৬৯

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সন্দেহ-সংশয়, কুমন্ত্রণা

৬৯-[৭] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আদম সন্তানের মধ্যে এমন কেউ নেই যার জন্মলগ্নে শায়ত্বন (শয়তান) তাকে স্পর্শ করেনি। আর এ কারণেই সন্তান জন্মকালে চিৎকার দিয়ে উঠে। শুধুমাত্র মারইয়াম (আঃ) ও তাঁর পুত্র [’ঈসা (আঃ) ] এর ব্যতিক্রম (তাদের শায়ত্বন (শয়তান) স্পর্শ করতে পারেনি)। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْوَسْوَسَةِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ بَنِي آدَمَ مَوْلُودٌ إِلَّا يَمَسُّهُ الشَّيْطَانُ حِينَ يُولَدُ فَيَسْتَهِلُّ صَارِخًا مِنْ مَسِّ الشَّيْطَانِ غَيْرَ مَرْيَمَ وَابْنِهَا»

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ما من بني ادم مولود الا يمسه الشيطان حين يولد فيستهل صارخا من مس الشيطان غير مريم وابنها»

Chapter: Evil Promptings - Section 1


Abu Huraira reported God’s messenger as saying, “Except Mary and her son, no human being is born without the devil touching him, so that he raises his voice crying out because of the devil's touch”

(Bukhari and Muslim.)

ব্যাখ্যা: হাদীসে বর্ণিত المس শব্দের অর্থ আঘাত বা খোঁচা। বুখারীতে বর্ণিত আছে (كُلُّ بَنِيْ ادَمُ يَطْعَنُ الشَّيْطَانُ فِيْ جَنَبِه بِإِصْبَعَيْهِ حِيْنَ يُوْلَدُ غَيْرَ عِيْسَى بْنُ مَرْيَمَ) সকল আদম সন্তানের জন্মের সময় শায়ত্বন (শয়তান) আঙ্গুল দ্বারা ভূমিষ্ঠ শিশুর পার্শ্বদেশে আঘাত করে। ‘ঈসা (আঃ) ইবনু মারইয়াম (আঃ) -এর ব্যতিক্রম। ইমাম কুরতুবী বলেনঃ এ আঘাত আদম সন্তানের ওপর তার প্রথম আক্রমণ। আল্লাহ তা‘আলা ‘ঈসা (আঃ)  ও তাঁর মাকে ‘ঈসা (আঃ)-এর নানীর দু‘আর বারাকাতে তাদের উভয়কে এ আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছেন।

তবে ‘ঈসা (আঃ) ও তাঁর মা এ থেকে রক্ষা পাওয়া দ্বারা এটা বুঝায় না যে, তাঁরা আমাদের নাবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেয়ে বেশী মর্যাদাবান ছিলেন। কেননা নাবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এমন কিছু ফাযীলাত ও মু‘জিযা রয়েছে যা অন্য কোন নাবীর নেই।

ইমাম নবাবী বলেন, হাদীসের প্রকাশ্য অর্থ দ্বারা বুঝা যায় যে, বর্ণিত মর্যাদা শুধুমাত্র ‘ঈসা (আঃ)  ও তার মায়ের বৈশিষ্ট্য। তবে ক্বাযী ‘ইয়ায ইঙ্গিত করেছেন যে, সকল নাবীগণই এই মর্যাদার অধিকারী। কেননা নাবীগণ সকলেই শায়ত্বনের (শয়তানের) প্রভাব থেকে মুক্ত। তবে মারইয়াম (আঃ)-এর মা হান্নাহ্-এর দু‘আর কারণে শুধুমাত্র এ দু’জনের নাম হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যান্য নাবীগণও এতে শামিল আছেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان)