পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
২২২৪-[২] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে একটি ওয়া’দা কামনা করছি, (আমার বিশ্বাস) সে ওয়া’দাপানে কক্ষনো তুমি আমাকে বিমুখ করবে না। আমি তো মানুষ মাত্র। তাই আমি কোন মু’মিনকে কষ্ট দিয়েছি, গালি দিয়েছি, অভিশাপ দিয়েছি বা মেরেছি- আমার এ কাজকে তুমি তার জন্য কিয়ামতের দিন রহমত, পবিত্রতা ও তোমার নৈকট্য লাভের উপায় বানিয়ে দাও। (বুখারী, মুসলিম)[1]
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُمَّ إِنِّي اتَّخَذْتُ عِنْدَكَ عَهْدًا لَنْ تُخْلِفَنِيهِ فَإِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ فَأَيُّ الْمُؤْمِنِينَ آذَيْتُهُ شَتَمْتُهُ لَعَنْتُهُ جَلَدْتُهُ فَاجْعَلْهَا لَهُ صَلَاةً وَزَكَاةً وَقُرْبَةً تُقَرِّبُهُ بِهَا إِلَيْكَ يَوْم الْقِيَامَة»
ব্যাখ্যা: ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, বিশ্বনাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে তার উম্মাতের কল্যাণ, সমৃদ্ধি কামনা এবং তাদের প্রতি যে, তার চরম ও পরম দয়া ভালবাসা ছিল হাদীসটি তার জ্বলন্ত প্রমাণ।
গুটি কয়েক প্রশ্ন ও তার উত্তর:
প্রথম প্রশ্নঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন মুসলিমকে অভিশাপ দিয়ে থাকলেই যদি সেটা ঐ মুসলিমের জন্য রহমাত ও বারাকাতের কারণ হয় তাহলে তিনি তো একাধারে ছবি অঙ্কনকারী, যারা নিজ পিতা ব্যতীত অন্য কোন লোককে পিতা দাবী করে, চোর, মদপানকারী, সুদখোর ইত্যাদি ব্যক্তিদেরও অভিশাপ দিয়েছেন। সুতরাং এদের ক্ষেত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অভিশাপ অভিশাপ না হয়ে রহমাত স্বরূপ হবে কি?
উত্তরঃ অত্র হাদীসের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যারা আসলে অভিশাপের উপযুক্ত নয়, বাহ্যিকদৃষ্টে তাদেরকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিশাপ দিয়েছেন তারাই উক্ত হাদীসের উদ্দেশ্য। অপরদিকে কাফির, মুশরিক, কবরপূজারী, চোর, সুদখোর ও ছবি অঙ্কনকারী এরা তো অভিশাপের উপযুক্ত, তাই তাদের জন্য অভিশাপটি রহমাত স্বরূপ হবে না যেমনটি হয়েছিল অভিশাপের অনুপযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য।
দ্বিতীয় প্রশ্নঃ তাহলে যারা অভিশাপের উপযুক্ত নয় তাদেরকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিভাবে অভিশাপ করতে পারেন?
উত্তরঃ আভ্যন্তরীণ ও বস্ত্তত সে অভিশাপের উপযুক্ত নয় তবে বাহ্যিক দিক থেকে মনে হওয়ার কারণে হয়তো এমনটা ঘটে যেতে পারে।