৮৮১

পরিচ্ছেদঃ ১৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রুকূ‘

৮৮১-[১৪] হুযায়ফাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করলেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকূ’তে ’’সুবহা-না রব্বিয়াল ’আযীম’’ ও সাজদায় ’’সুবহা-না রব্বিয়াল আ’লা-’’ পড়তেন। আর যখনই তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ক্বিরাআতের সময় রহমতের আয়াতে পৌঁছতেন, ওখানে থেমে যেতেন, রহমত তলবের দু’আ পাঠ করতেন। আবার যখন ’আযাবের আয়াতে পৌঁছতেন, সেখানে থেমে গিয়ে ’আযাব থেকে বাঁচার জন্য দু’আ করতেন। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, দারিমী)[1] নাসায়ী ও ইবনু মাজাহ্ এ হাদীসটিকে ’’সুবহা-না রব্বিয়াল আ’লা-’’ পর্যন্ত নকল করেছেন। ইমাম তিরমিযী বলেছেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

وَعَنْ حُذَيْفَةَ: أَنَّهُ صَلَّى مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَانَ يَقُولُ فِي رُكُوعِهِ: «سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ» وَفِي سُجُودِهِ: «سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى» . وَمَا أَتَى عَلَى آيَةِ رَحْمَةٍ إِلَّا وَقَفَ وَسَأَلَ وَمَا أَتَى عَلَى آيَةِ عَذَابٍ إِلَّا وَقَفَ وَتَعَوَّذَ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالدَّارِمِيُّ وَرَوَى النَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ إِلَى قَوْلِهِ: «الْأَعْلَى» . وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ

وعن حذيفة: انه صلى مع النبي صلى الله عليه وسلم فكان يقول في ركوعه: «سبحان ربي العظيم» وفي سجوده: «سبحان ربي الاعلى» . وما اتى على اية رحمة الا وقف وسال وما اتى على اية عذاب الا وقف وتعوذ. رواه الترمذي وابو داود والدارمي وروى النساىي وابن ماجه الى قوله: «الاعلى» . وقال الترمذي: هذا حديث حسن صحيح

ব্যাখ্যা: মুসলিমের রিওয়ায়াতে এসেছে, রাবী বলেনঃ আমি কোন এক রাতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সালাত শুরু করলেন, অতঃপর সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ একশত আয়াত পড়ে রুকূ' করলেন; অতঃপর আবার পড়লেন, আমার মনে হয় বাক্বারাহ্ দিয়ে রাক্‘আত শেষ করলেন, আবার পড়লেন।

এ রিওয়ায়াত সুস্পষ্ট প্রমাণ করে যে, সালাতটি হুযায়ফাহ্ (রাঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে পড়েছেন তা রাত্রির সালাত (সালাত/নামায/নামাজ)। রহমাতের আয়াতে আসলে বিরতির মাঝে তিনি আল্লাহর কাছে রহমাত কামনা করতেন। আর ‘আযাবের আয়াত আসলে আল্লাহর কাছে শাস্তি হতে মাফ চাইতেন।

মুল্লা ‘আলী কারী  বলেনঃ আমাদের সাথীরা তথা হানাফী মাযহাব ও মালিকীরা এ সালাতটি নফল সালাত বলেছেন। কেননা ফরয সালাতে তিলাওয়াতের মাঝে কোন কিছু চাওয়া ও পরিত্রাণ চাওয়ার বিষয় রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণকে অনুমোদন দেননি। আবার সম্ভাবনা রয়েছে ফরয সালাতেও বৈধ। জমা‘আতের সালাতে এ মতটি করেছেন তবে এর দলীল একেবারেই অপ্রতুল।

আমি (ভাষ্যকার বলি) ইতিপূর্বে মুসলিমের রিওয়ায়াতে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত এটা রাতের সালাত তথা নফল আর ফরয সালাতে এমনটি ঘটেছে এমন কোন সুস্পষ্ট দলীল অবগত হয়নি।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)