৪২৬

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন

৪২৬-[৩৬] মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহ্ইয়া ইবনু হিব্বান (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ)-এর ছেলে ’উবায়দুল্লাহ কে বললাম, আমাকে বলুন তো, ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) কি প্রত্যেক সালাতের জন্য উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করতেন, চাই উযূ থাকুক কি না থাকুক, আর তিনি কার থেকে এ ’আমল অর্জন করেছেন? ’উবায়দুল্লাহ (রহঃ) বললেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ)-এর নিকট আসমা বিনতু যায়দ ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন যে, ’আবদুল্লাহ ইবনু হানযালাহ্ আবূ ’আমির ইবনুল গসীল (রাঃ)এ হাদীস তাঁর নিকট বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রত্যেক সালাতে উযূ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, চাই তাঁর উযূ থাকুক কি না থাকুক। এ কাজ তাঁর ওপর কঠিন হয়ে পড়লে প্রত্যেক সালাতে মিসওয়াক করতে নির্দেশ দেয়া হলো, উযূ (ওযু/ওজু/অজু) মাওকূফ করা হলো, যতক্ষণ পর্যন্ত না উযূ ভঙ্গ হয়। ’উবায়দুল্লাহ বললেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) মনে করতেন যে, তার মধ্যে প্রত্যেক সালাতে করার শক্তি রয়েছে। তাই তিনি মৃত্যু পর্যন্ত এ ’আমল করেছেন। (আহমাদ)[1]

وَعَن مُحَمَّد بن يحيى بن حبَان الْأنْصَارِيّ ثمَّ الْمَازِني مَازِن بني النجار عَن عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ قلت لَهُ أَرَأَيْتَ وُضُوءَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ لِكُلِّ صَلَاةٍ طَاهِرًا كَانَ أَوْ غَيْرَ طَاهِرٍ عَمَّنْ أَخَذَهُ؟ فَقَالَ: حَدَّثَتْهُ أَسْمَاءُ بِنْتُ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ حَنْظَلَةَ بْنِ أبي عَامر ابْن الْغَسِيلِ حَدَّثَهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ أُمِرَ بِالْوُضُوءِ لِكُلِّ صَلَاةٍ طَاهِرًا كَانَ أَوْ غَيْرَ طَاهِرٍ فَلَمَّا شَقَّ ذَلِكَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمِرَ بِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ وَوُضِعَ عَنْهُ الْوُضُوءُ إِلَّا مِنْ حَدَثٍ قَالَ فَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَرَى أَنَّ بِهِ قُوَّةً عَلَى ذَلِكَ كَانَ يَفْعَله حَتَّى مَاتَ. رَوَاهُ أَحْمد

وعن محمد بن يحيى بن حبان الانصاري ثم المازني مازن بني النجار عن عبيد الله بن عبد الله بن عمر قال قلت له ارايت وضوء عبد الله بن عمر لكل صلاة طاهرا كان او غير طاهر عمن اخذه؟ فقال: حدثته اسماء بنت زيد بن الخطاب ان عبد الله بن حنظلة بن ابي عامر ابن الغسيل حدثها ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان امر بالوضوء لكل صلاة طاهرا كان او غير طاهر فلما شق ذلك على رسول الله صلى الله عليه وسلم امر بالسواك عند كل صلاة ووضع عنه الوضوء الا من حدث قال فكان عبد الله يرى ان به قوة على ذلك كان يفعله حتى مات. رواه احمد

ব্যাখ্যা: নিশ্চয়ই ‘আবদুল্লাহ ইবনু হানযালাহ্- তাকে বলা হয় ইবনুল গসীল। অর্থাৎ- ধৌত কৃতের ছেলে। কেননা তার আববার নাম হানযালাহ্ غَسِيْلُ الْمَلَائِكَةِ অর্থ যাকে মালাক (ফেরেশতা) গোসল দিয়েছেন। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অবশ্যই আমি দেখেছি মালায়িকাহ্-কে তাকে গোসল দিতে। যেমন- (الإ ستيعاب) গ্রন্থে রয়েছে ১ম খ-, ১০৫ পৃঃ।

প্রত্যেক সালাতের জন্য উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করা ও মিসওয়াক করা অতি উত্তম। ইমাম ত্বীবী বলেন, মিসওয়াক করা মর্যাদাপূর্ণ এমনকি তা ওয়াজিবের স্থলাভিষিক্ত করা যায়। ওয়াজিবের নিকটবর্তী। তাই মিসওয়াক করাটা প্রতি সালাতে কষ্টকর হলেও করাটা অতি উত্তম। আর উযূর প্রসঙ্গে বলা হয়েছে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) না থাকলে উযূ (ওযু/ওজু/অজু)  করতে হবে। উযূ (ওযু/ওজু/অজু)  থাকলে পুনরায় উযূ (ওযু/ওজু/অজু)  করা অত্যাবশ্যক নয়, করলে ভালো।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩: পাক-পবিত্রতা (كتاب الطهارة)