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রসূল! কোন ’আমল সর্বোত্তম? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি যখন দুনিয়া ছেড়ে চলে যাবে তখন তোমার মুখে আল্লাহর জিকিররত থাকবে। (তিরমিযী; আহমদ)[1]

وَعَن عبد الله بن يسر قَالَ: جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: أَيُّ النَّاسِ خَيْرٌ؟ فَقَالَ: «طُوبَى لِمَنْ طَالَ عُمْرُهُ وَحَسُنَ عَمَلُهُ» قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ الْأَعْمَالِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: ( «ن تُفَارِقَ الدُّنْيَا وَلِسَانُكَ رَطْبٌ مِنْ ذِكْرِ اللَّهِ» رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ

وعن عبد الله بن يسر قال: جاء اعرابي الى النبي صلى الله عليه وسلم فقال: اي الناس خير؟ فقال: «طوبى لمن طال عمره وحسن عمله» قال: يا رسول الله اي الاعمال افضل؟ قال: ( «ن تفارق الدنيا ولسانك رطب من ذكر الله» رواه احمد والترمذي

ব্যাখ্যা: (وَحَسُنَ عَمَلُه) ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেন, সময় হচ্ছে ব্যবসায়ের মূলধনের মতো যে ব্যবসায়ের মূলধন যত বেশি হবে তার লাভ তত বেশি হবে। সে মূলধন নিয়ে যত বেশি পরিশ্রম করবে তার লাভও তত বেশি হবে। সুতরাং যে বেশি হায়াত পাবেন তার লাভ তত বেশি হবে। অনুরূপ বেশি হায়াত পেয়ে যত বেশি সৎ ‘আমল করবে তার নেকীও তত বেশি হবে। আর যদি মূলধন তথা সময় নষ্ট করে তাহলে সে স্পষ্ট ক্ষতির মধ্যে নিপতিত হবে।

হাফেয ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) বলেন, অত্র হাদীসে ভাল সৎকাজের প্রশংসা করা হয়েছে পাশাপাশি যারা এ ভাল কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকবে তাদের জন্য বিশ্বনাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু্‘আ করেছেন। তারা যেন দুনিয়ায় আখিরাত উভয় স্থানে ভাল থাকে। তবে অত্র হাদীসের বাহ্যিক অর্থ গ্রহণ করলে طوبى শব্দের অর্থ হবে خير তথা ভালো, কারণ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (طُوبٰى لِمَنْ طَالَ عُمْرُه وَحَسُنَ عَمَلُه) এ কথাটি বলেছেন প্রশ্নের উত্তরে। (أَيُّ النَّاسِ خَيْرٌ) দ্বারা জান্নাতের একটি গাছও উদ্দেশ্য হতে পারে, কারণ জান্নাতের একটি গাছ রয়েছে যার নাম طوبى (তূবা)।

একটি প্রশ্ন ও তার উত্তরঃ ইমাম আহমাদ ও তিরমিযী (রহঃ) অত্র হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তারা অত্র হাদীসের طوبى (তূবা) শব্দটি উল্লেখ করেননি, এর কারণ কি?

উত্তরঃ তারা হাদীসের বাহ্যিক দিকটি দৃষ্টিতে নিয়েছেন, কারণ হাদীসে প্রশ্নকারী প্রশ্ন করেছেন কে উত্তম? তার উত্তরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন উক্তি করেছেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৯: দু‘আ (كتاب الدعوات)