৮২৭

পরিচ্ছেদঃ ১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা

৮২৭-[৬] মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় এ শব্দগুলো আছে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ ইমামের ক্বিরাআত (কিরআত) তিলাওয়াত করার সময় তোমরা চুপ থাকবে।[1]

بَابُ الْقِرَاءَةِ فِى الصَّلَاةِ

وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَقَتَادَةَ: «وَإِذا قَرَأَ فأنصتوا»

وفي رواية له عن ابي هريرة وقتادة: «واذا قرا فانصتوا»

ব্যাখ্যা: ‘মনোযোগ সহকারে শুনার জন্যে নীরব থাকো’। এটা একমাত্র জিহরী (জেহরী) সালাতের ক্ষেত্রে। ইমামা আবূ হানীফাহ্, মালিক, আহমাদ, ইসহাক ইবনু রহওয়াইহ্ এ হাদীস দিয়ে দলীল দেন যে, স্বরবে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আর নীরবে সালাত কোন সালাতেই মুক্তাদী ইমামের পিছনে ক্বিরাআত (কিরআত) পড়বে না। ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ)-এর মতে সর্বাবস্থায় মুক্তাদীর ওপর ক্বিরাআত (কিরআত) পড়া ফরয।

ইমামের পিছনে ক্বিরাআত (কিরআত) পড়ার ব্যাপারে সাহাবীগণের মাঝেও মতানৈক্য ছিল। ইমাম তিরমিযী (রহঃ) স্পষ্ট বর্ণনা করেছেন। ইবনু মুবারক-এর উক্তি দিয়েও উত্তর দেয়া যায়। তিনি বলেন, আমি ইমামের পিছনে ক্বিরাআত (কিরআত) পড়েছি এবং অন্যান্য লোকজনও ক্বিরাআত (কিরআত) পড়েছে একমাত্র কুফানগরের এক সম্প্রদায় ইমামের পিছনে ক্বিরাআত (কিরআত) পড়তেন না। ইমাম আহমাদ (রহঃ)-এর উক্তি রয়েছে যে, ইমামের পিছনে ক্বিরাআত (কিরআত) পড়া পছন্দ করেছেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)