১০৪৯

পরিচ্ছেদঃ ২২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাত নিষিদ্ধ সময়ের বিবরণ

১০৪৯-[১১] আবূ বাসরাহ্ আল গিফারী (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে মুখাম্মাস নামক স্থানে ’আসরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করালেন। তারপর বললেন, এ সালাতটি তোমাদের পূর্বের মানুষের ওপরও অবশ্য পালনীয় বিধান করা হয়েছিল, কিন্তু তারা তা নষ্ট করে দিয়েছে। কাজেই যে লোক এ সালাতের ব্যাপারে যত্নবান হবে সে দ্বিগুণ প্রতিদান পাবে। (তিনি এ কথাও বলেছেন,) ’আসরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করার পর আর কোন সালাত নেই, যে পর্যন্ত শাহিদ উদিত না হবে। আর শাহিদ হলো তারকা। (মুসলিম)[1]

وَعَن أبي بصرة الْغِفَارِيّ قَالَ: صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمُخَمَّصِ صَلَاةَ الْعَصْرِ فَقَالَ: «إِنَّ هَذِهِ صَلَاةٌ عُرِضَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَضَيَّعُوهَا فَمَنْ حَافَظَ عَلَيْهَا كَانَ لَهُ أَجْرُهُ مَرَّتَيْنِ وَلَا صَلَاةَ بَعْدَهَا حَتَّى يَطْلُعَ الشَّاهِدُ» . وَالشَّاهِد النَّجْم. رَوَاهُ مُسلم

وعن ابي بصرة الغفاري قال: صلى بنا رسول الله صلى الله عليه وسلم بالمخمص صلاة العصر فقال: «ان هذه صلاة عرضت على من كان قبلكم فضيعوها فمن حافظ عليها كان له اجره مرتين ولا صلاة بعدها حتى يطلع الشاهد» . والشاهد النجم. رواه مسلم

ব্যাখ্যা: (فَضَيَّعُوهَا) ‘তা তারা বিনষ্ট করেছে’। অর্থাৎ তারা এর হক আদায় করেনি তা সংরক্ষণ করেনি।

(فَمَنْ حَافَظَ عَلَيْهَا كَانَ لَه أَجْرُه مَرَّتَيْنِ) ‘যে ব্যক্তি তা সংরক্ষণ করবে সে দ্বিগুণ পুরস্কার পাবে’ একটি পুরস্কার পূর্ববতীতের বিপরীতে তা সংরক্ষণ করার জন্য। আরেকটি পুরস্কার অন্যান্য সালাতের ন্যায় তা আদায় করার জন্য।

(الشَّاهِد النَّجْم) শাহিদ অর্থ তারকা, এ তারকাকে শাহিদ এজন্য বলা হয় যে, তা রাত্রি আগমনের সাক্ষ্য দানকারী। আর এজন্যই মাগরিবের সালাতকে সালাতুশ্ শাহিদ বলা হয়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)