১৮২

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা

১৮২-[৪৩] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেনঃ কুরআন পাঁচটি বিষয়সহ নাযিল হয়েছেঃ (১) হালাল (২) হারাম (৩) মুহ্‌কাম (৪) মুতাশাবিহ ও (৫) আমসাল (উপদেশপূর্ণ ঘটনা)। সুতরাং তোমরা হালালকে হালাল জানবে, হারামকে হারাম মনে করবে। মুহকামের উপর ’আমল করবে, মুতাশাবিহের সাথে ঈমান পোষণ করবে। আর আমসাল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে। এটা মাসাবীহের বাক্য বিন্যাস। কিন্তু বায়হাক্বী শু’আবুল ঈমানে এরূপ বর্ণনা করেছেনঃ তোমরা হালালের উপর ’আমল কর, হারাম থেকে বেঁচে থাক এবং মুহকামের অনুসরণ কর।[1]

باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثاني

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: نَزَلَ الْقُرْآنُ عَلَى خَمْسَةِ أَوْجُهٍ: حَلَالٍ وَحَرَامٍ وَمُحْكَمٍ وَمُتَشَابِهٍ وَأَمْثَالٍ. فَأَحِلُّوا الْحَلَالَ وَحَرِّمُوا الْحَرَامَ وَاعْمَلُوا بِالْمُحْكَمِ وَآمِنُوا بِالْمُتَشَابِهِ وَاعْتَبِرُوا بِالْأَمْثَالِ . هَذَا لَفْظَ الْمَصَابِيحِ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الايمان وَلَفْظُهُ: «فَاعْمَلُوا بِالْحَلَالِ وَاجْتَنِبُوا الْحَرَامَ وَاتَّبِعُوا الْمُحْكَمَ»

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: نزل القران على خمسة اوجه: حلال وحرام ومحكم ومتشابه وامثال. فاحلوا الحلال وحرموا الحرام واعملوا بالمحكم وامنوا بالمتشابه واعتبروا بالامثال . هذا لفظ المصابيح. وروى البيهقي في شعب الايمان ولفظه: «فاعملوا بالحلال واجتنبوا الحرام واتبعوا المحكم»

ব্যাখ্যা: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী কুরআন পাঁচ রকমের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আয়াত নিয়ে নাযিল হয়েছে তার মধ্যে ‘‘মুতাশাবিহ’’ যেমন হুরূফে মুকাত্ত্বাআতঃ حم، - الم ইত্যাদি। আরেক প্রকার হলো ‘‘আমসাল’’ অর্থাৎ- পূর্ববর্তী ঘটনাবলী। যেমনঃ ক্বওমে নূহ এবং সালিহ (রাঃ)-এর ঘটনাবলী অথবা ‘‘আমসাল’’ দ্বারা আরো উদ্দেশ্য হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক উদাহরণ পেশ করা। যেমনঃ

مَثَلُ الَّذِيْنَ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِ اللّهِ أَوْلِيَآءَ كَمَثَلِ الْعَنْكَبُوْتِ

অর্থাৎ- ‘‘আল্লাহকে বাদ দিয়ে যে অন্য কিছুকে ওয়ালী বানিয়ে নিয়েছে তার উদাহরণ হলো মাকড়সা।’’ (সূরাহ্ আল ‘আনকাবূত ২৯ঃ ৪১)

কুরআন সাতটি পন্থায় এবং সাত রকমে নাযিল হয়েছেঃ ধমক প্রদানকারী, নির্দেশ প্রদানকারী, হালাল, হারাম, মুহকাম, মুতাশাবিহ ও আমসাল (হিসেবে)। অতএব, হালালকে হালাল জানবে, হারামকে হারাম মনে করবে, যে ব্যাপারে নির্দেশ করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন করবে এবং নিষেধ থেকে বিরত থাকবে। আমসাল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে, মুহাকামের উপর ‘আমল করবে এবং মুতাশাবিহ এর উপর ঈমান আনবে। আর বলবেঃ আমরা ওর প্রতি ঈমান আনলাম। সবই আমাদের রবের পক্ষ থেকে।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان)