১৯৫

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা

১৯৫-[৫৬] উক্ত রাবী (জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার কথা আল্লাহর কথাকে রহিত করতে পারে না, কিন্তু আল্লাহর কথা আমার কথাকে রহিত করে। এছাড়া কুরআনের একাংশ অপরাংশকে রহিত করে।[1]

باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثالث

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَلَامِي لَا يَنْسَخُ كَلَامَ اللَّهِ وَكَلَامُ اللَّهِ يَنْسَخُ كَلَامِي وَكَلَامُ اللَّهِ يَنْسَخُ بعضه بَعْضًا»

وعن جابر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «كلامي لا ينسخ كلام الله وكلام الله ينسخ كلامي وكلام الله ينسخ بعضه بعضا»

ব্যাখ্যা: শারী‘আতের পরিভাষায় ‘নাসখ’ বা মানসূখ’’ বলা হয় পূর্ববর্তী কোন বিধানকে পরবর্তী বিধান কর্তৃক রহিত করাকে। এর পাঁচটি অবস্থা রয়েছেঃ

কুরআনকে কুরআন দ্বারা রহিত করা।

মুতাওয়াতির হাদীস দ্বারা মুতাওয়াতির হাদীসকে এবং খবরে ওয়াহিদ দ্বারা খবরে ওয়াহিদকে রহিত করা।

এই দুই প্রকারের রহিত করার ব্যাপারে কোন মতবিরোধ নেই।

কুরআনের দ্বারা হাদীসের বিধানকে রহিত করা। যেমনঃ বায়তুল মাকদিসের দিকে ফিরে সালাত আদা করার বিধান যখন ছিল।

এই প্রকারের রহিত করা অধিক সংখ্যক ইমাম ও ‘আলিমের মতে জায়িয।

মুতাওয়াতির হাদীস দ্বারা কুরআনী বিধানকে রহিত করা।

এ ধরনের রহিত করার ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে। অনেকেই জায়িযের পক্ষে গিয়েছেন। আবার অনেকেই এর বিরুদ্ধে গিয়েছেন তবে যেহেতু ‘আমল রহিতকারী, স্বয়ং আল্লাহ তিনি শুধুমাত্র রসূলের যবানীতে করিয়েছেন, তাই বেশী সংখ্যক লোক জায়িযের পক্ষেই রয়েছেন।

রহিত করণের পাঁচ নম্বর অবস্থান হচ্ছে, কুরআনকে মুতাওয়াতির হাদীসকের খবরে ওয়াহিদ দ্বারা রহিত করা। এ ব্যাপারেও মতবিরোধ রয়েছে এবং অধিক সংখ্যকদের মতে জায়িয নয়।


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان)