১২১৭

পরিচ্ছেদঃ ৩২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রাতের সালাতে যা পড়তেন

১২১৭-[৭] আবূ সা’ঈদ আল্ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাত্রে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের জন্যে দাঁড়ালে প্রথমে আল্ল-হু আকবার বলে এ দু’আ পড়তেন, ’’সুবহা-নাকা আল্ল-হুম্মা ওয়াবি হামদিকা, ওয়াতাবা- রকাসমুকা ওয়াতা’আলা- জাদ্দুকা, ওয়ালা- ইলা-হা গয়রুকা’’। অর্থাৎ ’’হে আল্লাহ! তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। আমরা তোমার প্রশংসা করছি। তোমার নাম বারাকাতপূর্ণ। তোমার মর্যাদা অনেক উপরে। তুমি ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই।’’

তারপর তিনি বলতেন, ’’আল্ল-হু আকবার কাবীরা-’’। এরপর বলতেন, ’’আ’ঊযু বিল্লা-হিস্ সামী’উল ’আলীম, মিনাশ্ শায়ত্ব-নির রজীম, মিন হামযিহী, ওয়া নাফখিহী ওয়া নাফসিহ’’। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী; ইমাম আবূ দাঊদের বর্ণনায় ’’গয়রুকা’’র পর এ কথাটুকু আছে, তারপর তিনি বলতেন, ’লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ’ তিনবার। আর হাদীসের শেষের দিকের শব্দগুলো হলোঃ তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)’’আ’ঊযু বিল্লা-হিস সামী’ইল ’আলীম’’ পড়ে) তারপর ক্বিরাআত (কিরআত) পড়া আরম্ভ করতেন।)[1]

عَن أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ كَبَّرَ ثُمَّ يَقُولُ: «سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ» ثُمَّ يَقُولُ: «اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا» ثُمَّ يَقُولُ: «أَعُوذُ بِاللَّهِ السَّمِيعِ الْعَلِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ مِنْ هَمْزِهِ وَنَفْخِهِ وَنَفْثِهِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَزَادٌ أَبُو دَاوُدَ بَعْدَ قَوْلِهِ: «غَيْرُكَ» ثُمَّ يَقُولُ: «لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ» ثَلَاثًا وَفِي آخر الحَدِيث: ثمَّ يقْرَأ

عن ابي سعيد قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا قام من الليل كبر ثم يقول: «سبحانك اللهم وبحمدك وتبارك اسمك وتعالى جدك ولا اله غيرك» ثم يقول: «الله اكبر كبيرا» ثم يقول: «اعوذ بالله السميع العليم من الشيطان الرجيم من همزه ونفخه ونفثه» . رواه الترمذي وابو داود والنساىي وزاد ابو داود بعد قوله: «غيرك» ثم يقول: «لا اله الا الله» ثلاثا وفي اخر الحديث: ثم يقرا

ব্যাখ্যা: ‘‘সুবহা-নাকা আল্ল-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা’’ এর অর্থ হলোঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার প্রশংসা সম্বলিত চূড়ান্ত ও সর্বোচ্চ পবিত্রতা ঘোষণা করছি, তুমি বারাকাতময় তোমার নামে রয়েছে প্রভূত কল্যাণ। ‘‘ওয়া তা‘আ-লা- জাদ্দুকা’’ এর মানে হলোঃ আমি তোমার আযমত বা বড়ত্বকে সকল কিছুর উপর তুলে ধরছি। এর এও অর্থ হতে পারে তুমি সকল কিছু থেকে অমুখাপেক্ষী এবং তোমার অমুখাপেক্ষীতা সকল কিছু থেকে ঊর্ধ্বে। শায়ত্বনের (শয়তানের) ফুঁৎকার বলতে যাদুটোনা ইত্যাদি এবং তার অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা। এর বিস্তারিত আলোচনা তাকবীরের পর কি পাঠ করতে হবে সে অনুচ্ছেদে অতিবাহিত হয়েছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)