৪১

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৪১-[৪০] ’উসমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যখন ইন্তিকাল হলো, (তাঁর ইন্তিকালে শোকাহত হয়ে) তাঁর সাহাবীগণের মধ্যে কতক লোক অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়লেন। এমনকি সাহাবীগণের কারো কারো মনে নানারূপ সন্দেহ-সংশয় দেখা দেয়। (তাঁর ইন্তিকালের পর এ দীন টিকে থাকবে কি?) ’উসমান (রাঃ) বলেন, আমিও তাদের অন্যতম ছিলাম। এমতাবস্থায় আমি বসেছিলাম আর ’উমার (রাঃ) আমার পাশ দিয়ে চলে গেলেন এবং আমাকে সালামও দিলেন, অথচ আমি তা টেরও পেলাম না। ’উমার (রাঃ) গিয়ে আমার বিরুদ্ধে আবূ বকরের কাছে অভিযোগ পেশ করলেন। অতঃপর তাঁরা দু’জন আমার নিকট আসলেন এবং উভয়ে আমাকে সালাম করলেন। অতঃপর আবূ বকর (রাঃ) বললেন, তোমার ভাই ’উমার (রাঃ)-এর সালামের জবাব কেন দিলে না? আমি বললাম, আমি তো এরূপ করিনি। ’উমার (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! নিশ্চয় তুমি এরূপ করেছো। ’উসমান (রাঃ) বললেন, আমি বললাম, আল্লাহর কসম, আমি মোটেই বুঝতে পারিনি আপনি কখন এখান দিয়ে গেছেন ও আমাকে সালাম করেছেন। (কথোপকথন শুনে) আবূ বকর (রাঃ) বললেন, ’উসমান (রাঃ) সত্যই বলেছেন। নিশ্চয়ই আপনাকে কোন দুশ্চিন্তাই হয়তো বিরত রেখেছিল।

তখন আমি বললাম, জ্বি, হতে পারে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, সে (ব্যাপারটা) কি? আমি বললাম, আল্লাহ তা’আলা তাঁর রসূলকে উঠিয়ে নিয়ে গেলেন অথচ আমরা তাঁকে একটি বিষয় (মনের অযথা খটকা) হতে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে পারিনি। আবূ বকর (রাঃ) বললেন, (চিন্তার কোন বিষয় নয়) আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছি। (এটা শুনে) আমি আবূ বকরের দিকে এগিয়ে গিয়ে বললাম, আমার মাতা-পিতা আপনার জন্য কুরবান হোক। আপনিই এ রকম কাজের যোগ্য ব্যক্তি। তারপর আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! এ বিষয়টি হতে মুক্তির উপায় কি? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জবাবে বললেন, যে লোক সে কালিমাহ্ গ্রহণ করলো, যা আমি আমার চাচা (আবূ ত্বালিব)-কে বলেছিলাম এবং তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, তার জন্য এটাই হলো মুক্তির মাধ্যম। (আহমাদ)[1]

الفصل الثالث

عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: إِنَّ رِجَالًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَزِنُوا عَلَيْهِ حَتَّى كَادَ بَعْضُهُمْ يُوَسْوِسُ قَالَ عُثْمَان وَكنت مِنْهُم فَبينا أَنا جَالس فِي ظلّ أَطَم من الْآطَام مر عَليّ عمر رَضِي الله عَنهُ فَسلم عَليّ فَلم أشعر أَنه مر وَلَا سلم فَانْطَلق عمر حَتَّى دخل على أبي بكر رَضِي الله عَنهُ فَقَالَ لَهُ مَا يُعْجِبك أَنِّي مَرَرْت على عُثْمَان فَسلمت عَلَيْهِ فَلم يرد عَليّ السَّلَام وَأَقْبل هُوَ وَأَبُو بكر فِي وِلَايَةَ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ حَتَّى سلما عَليّ جَمِيعًا ثمَّ قَالَ أَبُو بكر جَاءَنِي أَخُوك عمر فَذكر أَنه مر عَلَيْك فَسلم فَلم ترد عَلَيْهِ السَّلَام فَمَا الَّذِي حملك على ذَلِك قَالَ قُلْتُ مَا فَعَلْتُ فَقَالَ عُمَرُ بَلَى وَاللَّهِ لقد فعلت وَلكنهَا عبيتكم يَا بني أُميَّة قَالَ قُلْتُ وَاللَّهِ مَا شَعَرْتُ أَنَّكَ مَرَرْتَ وَلَا سَلَّمْتَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ صَدَقَ عُثْمَانُ وَقد شَغَلَكَ عَنْ ذَلِكَ أَمْرٌ فَقُلْتُ أَجْلَ قَالَ مَا هُوَ فَقَالَ عُثْمَان رَضِي الله عَنهُ توفى الله عز وَجل نَبِيَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ أَنْ نَسْأَلَهُ عَنْ نَجَاةِ هَذَا الْأَمْرِ قَالَ أَبُو بكر قد سَأَلته عَن ذَلِك قَالَ فَقُمْت إِلَيْهِ فَقلت لَهُ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي أَنْتَ أَحَقُّ بِهَا قَالَ أَبُو بَكْرٍ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا نَجَاةُ هَذَا الْأَمْرِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَبِلَ مِنِّي الْكَلِمَةَ الَّتِي عَرَضْتُ عَلَى عَمِّي فَرَدَّهَا فَهِيَ لَهُ نجاة. رَوَاهُ أَحْمد

