৬১৪

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - প্রথম ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সালাত আদায়

৬১৪-[২৮] রাফি’ ইবনু খদীজ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ফজরের (ফজরের) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ফর্সা আলোতে আদায় কর। কারণ ফর্সা আলোতে সালাত আদায় করলে অনেক বেশী সাওয়াব পাওয়া যায়। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও দারিমী)[1]

وَعَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَسْفِرُوا بِالْفَجْرِ فَإِنَّهُ أَعْظَمُ لِلْأَجْرِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالدَّارِمِيُّ وَلَيْسَ عِنْدَ النَّسَائِيِّ: «فَإِنَّهُ أَعْظَمُ لِلْأَجْرِ»

وعن رافع بن خديج قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اسفروا بالفجر فانه اعظم للاجر» . رواه الترمذي وابو داود والدارمي وليس عند النساىي: «فانه اعظم للاجر»

ব্যাখ্যা: (فَإِنَّه أَعْظَمُ لِلْأَجْرِ) ‘‘ফর্সা আলোতে (ফজরের)) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করলে অনেক বেশী সাওয়াব পাওয়া যায়।’’

অত্র হাদীস দ্বারা হানাফীগণ দলীল পেশ করে থাকেন যে, ফাজরের (ফজরের) সালাতকে ফর্সা আলো পর্যন্ত বিলম্ব করে আদায় করার ফাযীলাত বেশী। বিভিন্নভাবে এর জওয়াব দেয়া হয়ে থাকে।

(১) ভোরের অন্ধকারে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক নিয়মিত ফাজরের (ফজরের) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করা প্রমাণ করে যে, অত্র হাদীসের প্রকাশমান অর্থ উদ্দেশ্য নয়। বরং এর অর্থ হলো সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) এতটুকু বিলম্ব করা যাতে নিশ্চিতভাবে জানা যায় যে, ফাজর (ফজর) উদিত হয়েছে। অতএব এখানে أَعْظَمُ শব্দটি অধিক ফাযীলাত বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়নি।

(২) এ হাদীস দ্বারা উদ্দেশ্য চাঁদনী রাতসমূহ। কেননা চাঁদের আলোর কারণে চাঁদনী রাত্রে ফাজরের (ফজরের) শুরুটা বুঝতে অসুবিধা হয় তাই একটু বিলম্ব করা যাতে ফাজর (ফজর) সুস্পষ্ট হয়।

(৩) এর দ্বারা উদ্দেশ্য সে সময় যখন রাত ছোট হয়ে যায় যেমন- মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ)-এর হাদীসে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ইয়ামানে প্রেরণকালে বললেনঃ হে মু‘আয! শীতকালে ভোরের অন্ধকারে ফাজরের (ফজরের) সালাত আদায় করবে এবং লোকেদের সাধ্যেকুলায় এমনভাবে সালাতের ক্বিরাআত (কিরআত) দীর্ঘ করবে। আর গরমকালে ফর্সা আলোতে ফাজরের (ফজরের) সালাত আদায় করবে। কেননা তখন রাত ছোট হয়ে থাকে ফলে লোকজন ঘুমিয়ে থাকে। সুতরাং তাদেরকে ফাজরের (ফজরের) সালাত জামা‘আতে আদায় করার সুযোগ দাও। হাদীসটি ইমাম বাগাভী শারহুস্ সুন্নাহতে, বাক্বী ইবনু মুখাল্লাদ স্বীয় মুসনাদে এবং আবূ নু‘আয়ম হিল্ইয়াতে বর্ণনা করেছেন।

(৪) এর দ্বারা উদ্দেশ্য ফাজরের (ফজরের) সালাতে ক্বিরাআত (কিরআত) লম্বা করো যাতে ফর্সা আলোর সময় সালাত শেষ হয়। ‘আল্লামা ইবনুল ক্বইয়্যিম ই‘লামুল মুয়াক্কিনে এমনটি বলেছেন। ইমাম তাহাভী শারহুল আসার গ্রন্থে এ অভিমতটিকে গ্রহণ করেছেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)