পরিচ্ছেদঃ ২১. প্রথম অনুচ্ছেদ - তিলাওয়াতের সিজদা্
১০২৬-[৪] যায়দ বিন সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্মুখে সূরাহ্ নাজম পাঠ করেছি। তিনি এতে সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করেননি। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ سُجُوْدِ الْقُرْانِ
وَعَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ: قَرَأْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (والنجم)
فَلم يسْجد فِيهَا
ব্যাখ্যা: (فَلم يسْجد فِيهَا) ‘তিনি তাতে সিজদা্ করলেন না’। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করেননি এটা বুঝানোর জন্য যে, সিজদা্ এর আয়াত পাঠ করে সিজদা্ না করাও বৈধ। যদি সিজদা্ করা ওয়াজিব হতো তাহলে তিনি সিজদা্ করার নির্দেশ দিতেন।
যারা মনে করেন মুফাসসাল সূরাসমূহে সিজদা্ করা বিধিবদ্ধ নয় এ হাদীস তাদের দলীল। যেমন ইমাম মালিক। আর যারা মনে করেন সূরাহ্ ‘আন্ নাজম’-এ সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) নেই এটি তাদেরও দলীল যেমন আবূ সাওর।
এর জওয়াব এই যে, এ অবস্থায় সিজদা্ না করা এটা বুঝায় না যে, তিনি তা একেবারেই ছেড়ে দিয়েছেন। বরং এখানে বিভিন্ন সম্ভাবনা রয়েছে।
১. হয়তঃ তার উযূ (ওযু/ওজু/অজু) ছিল না।
২. হয়ত সময়টি মাকরূহের সময় ছিল আর যায়দ ইবনু সাবিত মনে করেছেন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিনা কারণেই সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করেননি।
৩. যায়দ (রাঃ)-এর কথার অর্থ এটাও হতে পারে যে, তখন তিনি সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করেননি বরং পরবর্তীতে করেছেন।
৪. এটাও হতে পারে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৈধতা বুঝানোর জন্য সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করেননি। হাফিয ইবনু হাজার সর্বশেষ বিষয়টিকে অধিক সম্ভাবনা বলে মনে করেন। আর ইমাম শাফি‘ঈ দৃঢ়ভাবেই এটি বিশ্বাস করেন। কেননা যদি সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করা ওয়াজিবই হতো তাহলে তিনি অবশ্যই নির্দেশ দিতেন।