২২৫৬

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

২২৫৬-[৩৪] ’ইকরিমাহ্ (রহঃ) ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়ার নিয়ম হলো, নিজের হাত দু’টি কাঁধ পর্যন্ত অথবা কাঁধের কাছাকাছি পর্যন্ত উঠাবে। আর আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার বা ক্ষমা চাওয়ার নিয়ম হলো, তোমার একটি আঙ্গুল উঠিয়ে ইশারা করবে এবং আল্লাহর কাছে অনুনয় বিনয় করে প্রার্থনা করার নিয়ম হলো, তোমার দু’হাত একত্রে প্রসারিত করবে। অন্য এক বর্ণনায় আছে, তিনি বলেছেন, অনুনয় বিনয় করে প্রার্থনা করবে এভাবে- এরপর তিনি নিজের দু’হাত উপরের দিকে উঠিয়ে ধরলেন এবং তার উভয় হাতের পিঠ মুখমণ্ডলের নিকটবর্তী করলেন। (আবূ দাঊদ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: الْمَسْأَلَةُ أَنْ تَرْفَعَ يَدَيْكَ حَذْوَ مَنْكِبَيْكَ أَوْ نَحْوِهِمَا وَالِاسْتِغْفَارُ أَنْ تُشِيرَ بِأُصْبُعٍ وَاحِدَةٍ وَالِابْتِهَالُ أَنْ تَمُدَّ يَدَيْكَ جَمِيعًا
وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ: والابتهالُ هَكَذَا وَرَفَعَ يَدَيْهِ وَجَعَلَ ظُهُورَهُمَا مِمَّا يَلِي وَجْهَهُ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُ

وعن عكرمة عن ابن عباس رضي الله عنهما قال: المسالة ان ترفع يديك حذو منكبيك او نحوهما والاستغفار ان تشير باصبع واحدة والابتهال ان تمد يديك جميعا وفي رواية قال: والابتهال هكذا ورفع يديه وجعل ظهورهما مما يلي وجهه. رواه ابو داو

ব্যাখ্যা: (الْمَسْأَلَةُ) শব্দটি মাসদার-এর সম্বন্ধীয় (مضاف) কে হযফ করা হয়েছে। অর্থাৎ- (الْمَسْأَلَةُ) অর্থ আল্লাহর নিকট দু‘আ করার আদব।

(أَنْ تُشِيرَ بِأُصْبُعٍ وَاحِدَةٍ) যে আঙ্গুলটির মাধ্যমে ইশারা করতে বলা হয়েছে তা হলো ‘‘আস্ সাবা-বাহ্’’ (শাহাদাত বা তর্জনী অঙ্গুলি দ্বারা) ইশারা করার উদ্দেশ্য হলো অন্তরের কুমন্ত্রণা ও শয়তানের ধোঁকা বন্ধ করা যা নাড়াতে শয়তান প্রচন্ড কষ্ট পায় এবং এ দু’টি থেকে আল্লাহর নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করা।

ইমাম ত্বীবী বলেছেনঃ এখানে একটি আঙ্গুলের কথা বলার কারণ হলো রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’টি আঙ্গুলের মাধ্যমে ইশারা অপছন্দ করতেন।

(الِابْتِهَالُ) বলা হয় অন্তর থেকে অপছন্দনীয় সব জিনিস দূরীভূত করে দু‘আর ক্ষেত্রে খুবই নমনীয় ও বিনয়ী হওয়া।

(يَدَيْهِ وَجَعَلَ ظُهُورَهُمَا مِمَّا يَلِىْ وَجْهَه) ইবনু ‘আব্বাস হাত দু’টি দু‘আর সময় একদমই উঁচু করে ধরতেন, এমনকি তা মাথার উপর উঠে যেত।

‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ এখানে ‘‘ইবতিহা-ল’’ মানে হয় তো তিনি ‘আযাব থেকে বাঁচার জন্য হাত দু’টিকে ঢালস্বরূপ রাখতে চেয়েছেন। উপরোক্ত দু’ বর্ণনার পার্থক্য হলো, প্রথম বর্ণনায় ‘‘ইবতিহা-ল’’ বক্তব্যমূলক (قوله) আর দ্বিতীয় বর্ণনায় ‘‘ইবতিহা-ল’’ কর্মমূলক (فعلى)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইকরিমা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৯: দু‘আ (كتاب الدعوات)