৯৯৪

পরিচ্ছেদঃ ১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়িয ও যে সব কাজ করা জায়িয

৯৯৪-[১৭] কা’ব ইবনু ’উজরাহ্ (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন উযূ করে তখন সে সুন্দর করে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করবে। তারপর সালাতের উদ্দেশ্য করে মসজিদে যাবে। আর তখন এক হাতের আঙ্গুলকে অন্য হাতের আঙ্গুলের মধ্যে ঢুকিয়ে মটকাবে না। কেননা সে সালাতে আছে। (আহমাদ, তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী, দারিমী)[1]

وَعَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا تَوَضَّأَ أَحَدُكُمْ فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ ثُمَّ خَرَجَ عَامِدًا إِلَى الْمَسْجِدِ فَلَا يُشَبِّكَنَّ بَيْنَ أَصَابِعِهِ فَإِنَّهُ فِي الصَّلَاة» . رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ والدارمي

وعن كعب بن عجرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اذا توضا احدكم فاحسن وضوءه ثم خرج عامدا الى المسجد فلا يشبكن بين اصابعه فانه في الصلاة» . رواه احمد وابو داود والترمذي والنساىي والدارمي

ব্যাখ্যা: (فَلَا يُشَبِّكَنَّ) ‘‘সে যেন তাশবীক না করে’’ এক হাতের আঙ্গুল অন্য হাতের আঙ্গুলের মধ্যে প্রবেশ করানোকে তাশবীক বলা হয়।

 (فَإِنَّه فِى الصَّلَاةِ) সে সালাতের মধ্যেই আছে। অর্থাৎ সালাতের হুকুমের মধ্যেই গণ্য। অতএব সালাতরত অবস্থায় যা বর্জনীয় এরূপ কাজ সালাতে গমনের সময়ও বর্জনীয়।

হাদীসের শিক্ষাঃ

১. সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়ের উদ্দেশে মসজিদে গমন করার শুরু হতেই এক হাতের আঙ্গুলের মধ্যে অন্য হাতের আঙ্গুল প্রবেশ করানো মাকরূহ।

২. সালাত আদায়ের উদ্দেশে ঘর হতে বের হওয়ার সময় থেকেই মসজিদে গমনকারীর জন্য সালাতের সাওয়াব লেখা হয় যতক্ষণ না সে স্বীয় বাড়ীতে ফিরে আসে। এর সমর্থনে আরো হাদীস বিদ্যমান রয়েছে।

৩. আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে মারফূ‘ সূত্রে বর্ণিত হাদীস, ‘‘যে ব্যক্তি উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করে সালাতের উদ্দেশে বের হয় সে যেন স্বীয় বাড়ীতে ফিরে আসা পর্যন্ত সালাতের মধ্যে আছে বলেই গণ্য হয়। অতএব তোমরা এরূপ করবে না অর্থাৎ এক হাতের আঙ্গুল অন্য হাতের আঙ্গুলের মধ্যে প্রবেশ করাবে না।

৪. আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) থেকে মারফূ' সূত্রে বর্ণিত হাদীস, ‘‘যখন তোমাদের কেউ মসজিদে থাকে সে যেন তাশবীক না করে, কেননা তা শায়ত্বনের (শয়তানের) কাজ। তোমাদের কেউ মাসজিদ থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত সালাতরত আছে বলেই গণ্য। মুসনাদ আহমাদ ৩/৪৩ পৃঃ; হায়সামী বলেন, উক্ত হাদীসটি হাসান।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)