১১৫৮

পরিচ্ছেদঃ ২৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - দু’বার সালাত আদায় করা

১১৫৮-[৯] নাফি’ (রহঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) বলতেন, যে লোক মাগরিবের সালাত কি ফজরের (ফজরের) সালাত একা একা আদায় করে নিয়েছে। এরপর এ সালাতগুলোকে (অন্যত্র) ইমামকে জামা’আতে আদায় করা অবস্থায় পায় তাহলে সে এ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) কে পুনরায় আদায় করবে না। (মালিক)[1]

وَعَنْ نَافِعٍ قَالَ: إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ: مَنْ صَلَّى الْمَغْرِبَ أَوِ الصُّبْحَ ثُمَّ أَدْرَكَهُمَا مَعَ الْإِمَامِ فَلَا يَعُدْ لَهما. رَوَاهُ مَالك

وعن نافع قال: ان عبد الله بن عمر كان يقول: من صلى المغرب او الصبح ثم ادركهما مع الامام فلا يعد لهما. رواه مالك

ব্যাখ্যা: (فَلَا يَعُدْ لَهما) ‘‘সে পুনরায় এ দু’ সালাত আদায় করবে না।’’ অর্থাৎ মাগরিব ও ফাজরের (ফজরের) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করার পর জামা‘আত পেলে সে আবার ঐ সালাতে শরীক হবে না। কেননা দ্বিতীয় সালাত নফল হিসেবে গণ্য। আর ফাজরের (ফজরের) সালাতের পর নফল সালাত আদায় করা যায় না। আর মাগরিবের সালাত এজন্য তা পুনর্বার আদায় করবে না যে, নফল সালাত বিজোড় হয় না। ইবরাহীম নাখ্‘ঈ এবং আওযা‘ঈ ইমামদ্বয়ের অভিমতও তাই। ‘আসরের পর নফল সালাত আদায় করা নিষেধ হওয়া সত্ত্বেও ইবনু ‘উমার (রাঃ) ‘আসরের কথা এজন্য উল্লেখ করেননি যে, তিনি মনে করেন ‘আসরের পর সূর্য হলুদ বর্ণ ধারণ করার পর নফল সালাত আদায় করা নিষিদ্ধ তার আগে নয়।

আর যারা উপরোক্ত দু’ সময়ে পুনরায় সালাত আদায় করা বৈধ মনে করেন তারা বলেন যে, নিষেধের হাদীস ‘আম। আর পুনরায় সালাত আদায় করার হাদীস খাস। আর নিয়মানুযায়ী খাস হাদীস ‘আম হাদীসের উপর প্রাধান্য পায়। অতএব উপরোক্ত দু’ সময়ে একাকী সালাত আদায় করার পর জামা‘আত পেলে তাতে শরীক হতে কোন বাধা নেই।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)