৬০৪

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - প্রথম ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সালাত আদায়

৬০৪-[১৮] আবূ ক্বাতাদাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঘুমিয়ে থাকার কারণে সালাত আদায় করতে না পারলে তা দোষ নেই। দোষ হলো জেগে থেকেও সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় না করা। সুতরাং তোমাদের কেউ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে ভুলে গেলে অথবা সালাতের সময় ঘুমিয়ে থাকলে, যে সময়েই তার কথা স্মরণ হবে, আদায় করে নিবে। কারণ আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, ’’আমার স্মরণে সালাত আদায় কর’’- (সূরাহ্ ত্ব-হা- ২০: ১৪)। (মুসলিম)[1]

بَابُ تَعْجِيْلِ الصَّلَوَاتِ

وَعَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَيْسَ فِي النَّوْمِ تَفْرِيطٌ إِنَّمَا التَّفْرِيطُ فِي الْيَقَظَةِ. فَإِذَا نَسِيَ أَحَدُكُمْ صَلَاةً أَوْ نَامَ عَنْهَا فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ: (وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لذكري)
رَوَاهُ مُسلم

وعن ابي قتادة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ليس في النوم تفريط انما التفريط في اليقظة. فاذا نسي احدكم صلاة او نام عنها فليصلها اذا ذكرها فان الله تعالى قال: (واقم الصلاة لذكري) رواه مسلم

ব্যাখ্যা: কোন ব্যক্তির ঘুম কোন ত্রুটি নয়, অর্থাৎ- এতে ত্রুটি ধরা হয় না। তবে ঘুমিয়ে থাকা ত্রুটি হবে যখন ঐ ঘুম এমন সময়ে হবে যাতে সালাতের সময় অতিবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। যেমন ‘ইশার সালাতের পূর্বে ঘুমানো। এ হাদীস দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, স্বাভাবিক ঘুমে থাকা অবস্থায় সালাতের সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে কোন দোষ নেই। কেননা এ ত্রুটিতে ঐ ব্যক্তির কোন ইচ্ছা ছিল না।

ইমাম শাওকানী বলেন, সালাতের ওয়াক্ত সংকীর্ণ হওয়া, সালাতের নির্ধারিত সময় শুরু কিংবা পরে যখনই হোক ঘুমানো অবস্থা কোন ত্রুটি হবে না, বাহ্যিক হাদীসে এটাই প্রমাণিত হয়। কারো কারো মতে, কেউ যদি সালাতের ওয়াক্ত সংকীর্ণ হওয়ার পূর্বে ইচ্ছাকৃতভাবে ঘুমিয়ে যায় আর এটিকে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) পরিত্যাগের জন্য কারণ হিসেবে গ্রহণ করে অথচ তার প্রবল ধারণা ছিল যে, সে সালাতের নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পূর্বে ঘুম থেকে জাগ্রত হতে পারবে না তাহলে গুনাহগার হবে।

সালাতের ওয়াক্ত সংকীর্ণ হওয়ার পরে যদি কেউ ঘুমায় তাহলে সে অবশ্যই গুনাহগার হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘আমার স্মরণে সালাত ক্বায়িম করো’’। অতএব এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, আমাদের পূর্ববর্তী নাবীগণের শারী‘আতও আমাদের শারী‘আত হতে পারে। কারণ উল্লিখিত আয়াত মূসা (আঃ)-কে উদ্দেশ্য করে নাযিল হয়েছিল। তাই হাদীসের উসূল অনুযায়ী এগুলো দলীল হতে পারে যতক্ষণ না এর রহিতকারী (নাসিখ) অন্য কোন নির্দেশনা না পাওয়া যায়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)