১২১০

পরিচ্ছেদঃ ৩১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রাতের সালাত

১২১০-[২৩] ইয়া’লা ইবনু মুমাল্লাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-কে একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামর রাত্রের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ও ক্বিরাআতের ব্যাপারে প্রশ্ন করলেন। উত্তরে উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) বললেন, তাঁর সালাতের বিবরণ দিলে তোমাদের কি কল্যাণ হবে? যে সময় পরিমাণ সালাত আদায় করতেন, সে পরিমাণ সময় ঘুমাতেন। তারপর সে সময় পরিমাণ সালাত আদায় করতেন যে পরিমাণ সময় ঘুমাতেন, এভাবে ভোর হয়ে যেত। বর্ণনাকারী ইয়া’লা বলেন, অতঃপর উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) তাঁর ক্বিরাআতের বর্ণনা দিয়েছেন, দেখলাম তিনি পৃথক পৃথক এক এক অক্ষর করে বিস্তারিত পড়ার বর্ণনা দিলেন। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসায়ী)[1]

وَعَن يَعْلَى بْنِ مُمَلَّكٍ أَنَّهُ سَأَلَ أُمَّ سَلَمَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ قِرَاءَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَلَاتِهِ؟ فَقَالَتْ: وَمَا لَكُمْ وَصَلَاتُهُ؟ كَانَ يُصَلِّي ثُمَّ يَنَامُ قَدْرَ مَا صَلَّى ثُمَّ يُصَلِّي قَدْرَ مَا نَامَ ثُمَّ يَنَامُ قَدْرَ مَا صَلَّى حَتَّى يُصْبِحَ ثُمَّ نَعَتَتْ قِرَاءَتَهُ فَإِذَا هِيَ تَنْعَتُ قِرَاءَةً مُفَسَّرَةً حَرْفًا حَرْفًا)
رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ

وعن يعلى بن مملك انه سال ام سلمة زوج النبي صلى الله عليه وسلم عن قراءة النبي صلى الله عليه وسلم وصلاته؟ فقالت: وما لكم وصلاته؟ كان يصلي ثم ينام قدر ما صلى ثم يصلي قدر ما نام ثم ينام قدر ما صلى حتى يصبح ثم نعتت قراءته فاذا هي تنعت قراءة مفسرة حرفا حرفا) رواه ابو داود والترمذي والنساىي

ব্যাখ্যা: (وَمَا لَكُمْ وَصَلَاتُه) তোমরা তাঁর সালাতের বিবরণ শুনে কি করবে? অর্থাৎ তোমরা তাঁর মতো করে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে পারবে না। এ দ্বারা প্রশ্নকারীর প্রশ্ন করাকে অস্বীকার করা উদ্দেশ্য নয়। তিনি এর দ্বারা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ‘আমলের প্রতি আশ্চর্যবোধ প্রকাশ পূর্বক বলতে চেয়েছেন যে, তোমরা তাঁর মতো ‘আমল করতে সক্ষম নও। অতএব তাঁর ‘আমলের গুণাগুন বা বর্ণনা শুনে তোমরা কি করবে? (فَإِذَا هِيَ تَنْعَتُ قِرَاءَةً مُفَسَّرَةً حَرْفًا حَرْفًا) অতঃপর তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ক্বিরাআত (কিরআত) বিস্তারিত বর্ণনা দিলেন। এর দ্বারা দু’টির কোন একটি উদ্দেশ্য হতে পারে।

১। তিনি বলেন যে, তার ক্বিরাআত (কিরআত) এ রকম এ রকম ছিল।

২। তিনি স্বয়ং তারতীলের সাথে স্পষ্টভাবে ক্বিরাআত (কিরআত) পাঠ করে শুনালেন, অতঃপর বললেন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ক্বিরাআত (কিরআত) এরূপ ছিল।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)