৩৫৭১

পরিচ্ছেদঃ ৩. ত্বলাকের নিয়্যাত না করে স্ত্রীকে হারাম সাব্যস্ত করলে তার উপর কাফফারাহ্ ওয়াজিব হবে

৩৫৭১-(২১/...) আবূ কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনুল ’আলা ও হারূন ইবনু আবদুল্লাহ (রহিমাহুমাল্লাহ) (আবূ উসামাহ সূত্রে) ..... হিশামের পিতা (উরওয়াহ্) সূত্রে আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিষ্ট দ্রব্য (হালুয়া) ও মধু পছন্দ করতেন। তার নিয়ম ছিল- আসরের সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায়ের পরে স্ত্রীদের ঘরে ঘরে এক চক্কর গিয়ে আসতেন এবং তাদের সান্নিধ্যে-সন্নিকটে গমন করতেন। এভাবে তিনি হাফসাহ (রাযিঃ) এর কাছে গেলেন এবং তার কাছে স্বাভাবিকভাবে আবদ্ধ থাকার সময়ের চেয়ে অধিক সময় আবদ্ধ রইলেন। আমি (আয়িশাহ্) এ বিষয় জিজ্ঞেস করলে আমাকে বলা হল- তাকে (হাফসাকে) তার গোত্রের কোন মহিলা এক পাত্র মধু হাদিয়া দিয়েছিল। তাই সে তা থেকে কিছু রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে পান করিয়েছিল।

(আয়িশাহ বলেন) আমি বললাম, ওহে আল্লাহর কসম! আমি অবশ্যই তার জন্য কৌশলের ফাঁদ পাতব। আমি বিষয়টি সাওদাহ্ এর সঙ্গে আলোচনা করলাম এবং তাকে বললাম, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমার কাছে আগমন করলে তিনি তো তোমার সন্নিকটে আসবেন, তখন তুমি তাকে বলবে, হে আল্লাহর রসূল! আপনি মাগাফীর খেয়েছেন। তখন তিনি তো তোমাকে বলবেন- ’না’। তখন তুমি তাকে বলবে, (তবে) এ দুর্গন্ধ কিসের?- আর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট হতে দুৰ্গন্ধ পাওয়া যাবে- এটা ছিল তার কাছে অতি অসহনীয় বিষয়। তখন তিনি তোমাকে বলবেন- হাফসাহ আমাকে মধুর শরবত পান করিয়েছে। তুমি তখন তাকে বলবে, ঐ মধুর মৌমাছি- উরফুত (গাছের কষ) চুষেছে।" আর আমিও তাকে এভাবেই বলব। আর তুমিও হে সফিয়াহ! তাই বলবে।

পরে যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাওদাহ (রাযিঃ)-এর কাছে গেলেন- ’আয়িশাহ্ (রাযিঃ) বলেন, সাওদাহ্ (রাযিঃ) এর বর্ণনা- “কসম সে সত্তার যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই! তুমি আমাকে যা কিছু বলেছিলে তা তার কাছে প্রকাশ করেই দিচ্ছিলাম প্রায় তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তখন দরজায়- তোমার ভয়ে (তা আর করা হল না)। পরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকটবর্তী হলে সে বলল, “হে আল্লাহর রসূল! আপনি মাগাফীর খেয়েছেন? তিনি বললেন, ’না’। সে (সাওদাহ্) বলল, তবে এ ঘ্রাণ কিসের? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হাফসাহ আমাকে মধুর শরবত পান করিয়েছে। সাওদাহ্ বলল, (তবে তাই) তার মৌমাছি উরফুত বা মাগাফিরের ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করেছে।”

পরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট আগমন করলে আমিও তাকে অনুরূপ বললাম। অতঃপর সফিয়্যাহ্ (রাযিঃ) এর কাছে গেলে সেও অনুরূপ বলল। পরে (আবার) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাফসাহ এর নিকট গেলে সে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি কি আপনাকে তা পান করতে দিব না? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তার প্রতি আমার কোন চাহিদা নেই।” আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, সাওদাহ (রাযিঃ) বলতে লাগল, আল্লাহর কসম আমরা তো তাকে (একটি প্রিয় পানীয় হতে) বঞ্চিত করে দিয়েছি। আয়িশাহ্ (রাযিঃ) বলেন, চুপ থাক। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪৩, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৪২)