عن عثمان بن عفان رضي الله عنه قال: ان رجالا من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم حين توفي النبي صلى الله عليه وسلم حزنوا عليه حتى كاد بعضهم يوسوس قال عثمان وكنت منهم فبينا انا جالس في ظل اطم من الاطام مر علي عمر رضي الله عنه فسلم علي فلم اشعر انه مر ولا سلم فانطلق عمر حتى دخل على ابي بكر رضي الله عنه فقال له ما يعجبك اني مررت على عثمان فسلمت عليه فلم يرد علي السلام واقبل هو وابو بكر في ولاية ابي بكر رضي الله عنه حتى سلما علي جميعا ثم قال ابو بكر جاءني اخوك عمر فذكر انه مر عليك فسلم فلم ترد عليه السلام فما الذي حملك على ذلك قال قلت ما فعلت فقال عمر بلى والله لقد فعلت ولكنها عبيتكم يا بني امية قال قلت والله ما شعرت انك مررت ولا سلمت قال ابو بكر صدق عثمان وقد شغلك عن ذلك امر فقلت اجل قال ما هو فقال عثمان رضي الله عنه توفى الله عز وجل نبيه صلى الله عليه وسلم قبل ان نساله عن نجاة هذا الامر قال ابو بكر قد سالته عن ذلك قال فقمت اليه فقلت له بابي انت وامي انت احق بها قال ابو بكر قلت يا رسول الله ما نجاة هذا الامر فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم من قبل مني الكلمة التي عرضت على عمي فردها فهي له نجاة. رواه احمد

Chapter - Section 3


‘Uthman said that when the Prophet died some of his companions were so grieved that they almost began to harbour doubts. Remarking that he was one of them, ‘Uthman said:

While I was sitting ‘Umar passed me and gave me a salutation, but I did not notice it. ‘Umar complained to Abu Bakr, and the two of them came forward and gave me a salutation; then Abu Bakr asked, “What induced you to refrain from returning the salutation of your brother ‘Umar?” I replied, “I did no such thing.” ‘Umar retorted, “Yes, I swear by God, you did.” I said, “I swear by God that I did not notice you passing me or giving me a salutation.” Abu Bakr then said, “‘Uthman is speaking the truth. Something must have distracted you.” On my replying that it had, he asked me what it was, and I said, “God has taken His Prophet before we asked him wherein this affair provides salvation.” Abu Bakr said that he had asked him about that, so I rose and went to him and said to him, “You for whom I would give my father and mother as ransom are most worthy of it.” Abu Bakr then told me that he had asked, “Messenger of God, wherein does this affair provide salvation?” to which God’s messenger replied, “If anyone accepts from me the confession which I proposed to my paternal uncle* and he rejected, it will be salvation for him.”

Ahmad transmitted it.

* Abu Talib, the uncle who gave protection in Makkah, but did not accept his religion.

ব্যাখ্যা: الوسوسة (ওয়াস্ওয়াসাহ্) বলা হয় মনের কথাকে। আর তা অবশ্যই সংঘটিত বিষয়। মানুষের ‘আকলে যখন কোন ত্রুটি দেখা দেয় এবং এতে সে আবোল-তাবোল কথা বলে এটাকেও الوسوسة বলা হয়। মানুষের মনে যে অন্যায় কথার উদয় হয় অথবা এমন বিষয়ের উদয় হয় যার মধ্যে কোন কল্যাণ নেই তাও الوسوسة। চিন্তার আধিক্যের কারণে। আমিও তাদের একজন ছিলাম যাদের মধ্যে الوسوسة সৃষ্টি হয়েছিল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ বিষয় হতে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার আগেই আল্লাহ তাঁর মৃত্যু দিলেন। এ কথা দ্বারা তিনি শায়ত্বনের (শয়তানের) الوسوسة হতে মুক্তির উপায়ের বিষয়টি বুঝিয়েছেন।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان)