২০৯০

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - লায়লাতুল কদর

২০৯০-[৮] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাযানের শেষ দশ দিন এলে ’ইবাদাতের জন্য জোর প্রস্তুতি নিতেন। রাত জেগে থাকতেন, নিজের পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ لَيْلَةِ الْقَدْرِ

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ الْعَشْرُ شَدَّ مِئْزَرَهُ وَأَحْيَا ليله وَأَيْقَظَ أَهله

وعن عاىشة رضي الله عنها قالت: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا دخل العشر شد مىزره واحيا ليله وايقظ اهله

ব্যাখ্যা: এখানে( شَدَّ مِئْزَرَه) এর অর্থ ‘উলামাগণের মাঝে মতপার্থক্য রয়েছে। তবে বিশুদ্ধ মত হলো, ‘ইবাদাতের মাধ্যমে ব্যস্ততার জন্য নারীদের থেকে দূরে থাকাই (شَدَّ مِئْزَرَه) এর উদ্দেশ্য। আর সালাফে সলিহীন ও পূর্ববর্তী ইমামগণ তার বিশ্লেষণ করেন এবং আস্ সাওরী তার প্রতি নিশ্চিত সমর্থন দিয়েছেন এবং কবীর কাব্য দ্বারা দলীল দিয়েছেন।

قوم إذا حاربوا شدوا مآزرهم عن النساء ولو باتت بأطهار.

অর্থাৎ- যখন কোন সম্প্রদায় যুদ্ধ করে, তাদের কোমর নারীদের থেকে শক্তভাবে বাঁধবে, যদিও রমণী পবিত্রতায় রাত যাপন করে।

আর নিশ্চয়ই এটি রমাযানের শেষের জন্য খাসকরণ ‘ইবাদাতের সময় বের করা তাতে সহজ, অতঃপর তাতে ‘ইবাদাতের ইজতিহাদ করা যায়, কারণ তা শেষের ‘আমল, আর শেষের ‘আমলই উত্তম। তিরমিযীর বর্ণনায় উম্মু সালামাহ্ হতে বর্ণিত, তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার পরিবার হতে যে কিয়াম করতে সক্ষম, তাকে কিয়াম ছাড়া রাখতেন না।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم)