পরিচ্ছেদঃ ৪১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের সালাত
১৩৪৬-[১৪] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোন প্রয়োজনে আমাকে পাঠালেন। আমি প্রত্যাবর্তন করে এসে দেখি তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর বাহনের উপর পূর্ব দিকে মুখ ফিরে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ক্বায়িম করছেন। তবে তিনি রুকূ’ হতে সাজদায় একটু বেশী নীচু হতেন। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَاجَةٍ فَجِئْتُ وَهُوَ يُصَلِّي عَلَى رَاحِلَتِهِ نَحْوَ الْمَشْرِقِ وَيَجْعَلُ السُّجُودَ أَخفض من الرُّكُوع. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: (وَهُوَ يُصَلِّي) বাক্যটি অবস্থাবাচক, (نَحْوَ الْمَشْرِقِ) এটি স্থানবাচক, অর্থাৎ তিনি পূর্বের প্রান্তের দিকে (কোনাকোনিভাবে) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করলেন। অথবা এটি অবস্থাবাচকও হতে পারে, অর্থাৎ পূর্বদিকে মুখ করে কিংবা পূর্বের এক প্রান্তের দিকে মুখ ফিরানো অবস্থায় সালাত আদায় করলেন। হাফিয আসক্বালানী (রহঃ) ফাতহুল বারীতে মাগাযী অধ্যায়ে বর্ণনা করেন যে, এটি আন্মার যুদ্ধের ঘটনা, আর তাদের ভূখন্ডটি ছিল পূর্বদিকে, যারা মদীনাহ্ থেকে (মদীনাহ্ শহর) বের হবেন ক্বিবলাহ্ (কিবলাহ/কিবলা) তাদের বাম প্রান্তে পড়বে।
(أَخْفَضَ مِنَ الرُّكُوْعِ) অর্থাৎ সাজদার ইশারাটা রুকূ‘র ইশারা হতে অনেক নিচু। আলোচ্য হাদীসে শার‘ঈ দলীল হলো যে, সফরে সওয়ারীর উপর নফল সালাত আদায় করা, সওয়ারীর উপর রুকূ'-সাজদার ইশারা করা এবং সাজদার ইশারাটা রুকূ' হতে অধিক নিচু হওয়া (যাতে রুকূ'-সাজদার মাঝে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়) শারী‘আত সম্মত, আর এটাই জমহূর ‘উলামাগণের কথা।