১২৬৩

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত

১২৬৩-[১০] গুযায়ফ ইবনু হারিস (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরয গোসল রাতে প্রথম অংশে না শেষ অংশে করতেন? ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বললেন, কোন কোন সময় তিনি রাতের প্রথম প্রহরে এবং কোন কোন সময় রাতের শেষ প্রহরে গোসল করতেন। আমি বললাম, আল্লাহ তা’আলা অনেক বড়। সব প্রশংসাই আল্লাহ তা’আলার জন্যে। যিনি দীনের ’আমলের ব্যাপারে সহজ (ব্যবস্থা) করে দিয়েছেন। আবার তিনি জিজ্ঞেস করলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বিতরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) রাতের প্রথম ভাগে আদায় করে নিতেন না শেষ ভাগে আদায় করতেন? ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বললেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কখনো রাতের প্রথম ভাগেই আদায় করতেন, আবার কখনো শেষ রাতে আদায় করতেন। আমি বললাম, আল্লাহ তা’আলা অনেক বড়। সব প্রশংসা তাঁর যিনি দীনের কাজ সহজ (ব্যবস্থা) করে দিয়েছেন। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কি তাহাজ্জুদের সালাতে অথবা অন্য কোন সালাতে শব্দ করে ক্বিরাআত (কিরআত) পড়তেন, না আস্তে আস্তে? তিনি বললেন, কখনো তো শব্দ করে ক্বিরাআত (কিরআত) পড়তেন, আবার কখনো নিচু স্বরে। আমি বললাম, আল্লাহ অনেক বড় ও সব প্রশংসা তাঁরই প্রাপ্য, যিনি দীনের কাজ সহজ ও প্রশস্ত করে দিয়েছেন। (আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ। ইবনু মাজাহ এ সূত্রে শুধু শেষ অংশ [যাতে ক্বিরাআতের উল্লেখ হয়েছে] নকল করেছেন)[1]

عَن غُضَيْف بن الْحَارِث قَالَ: قُلْتُ لِعَائِشَةَ: أَرَأَيْتِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَغْتَسِلُ مِنَ الْجَنَابَةِ فِي أَوَّلِ اللَّيْلِ أَمْ فِي آخِرِهِ؟ قَالَتْ: رُبَّمَا اغْتَسَلَ فِي أَوَّلِ اللَّيْلِ وَرُبَّمَا اغْتَسَلَ فِي آخِرِهِ قُلْتُ: اللَّهُ أَكْبَرُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ فِي الْأَمْرِ سَعَةً قُلْتُ: كَانَ يُوتِرُ أَوَّلَ اللَّيْلِ أَمْ فِي آخِرِهِ؟ قَالَتْ: رُبَّمَا أَوْتَرَ فِي أَوَّلِ اللَّيْلِ وَرُبَّمَا أَوْتَرَ فِي آخِرِهِ قُلْتُ: اللَّهُ أَكْبَرُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ فِي الْأَمْرِ سَعَةً قُلْتُ: كَانَ يَجْهَرُ بِالْقِرَاءَةِ أَمْ يَخْفُتُ؟ قَالَتْ: رُبَّمَا جَهَرَ بِهِ وَرُبَّمَا خَفَتَ قُلْتُ: اللَّهُ أَكْبَرُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ فِي الْأَمْرِ سَعَةً. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَى ابْنُ مَاجَهْ الْفَصْلَ الْأَخِيرَ

عن غضيف بن الحارث قال: قلت لعاىشة: ارايت رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يغتسل من الجنابة في اول الليل ام في اخره؟ قالت: ربما اغتسل في اول الليل وربما اغتسل في اخره قلت: الله اكبر الحمد لله الذي جعل في الامر سعة قلت: كان يوتر اول الليل ام في اخره؟ قالت: ربما اوتر في اول الليل وربما اوتر في اخره قلت: الله اكبر الحمد لله الذي جعل في الامر سعة قلت: كان يجهر بالقراءة ام يخفت؟ قالت: ربما جهر به وربما خفت قلت: الله اكبر الحمد لله الذي جعل في الامر سعة. رواه ابو داود وروى ابن ماجه الفصل الاخير

ব্যাখ্যা: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সঙ্গম করতেন রাতের প্রথমাংশে এবং গোসল করতেন রাতের শেষাংশে এটি তিনি করতেন উম্মাতের উপর সহজের জন্য এবং তা বৈধতার বর্ণনার জন্য।

গোসলের ক্ষেত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহজ বিধান দিয়েছেন যে, রাতের যে কোন সময় গোসল করা যাবে। সহবাসের সাথে সাথেই গোসল করতে হবে এমন কোন সংকীর্ণতা বা জটিলতা আরোপ করেননি বরং উভয় বিধানই আমাদের জন্য বৈধ করে দিয়েছেন, যার প্রমাণ পাওয়া যায় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আগে এবং পরে (রাতের প্রথমাংশে এবং শেষাংশে) গোসল করার মাধ্যমে।

আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেন যে, গোসলের ক্ষেত্রে আল্লাহর পক্ষ হতে এ সহজতা দান করাটা একটি নি‘আমাত। আর নি‘আমাতকে কৃতজ্ঞতার সাথে গ্রহণ করা তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ভালবাসেন।

কখনো তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বিতর রাতের প্রথমাংশে আদায় করেছেন এটা অধিক সহজের জন্য এবং কখনো রাতের শেষাংশে আদায় করেছেন, আর রাতের শেষাংশেই তিনি বেশি আদায় করেছেন এবং এটাই উত্তম। তবে বিতর ব্যাপারে ১২৭৬, ১২৭৭, ১২৭৮ নং হাদীসে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

দু’ কিংবা একই রাত্রিতে তিনি অবস্থাভেদে স্বরবে কিংবা নীরবে ক্বিরাআত (কিরআত) পড়তেন। কাজেই প্রমাণিত হয় যে, রাতের সালাতে (তাহাজ্জুদ বা কিরামে রমাযান) স্বরবে কিংবা নীরবে ক্বিরাআত (কিরআত) মুসল্লীর জন্য ঐচ্ছিক।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)