২০১২

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সওম পবিত্র করা

২০১২-[১৪] শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রমাযান (রমজান) মাসের আঠার তারিখে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাক্বী’তে (মদীনার কবরস্থানে) এমন এক লোকের কাছে আসলেন, যে শিঙ্গা লাগাচ্ছিল। এ সময় তিনি আমার হাত ধরেছিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যে শিঙ্গা লাগায় ও যে শিঙ্গা দেয় উভয়েই নিজেদের সওম ভেঙ্গে ফেলেছে। (আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ ও দারিমী)[1]

ইমাম মুহয়্যিইউস্ সুন্নাহ্ (রহঃ) এ প্রসঙ্গে বলেছেন যে, কতিপয় এ হাদীসের বিকল্প অর্থ গ্রহণ করেছেন, শিঙ্গা লাগানোর অনুমতি দিয়েছেন ইফতার করতে বাধা দেয়ার জন্য, যাকে শিঙ্গা লাগানো তার দুর্বলতার জন্য। আর(حَاجِمُ) অর্থাৎ- যে শিঙ্গা লাগায় তার পেটে কোন কিছু পৌঁছে যাওয়া থেকে নিরাপদ নয়, অত্যাবশ্যক বস্তু চোষার কারণে।

وَعَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَى رَجُلًا بِالْبَقِيعِ وَهُوَ يَحْتَجِمُ وَهُوَ آخِذٌ بِيَدِي لِثَمَانِيَ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْ رَمَضَانَ فَقَالَ: «أَفْطَرَ الْحَاجِمُ وَالْمَحْجُومُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ. قَالَ الشَّيْخُ الْإِمَامُ مُحْيِي السُّنَّةِ رَحِمَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ: وَتَأَوَّلَهُ بَعْضُ مَنْ رَخَّصَ فِي الْحِجَامَةِ: أَيْ تَعَرُّضًا لِلْإِفْطَارِ: الْمَحْجُومُ لِلضَّعْفِ وَالْحَاجِمُ لِأَنَّهُ لَا يَأْمَنُ مِنْ أَنْ يَصِلَ شَيْءٌ إِلَى جَوْفِهِ بمص الملازم

وعن شداد بن اوس: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم اتى رجلا بالبقيع وهو يحتجم وهو اخذ بيدي لثماني عشرة خلت من رمضان فقال: «افطر الحاجم والمحجوم» . رواه ابو داود وابن ماجه والدارمي. قال الشيخ الامام محيي السنة رحمه الله عليه: وتاوله بعض من رخص في الحجامة: اي تعرضا للافطار: المحجوم للضعف والحاجم لانه لا يامن من ان يصل شيء الى جوفه بمص الملازم

ব্যাখ্যা: (أَفْطَرَ الْحَاجِمُ وَالْمَحْجُومُ) ‘‘রক্তমোক্ষণকারী এবং যার জন্য রক্তমোক্ষণ করা হয় উভয়ের সিয়াম ভেঙ্গে গেছে।’’ অত্র হাদীস প্রমাণ করে যে, সিয়ামরত অবস্থায় রক্তমোক্ষণ করা বৈধ নয়। [এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা পূর্বের হাদীসের ব্যাখ্যায় করা হয়েছে]


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم)