২১৭৮

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

২১৭৮-[৭০] মা’কাল ইবনু ইয়াসার আল মুযানী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে সূরা ইয়াসীন পড়বে, তার আগের গুনাহসমূহ (সগীরাহ্) মাফ করে দেয়া হবে। তাই তোমরা তোমাদের মৃত্যু (আসন্ন) ব্যক্তিদের কাছে এ সূরা পড়বে। (বায়হাক্বী- শু’আবূল ঈমান)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَن معقل بن يسَار الْمُزنِيّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ قَرَأَ (يس)
ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللَّهِ تَعَالَى غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنبه فاقرؤوها عِنْدَ مَوْتَاكُمْ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ

وعن معقل بن يسار المزني رضي الله عنه ان النبي صلى الله عليه وسلم قال: «من قرا (يس) ابتغاء وجه الله تعالى غفر له ما تقدم من ذنبه فاقرووها عند موتاكم» . رواه البيهقي في شعب الايمان

ব্যাখ্যা: (اِبْتِغَاءَ وَجْهِ اللّٰهِ تَعَالٰى) আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, এ বাক্যের ব্যাখ্যায় বলা হয় أي طلباً لرضاه তার রেজামন্দির জন্যই, অন্য কোন উদ্দেশে নয়। মানাবী বলেন, এর অর্থ হলো আখিরাতে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন; জান্নাত অর্জন নয় এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তিও নয়। আল্লাহ তা‘আলাই যদি সন্তুষ্ট হয়ে যান তাহলে তার জান্নাতের আর কি প্রয়োজন? ঠিক অনুরূপভাবে জাহান্নামেরই বা তার কিসের ভয়?

সূরা ইয়াসীন পাঠকারীর পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে, এ গুনাহ হলো সগীরাহ্ গুনাহ। মুল্লা ‘আলী আল কারী বলেন, আল্লাহ যাকে চাইবেন তার কাবীরাহ্ গুনাহ-ও মাফ করে দিবেন। মৃত ব্যক্তির নিকট সূরা ইয়াসীন পড়ার অর্থ হলো মৃত পথযাত্রীর নিকট পড়া অর্থাৎ- যার মৃত্যু আসন্ন হয়েছে এমন ব্যক্তির নিকট।

‘আল্লামা ত্বীবী বলেন, فاقرؤوها শব্দের মধ্যে ف বর্ণটি একটি উহ্য শর্তের জওয়াবে ব্যবহার হয়েছে। অর্থাৎ- ইখলাসের সাথে সূরা ইয়াসীন পাঠ করলে সমস্ত গুনাহ যখন মাফ হয়ে যায় সুতরাং মৃত্যুর মুখোমুখি ব্যক্তির নিকট সেটা পাঠ করো যাতে সে সেটা শুনতে পারে এবং তার অন্তরে ওটা জারি হতে পারে, ফলে আল্লাহ তা‘আলা তার পূর্বের যাবতীয় গুনাহ ক্ষমা করে দেন।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৮: কুরআনের মর্যাদা (كتاب فضائل القراٰن)