৫৫

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ ও মুনাফিক্বীর নিদর্শন

৫৫-[৭] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুনাফিক্বের নিদর্শন তিনটি- (১) যখন কথা বলে, মিথ্যা বলে; (২) যখন ওয়া’দা করে, তা ভঙ্গ করে এবং (৩) যখন তার নিকট কোন আমানাত রাখা হয়, তার খিয়ানত (বিশ্বাসঘাতকতা) করে। ইমাম মুসলিমের বর্ণনায় আরো আছে, চাই সে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করুক ও সিয়াম পালন করুক এবং দাবী করে সে মুসলিম।[1]

بَابُ الْكَبَائِرِ وَعَلَامَاتِ النِّفَاقِ- الفصل الأول

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ( «آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلَاثٌ» . زَادَ مُسْلِمٌ: «وَإِنْ صَامَ وَصَلَّى وَزَعَمَ أَنَّهُ مُسْلِمٌ» . ثُمَّ اتَّفَقَا: «إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ وَإِذَا اؤتمن خَان»

وعن ابي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ( «اية المنافق ثلاث» . زاد مسلم: «وان صام وصلى وزعم انه مسلم» . ثم اتفقا: «اذا حدث كذب واذا وعد اخلف واذا اوتمن خان»

Chapter: Major Sins and the Signs of Hypocrisy - Section 1


Abu Huraira reported God's messenger as saying, “There are three signs of a hypocrite.” Muslim added, “Even if he fasts, prays, and asserts that he is a Muslim.” Thereafter both Bukhari and Muslim said, “When he speaks he lies, when he makes a promise he breaks it, and when he is trusted he betrays his trust.”

ব্যাখ্যা: নিফাক্বের শাব্দিক অর্থ হলো আভ্যন্তরীণ বিষয় বাহ্যিক বিষয়ের বিপরীত হওয়া। এ বৈপরীত্য যদি বিশ্বাসের ক্ষেত্রে হয় তবে তা নিফাকুল কুফর। একে বড় নিফাক্ব বা মুনাফিক্বী বলা হয়। আর এ নিফাক্ব যদি বিশ্বাসের ক্ষেত্রে না হয় তবে তা নিফাকুল ‘আমল। আর তা কোন কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রেও হতে পারে। আবার কাজ না করার ক্ষেত্রেও হতে পারে। আর এ ধরনের নিফাক্বকে ছোট মুনাফিক্বী বলা হয়। আর তা হলো বাহ্যিকভাবে কোন কাজ সুন্দরভাবে সম্পাদন করা, কিন্তু দীনের আভ্যন্তরীণ বিষয়কে সংরক্ষণ না করা। যদিও এ ধরনের লোকেরা মুসলিমদের ন্যায় সালাত (সালাত/নামায/নামাজ), সওম ও অন্যান্য ‘ইবাদাতমূলক কাজ সম্পাদন করে তবুও তারা মুনাফিক্ব। এ হাদীসে বিশেষভাবে তিনটি অভ্যাসকে মুনাফিক্বের নিদর্শনরূপে উল্লেখ করার কারণ এই যে, এ তিনটি অভ্যাস নিফাক্বের ভিত্তি। কেননা মিথ্যা হলো বাস্তবের বিপরীত সংবাদ দেয়া।

আর আমানাতের হক হলো তা তার মালিকের নিকট ফেরত দেয়া। আর আমানাত হলো খিয়ানাতের বিপরীত। আর ওয়া‘দা ভঙ্গ করা অর্থ ওয়া‘দার বিপরীত কাজ করা। আর এ বৈপরীত্যই নিফাক্বের মূল। যার মধ্যে এগুলোর সমাবেশ ঘটবে এবং তা অভ্যাসে পরিণত করে নিবে এবং তা অব্যাহত রাখবে, ফলে তার ব্যক্তি সত্তার মধ্যে এগুলো দৃঢ় হয়ে যাবে। যার অবস্থা এমন হয়ে যাবে যে তার মধ্যে সত্য প্রবেশের কোন রাস্তা থাকবে না এবং আমানাতের উপযোগী থাকবে না। যার অবস্থা এরূপ হবে তাকে মুনাফিক্বরূপে নামকরণ করাই বেশী উপযোগী। আর মু’মিনের মধ্যে এ রকম কোন অভ্যাস পাওয়া গেলেও তা ক্ষণিকের জন্য। যদিও সে কিছু সময় এ কাজে লিপ্ত থাকে পরক্ষণেই তা আবার ত্যাগ করে। কোন একটি অভ্যাস তার মধ্যে পাওয়া গেলে অন্যটি অনুপস্থিত থাকে। এসবগুলো একত্রে এবং স্থায়ীভাবে কেবলমাত্র মুনাফিক্বের মধ্যেই পাওয়া সম্ভব।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان)