১৫১২

পরিচ্ছেদঃ ৫৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - ঝড় তুফানের সময়

১৫১২-[২] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কখনো এতটা হাসতে দেখনি যাতে তাঁর আলা জিহ্বা দেখতে পেরেছি। তিনি মুচকী হাসতেন শুধু। তবে তিনি যখন ঝড়-তুফান দেখতেন তখন তার প্রভাব তাঁর চেহারায় উদ্ভাসিত হয়েছে বলে বুঝা যেত। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابٌ فِي الرِّيَاحِ

وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَاحِكًا حَتَّى أَرَى مِنْهُ لَهَوَاتِهِ إِنَّمَا كَانَ يتبسم فَكَانَ إِذَا رَأَى غَيْمًا أَوْ رِيحًا عُرِفَ فِي وَجهه

وعن عاىشة قالت: ما رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم ضاحكا حتى ارى منه لهواته انما كان يتبسم فكان اذا راى غيما او ريحا عرف في وجهه

ব্যাখ্যা: ত্বীবী বলেন, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেহারায় ভয়ের ছাপ ফুটে উঠেছিল এই ভয়ে যে, এই মেঘমালায় বা বাতাসে মানুষের ক্ষতি হবে। আর প্রমাণ করে যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিক হাসতেন না আর তিনি অহংকারী, অমনোযোগী ও অধিক আনন্দকারী ছিলেন না আর তাঁর মুচকী হাসি প্রমাণ করে হাসোজ্জ্বল চেহারা আর মেঘমালা দেখলে তাঁর ভীতির ছাপ অথবা বাতাস দেখলে সৃষ্টির উপর দয়া ও মহানুভবতা উদ্রেক হওয়া প্রমাণ করে যে, তিনি উন্নত চরিত্রের অধিকারী।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)