পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৭৫-[৭৮] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা ’জুব্বুল হুযন’ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! ’জুব্বুল হুযন’ কী? তিনি বললেন, এটা হলো জাহান্নামের মধ্যে একটি গর্ত। এ গর্ত হতে বাঁচার জন্য জাহান্নামও নিজেই দৈনিক চারশ’ বার আল্লাহর নিকট আশ্রয় চায়। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! এতে (এ গর্তে) কারা যাবে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যারা দেখাবার উদ্দেশে ’আমল ও কুরআন অধ্যয়ন করে থাকে।
তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ মুক্বদ্দামাহ্; ইবনু মাজার অপর বর্ণনায় রয়েছেঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথাও বলেছেন, কুরআন অধ্যয়নকারী (’আলিম)-গণের মধ্যে তারাই আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা ঘৃণিত, যারা আমীর-উমারার সাথে বেশী বেশী সাক্ষাৎ বা মেলামেশা করে।[1] মুহারিবী বলেনঃ উমারা বলতে বুঝানো হয়েছে অত্যাচারী শাসক।
اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنْ جُبِّ الْحَزَنِ» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا جُبُّ الْحَزَنِ؟ قَالَ: «وَادٍ فِي جَهَنَّمَ تَتَعَوَّذُ مِنْهُ جَهَنَّم كل يَوْم أَرْبَعمِائَة مرّة» . قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَنْ يَدْخُلُهَا قَالَ: «الْقُرَّاءُ الْمُرَاءُونَ بِأَعْمَالِهِمْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَكَذَا ابْنُ مَاجَهْ وَزَادَ فِيهِ: «وَإِنَّ مِنْ أَبْغَضِ الْقُرَّاءِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الَّذِينَ يَزُورُونَ الْأُمَرَاءَ» . قَالَ الْمُحَارِبِيُّ: يَعْنِي الجورة
ব্যাখ্যা: এ হাদীসে ‘জুববুল হুযন’ নামক জাহান্নামের একটি গভীর উপত্যকার কথা এসেছে যা পূর্ণাঙ্গ গভীরতার কারণে কূপের সাথে সাদৃশ্য রাখে। হাদীসে আরো উল্লেখ হয়েছে, জাহান্নাম ‘জুববুল হুযন’ হতে প্রত্যেকদিন চারশত বার আশ্রয় চায়, অন্য বর্ণনাতে আছে একশত বার আশ্রয় চায়। উভয় বর্ণনাতে বাহ্যিক দৃষ্টিতে পার্থক্য মনে হলেও মূলত কম সংখ্যা বেশী সংখ্যার পরিপন্থী নয়। হাদীসের শেষে الْقُرَّاءُ দ্বারা কুরআন-সুন্নাহয় জ্ঞানী ব্যক্তি উদ্দেশ্য। হাদীসটি দ্বারা বুঝা যায়, জাহান্নামের বিভিন্ন স্তর রয়েছে যাদের কোনটির শাস্তি কোনটি হতে তীব্রতর। ফলে কোনটি কোনটি হতে আশ্রয় চায়। হাদীস দ্বারা এটাও বুঝা যায়, দীনী উদ্দেশ্য ছাড়া সম্মান ও সম্পদের উদ্দেশে আমীরদের সাথে সাক্ষাৎকারীরা আল্লাহর নিকট অত্যন্ত নিকৃষ্ট।