১১৯২

পরিচ্ছেদঃ ৩১. প্রথম অনুচ্ছেদ - রাতের সালাত

১১৯২-[৫] মাসরূক্ব থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রাত্রের সালাতের ব্যাপারে প্রশ্ন করলাম। উত্তরে তিনি বললেন, ফাজ্‌রের (ফজরের) সুন্নাত ব্যতীত কোন কোন সময় তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাত রাক্’আত, কোন কোন সময় নয় রাক্’আত, কোন কোন সময় এগার রাক্’আত আদায় করতেন। (বুখারী)[1]

بَابُ صَلَاةِ اللَّيْلِ

وَعَنْ مَسْرُوقٍ قَالَ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ صَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِاللَّيْلِ. فَقَالَت: سبع وتسع وَإِحْدَى عشر رَكْعَة سوى رَكْعَتي الْفجْر. رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعن مسروق قال: سالت عاىشة عن صلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم بالليل. فقالت: سبع وتسع واحدى عشر ركعة سوى ركعتي الفجر. رواه البخاري

ব্যাখ্যা: (سِوى رَكْعَتَي الْفَجْرِ) ফাজরের (ফজরের) দু’ রাক্‘আত সুন্নাত ব্যতীত এ বাক্য প্রমাণ করে যে, সাত, নয় বা এগার রাক্‘আত বিতরসহ আদায় করতেন। ইমাম নাবাবী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রাতের সালাতের সংখ্যা সম্পর্কিত বর্ণনাগুলো উল্লেখ করার পর ক্বাযী ‘আয়ায-এর মন্তব্য উল্লেখ পূর্বক বলেন, ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে এগার রাক্‘আতের বর্ণনা এটি হল অধিকাংশ সময়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রাতের সালাতের বর্ণনা। অন্যান্য বর্ণনা যার মধ্যে আরো কম বেশির উল্লেখ আছে তা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন কোন সময়ের ‘আমলের বর্ণনা। তন্মধ্যে ফাজরের (ফজরের) দু’ রাক্‘আত সুন্নাতসহ সর্বোচ্চ পনের রাক্‘আতের বর্ণনা রয়েছে। আর সর্বনিম্ন সাত রাক্‘আত। ক্বাযী ‘আয়ায এও বলেছেন যে, এতে কোন মতভেদ নেই যে, রাতের সালাতের জন্য রাক্‘আতের এমন কোন নির্দিষ্ট সীমারেখা নেই যার থেকে কম বা বেশি করা যাবে না।

রাতের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) এমন একটি ‘ইবাদাত যিনি তা যত বেশি করতে পারবেন তিনি তত বেশি সাওয়াব অর্জন করবেন। মতভেদ শুধু এ বিষয়ে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং কত রাক্‘আত আদায় করেছেন এবং নিজের জন্য তা পছন্দ করেছেন। আর ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রমাযান বা তার বাইরে এগার রাক্‘আতের বেশি আদায় করতেন না এ থেকে উদ্দেশ্য নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভ্যাস অনুযায়ী অধিকাংশ সময় এর চাইতে বেশি আদায় করতেন না। তবে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ‘আমল সম্পর্কে ফাজরের (ফজরের) দুই রাক্‘আত এবং তাহাজ্জুদের শুরুতে হালকা দুই রাক্‘আতসহ সর্বমোট পনের রাক্‘আতের কথা বর্ণিত হয়েছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)