৮৩৮

পরিচ্ছেদঃ ১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা

৮৩৮-[১৭] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমু’আর দিন ফজরের (ফজরের) সালাতের প্রথম রাক্’আতে ’’আলিফ লা-ম্ মীম্ তানযীল’’ (সূরাহ্ আস্ সিজদা্) ও দ্বিতীয় রাক্’আতে ’’হাল আতা- ’আলাল ইনসা-নি’’ (অর্থাৎ- সূরাহ্ আদ্ দাহর) তিলাওয়াত করতেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الْقِرَاءَةِ فِى الصَّلَاةِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقْرَأ فِي الْفجْر يَوْم الْجُمُعَة ب (الم تَنْزِيلُ)
فِي الرَّكْعَةِ الْأُولَى وَفِي الثَّانِيَةِ (هَل أَتَى على الْإِنْسَان)

وعن ابي هريرة قال: كان النبي صلى الله عليه وسلم يقرا في الفجر يوم الجمعة ب (الم تنزيل) في الركعة الاولى وفي الثانية (هل اتى على الانسان)

ব্যাখ্যা: জুমু‘আর দিন এ সূরাহ্ দু’টি পড়ার মধ্যে সম্ভবত এর অন্তর্নিহিত কারণ রয়েছে। মানুষের সৃষ্টির সূচনা, পরিণতি ও পরকাল, আদামের সৃষ্টি, জান্নাত ও জাহান্নাম এবং এর অধিবাসীদের অবস্থার বিবরণ এবং অবশেষে দুনিয়ার ধ্বংস সাধন হওয়া তথা ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) ক্বায়িম জুমু‘আর দিনেই। তাই প্রায়শঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত সূরাহ্ দু’টি পাঠ করতেন। তবে তিনি সর্বদা এটা পড়তেন না, বিভিন্ন সূরাহ্ পড়তেন। সালাতে সূরাহ্ সম্পূর্ণ পড়া উত্তম। কেননা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিকাংশ সময় এমনই করতেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)