باب وُجُوبِ الْكَفَّارَةِ عَلَى مَنْ حَرَّمَ امْرَأَتَهُ وَلَمْ يَنْوِ الطَّلاَقَ ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُحِبُّ الْحَلْوَاءَ وَالْعَسَلَ فَكَانَ إِذَا صَلَّى الْعَصْرَ دَارَ عَلَى نِسَائِهِ فَيَدْنُو مِنْهُنَّ فَدَخَلَ عَلَى حَفْصَةَ فَاحْتَبَسَ عِنْدَهَا أَكْثَرَ مِمَّا كَانَ يَحْتَبِسُ فَسَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ فَقِيلَ لِي أَهْدَتْ لَهَا امْرَأَةٌ مِنْ قَوْمِهَا عُكَّةً مِنْ عَسَلٍ فَسَقَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهُ شَرْبَةً فَقُلْتُ أَمَا وَاللَّهِ لَنَحْتَالَنَّ لَهُ ‏.‏ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِسَوْدَةَ وَقُلْتُ إِذَا دَخَلَ عَلَيْكِ فَإِنَّهُ سَيَدْنُو مِنْكِ فَقُولِي لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَكَلْتَ مَغَافِيرَ فَإِنَّهُ سَيَقُولُ لَكِ لاَ ‏.‏ فَقُولِي لَهُ مَا هَذِهِ الرِّيحُ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَشْتَدُّ عَلَيْهِ أَنْ يُوجَدَ مِنْهُ الرِّيحُ - فَإِنَّهُ سَيَقُولُ لَكِ سَقَتْنِي حَفْصَةُ شَرْبَةَ عَسَلٍ ‏.‏ فَقُولِي لَهُ جَرَسَتْ نَحْلُهُ الْعُرْفُطَ وَسَأَقُولُ ذَلِكَ لَهُ وَقُولِيهِ أَنْتِ يَا صَفِيَّةُ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى سَوْدَةَ قَالَتْ تَقُولُ سَوْدَةُ وَالَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ لَقَدْ كِدْتُ أَنْ أُبَادِئَهُ بِالَّذِي قُلْتِ لِي وَإِنَّهُ لَعَلَى الْبَابِ فَرَقًا مِنْكِ فَلَمَّا دَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَكَلْتَ مَغَافِيرَ قَالَ ‏"‏ لاَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ فَمَا هَذِهِ الرِّيحُ قَالَ ‏"‏ سَقَتْنِي حَفْصَةُ شَرْبَةَ عَسَلٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ جَرَسَتْ نَحْلُهُ الْعُرْفُطَ ‏.‏ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَىَّ قُلْتُ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ دَخَلَ عَلَى صَفِيَّةَ فَقَالَتْ بِمِثْلِ ذَلِكَ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى حَفْصَةَ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ أَسْقِيكَ مِنْهُ قَالَ ‏"‏ لاَ حَاجَةَ لِي بِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ تَقُولُ سَوْدَةُ سُبْحَانَ اللَّهِ وَاللَّهِ لَقَدْ حَرَمْنَاهُ ‏.‏ قَالَتْ قُلْتُ لَهَا اسْكُتِي ‏.‏

حدثنا ابو كريب، محمد بن العلاء وهارون بن عبد الله قالا حدثنا ابو اسامة، عن هشام، عن ابيه، عن عاىشة، قالت كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يحب الحلواء والعسل فكان اذا صلى العصر دار على نساىه فيدنو منهن فدخل على حفصة فاحتبس عندها اكثر مما كان يحتبس فسالت عن ذلك فقيل لي اهدت لها امراة من قومها عكة من عسل فسقت رسول الله صلى الله عليه وسلم منه شربة فقلت اما والله لنحتالن له ‏.‏ فذكرت ذلك لسودة وقلت اذا دخل عليك فانه سيدنو منك فقولي له يا رسول الله اكلت مغافير فانه سيقول لك لا ‏.‏ فقولي له ما هذه الريح وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم يشتد عليه ان يوجد منه الريح - فانه سيقول لك سقتني حفصة شربة عسل ‏.‏ فقولي له جرست نحله العرفط وساقول ذلك له وقوليه انت يا صفية فلما دخل على سودة قالت تقول سودة والذي لا اله الا هو لقد كدت ان ابادىه بالذي قلت لي وانه لعلى الباب فرقا منك فلما دنا رسول الله صلى الله عليه وسلم قالت يا رسول الله اكلت مغافير قال ‏"‏ لا ‏"‏ ‏.‏ قالت فما هذه الريح قال ‏"‏ سقتني حفصة شربة عسل ‏"‏ ‏.‏ قالت جرست نحله العرفط ‏.‏ فلما دخل على قلت له مثل ذلك ثم دخل على صفية فقالت بمثل ذلك فلما دخل على حفصة قالت يا رسول الله الا اسقيك منه قال ‏"‏ لا حاجة لي به ‏"‏ ‏.‏ قالت تقول سودة سبحان الله والله لقد حرمناه ‏.‏ قالت قلت لها اسكتي ‏.‏


'A'isha (Allah be pleased with her) reported Allah's Messenger (ﷺ) liked sweet (dish) and honey. After saying the afternoon prayer he used to visit his wives going close to them. So he went to Hafsa and stayed with her more than what was his usual stay. I ('A'isha) asked about that. It was said to me:
A woman of her family had sent her a small vessel of honey as a gift, and she gave to Allah's Messenger (ﷺ) from that a drink. I said: By Allah, we would also contrive a device for him. I mentioned that to Sauda, and said: When he (Allah's Apostle) would visit you and draw close to you, say to him: Allah's Messenger, have you taken maghafir? And he would'say to you: No. Then say to him: What is this odour? And Allah's Messenger (ﷺ) felt it very much that unpleasant odour should emit from him. So he would say to you: Hafsa has given me a drink of honey. Then you should say to him: The honey-bees might have sucked 'Urfut, and I would also say the same to him and. Safiyya, you should also say this. So when he (the Holy Prophet) came to Sauda, she said: By Him besides whom there is no god, it was under compulsion that I had decided to state that which you told me when he would be at a little distance at the door. So when Allah's Messenger (ﷺ) came near, she said: Messenger of Allah, did you eat Maghafir? He said: No. She (again) said: Then what is this odour? He said: Hafsa gave me honey to drink. She said: The honey-bee might have sucked 'Urfut. When he came to me I told him like this. He then visited Safiyya and she also said to him like this. When he (again) visited Hafsa, she said: Messenger of Allah, should I not give you that (drink)? He said: I do not need that. Sauda said: Hallowed be Allah, by Him we have (contrived) to make that (honey) unlawful for him. I said to her: Keep quiet.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উরওয়াহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق)