১২২৪

পরিচ্ছেদঃ ৩৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্বিয়ামুল লায়ল-এর প্রতি উৎসাহ দান

১২২৪-[৬] জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, রাত্রে এমন একটা সময় অবশ্যই আছে, কোন মুসলিম যদি এ সময়টা প্রাপ্ত হয় এবং আল্লাহ তা’আলার নিকট দুনিয়া ও আখিরাতের কোন কল্যাণ করে তাহলে আল্লাহ তা’আলা তাকে তা অবশ্যই দান করেন। এ সময়টা প্রতি রাত্রেই আসে। (মুসলিম)[1]

بَابُ التَّحْرِيْضِ عَلى قِيَامِ اللَّيْلِ

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ فِي اللَّيْلِ لَسَاعَةً لَا يُوَافِقُهَا رَجُلٌ مُسْلِمٌ يَسْأَلُ اللَّهَ فِيهَا خَيْرًا مِنْ أَمْرِ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ إِلَّا أَعْطَاهُ إِيَّاه وَذَلِكَ كل لَيْلَة» رَوَاهُ مُسلم

وعن جابر قال: سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول: «ان في الليل لساعة لا يوافقها رجل مسلم يسال الله فيها خيرا من امر الدنيا والاخرة الا اعطاه اياه وذلك كل ليلة» رواه مسلم

ব্যাখ্যা: রাতের এই শুভ সন্ধিক্ষণটি আল্লাহ তা‘আলা মুবহাম বা অস্পষ্টকারে রেখেছেন যেন উহা পাওয়ার আশায় মানুষ রাতভরই আল্লাহর ‘ইবাদাত করে এবং তার কাছে চায়। রাতের এই মুহূর্তে নারী পুরুষ যে কেউই আল্লাহর কাছে দুনিয়া আখিরাতের যা কিছু চাক না কেন তা দিয়ে থাকেন; এ দেয়া হাকীকী হুকমী উভয়ই হতে পারে। আর তা নির্দিষ্ট কোন রাতের জন্যও নয় বরং প্রত্যহ রাতেই এ দানের দরজা উন্মুক্ত হয়। আল্লামা নাবাবী (রহঃ) বলেন, প্রতি রাতই দু‘আ কবূল হওয়া স্বীকৃত, তাই সারা রাতই দু‘আ করা উচিত যেন ঐ মোক্ষম সময়টুকু মিলে যায়।

‘আযীযী বলেন, শায়খ বলেছেন, প্রকাশ্য হাদীসে সময়কে নির্দিষ্ট করা হয়নি। কিন্তু সর্বজনবিদিত কথা হলো মধ্যরাতেই উত্তম এবং মধ্য রাতের পর হতে রাতের শেষ পর্যন্ত হলো ঐ উপযোগী সময়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)