১৮১৫

পরিচ্ছেদঃ ২০. আমর ইবনু আবাসা (রাযিঃ)-এর ইসলাম গ্রহণ

১৮১৫-(২৯৪/৮৩২) আহমাদ ইবনু জাফার আল মাকিরি (রহঃ) ..... ’ইকরামাহ (রহঃ) বলেন, শাদ্দাদ (রহঃ), আবূ উমামাহ ও ওয়াসিলাহ (রাযিঃ) এর সাক্ষাৎ লাভ করেছে এবং সিরিয়ায় আনাস (রাযিঃ)-এর সাহচর্য লাভ করেছে এবং তার উচ্ছসিত প্রশংসা ও গুণগান করেছে। আবূ উসামাহ (রাযিঃ) বলেন, ’আমর ইবনু আবাসাহ আস সুলামী (রাযিঃ) বলেছেন, আমি জাহিলী যুগে ধারণা করতাম যে, সব লোকই পথভ্রষ্ট ও তাদের কোন ধর্ম নেই। তারা দেব-দেবীর পূজা করত। এ অবস্থায় আমি শুনতে পেলাম যে, মক্কায় জনৈক ব্যক্তি বিভিন্ন বিষয় বর্ণনা করেছেন। আমি আমার বাহনে উপবিষ্ট হয়ে তার নিকট এসে পৌছে দেখলাম যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজেকে জনসমাগম থেকে সরিয়ে রাখেন, তার সম্প্রদায় তাকে অত্যাচার-নির্যাতন করে। আমি কৌশলে মক্কায় তার নিকট প্রবেশ করলাম।

আমি তাকে বললাম, আপনি কে? তিনি বলেনঃ আমি একজন নবী। আমি বললাম, নবী কি? তিনি বললেনঃ আল্লাহ আমাকে পাঠিয়েছেন। আমি বললাম, তিনি আপনাকে কোন জিনিস দিয়ে পাঠিয়েছেন? তিনি বলেনঃ তিনি আমাকে আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখতে, মূর্তিসমূহ চূর্ণ-বিচূর্ণ করতে, আল্লাহ এক বলে- ঘোষণা করতে এবং তার সাথে কোন কিছু শারীক না করতে পাঠিয়েছেন। আমি তাকে বললাম, এ ব্যাপারে আপনার সাথে কারা আছে? তিনি বলেনঃ স্বাধীন ও দাসেরা।

বর্ণনাকারী বলেন, সেকালে তার সাথে ছিলেন তার ওপর ঈমান আনয়নকারী আবূ বকর (রাযিঃ), বিলাল (রাযিঃ) প্রমুখ। আমি বললাম, আমিও আপনার অনুসারী হতে চাই। তিনি বলেনঃ বর্তমান পরিস্থিতিতে তুমি তাতে সক্ষম হবে না। তুমি কি আমার অবস্থা এবং (ঈমান আনয়নকারী) অন্যদের অবস্থা দেখছ না? বরং তুমি তোমার পরিবারে ফিরে যাও, যখন তুমি শুনতে পাবে যে, আমি বিজয়ী হয়েছি তখন আমার নিকট এসো। বর্ণনাকারী বলেন, তাই আমি আমার পরিবারে ফিরে এলাম। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় আগমন করলেন, আমি তখন আমার পরিবারের সাথে ছিলাম। তিনি মদীনায় আসার পর থেকে আমি খবরাখবর নিতে থাকলাম এবং লোকজনের নিকট জিজ্ঞেস করতে থাকলাম।

শেষে আমার নিকট ইয়াসরিব-এর একদল লোক অর্থাৎ একদল মদীনাহবাসী এলে আমি জিজ্ঞেস করলাম, যে ব্যক্তি মদীনায় এসেছেন তিনি কি করনে? তারা বলেন, লোকজন অতি দ্রুত তার অনুসারী হচ্ছে, অথচ তার জাতি তাকে হত্যা করতে বদ্ধপরিকর, কিন্তু তারা তাতে সক্ষম হয়নি। অতএব, আমি মদীনায় এসে তার নিকট প্রবেশ করলাম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, তুমি তো মক্কায় আমার সাথে সাক্ষাৎ করেছিলে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললামঃ হ্যাঁ। আমি আরো বললাম, হে আল্লাহর নবী। আল্লাহ আপনাকে যা শিখিয়েছেন এবং যে সম্পর্কে আমি সম্পূর্ণ অজ্ঞ তা আমাকে শিক্ষা দিন, আমাকে সালাত সম্পর্কে অবহিত করুন।

তিনি বলেনঃ তুমি ফজরের সালাত আদায় কর, অতঃপর সূর্য উদিত হয়ে উপরে না ওঠা পর্যন্ত সালাত থেকে বিরত থাক। কারণ সূর্য উদিত হওয়ার সময় শাইতানের দু’ শিং-এর মাঝখান দিয়ে উদিত হয় এবং তখন কাফিররা সূর্যকে সিজদা করে। অতঃপর তীরের ছায়া তার সমান না হওয়া পর্যন্ত তুমি সালাত আদায় কর, কারণ এ সালাতে মালায়িকাহ উপস্থিত হন। অতঃপর সালাত থেকে বিরত থাক, কারণ তখন জাহান্নামকে উত্তপ্ত করা হয়। অতঃপর সূর্য যখন ঢলে যায় তখন থেকে সালাত আদায় কর এবং ’আসরের সালাত আদায় করা পর্যন্ত মালাকগণ (ফেরেশতামণ্ডলী) উপস্থিত থাকেন। অতঃপর সূর্য অস্তমিত হওয়া পর্যন্ত সালাত থেকে বিরত থাক। কারণ তা শাইতানের দু’ শিং-এর মাঝখান দিয়ে অস্ত যায় এবং তখন কাফিররা সূর্যকে সিজদা করে।

বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! ওযু সম্পর্কে আমাকে বলুন। তিনি বলেনঃ তোমাদের যে কোন ব্যক্তির নিকট ওযুর পানি পেশ করা হলে সে যেন কুলি করে, নাকে পানি দিয়ে তা পরিষ্কার করে, এতে তার মুখমণ্ডলের ও নাক গহ্বরের সমস্ত পাপ ঝরে যায়। অতঃপর যখন সে আল্লাহর নির্দেশ মতো মুখমণ্ডল ধৌত করে, তখন পানির সাথে তার মুখমণ্ডল থেকে, এমনকি দাঁড়ির আশপাশের সমস্ত পাপ ঝরে যায়। অতঃপর তার দু’ হাত কনুই পর্যন্ত ধোয়ার সাথে সাথে তার আঙ্গুলসমূহ থেকে পানির সাথে গুনাহসমূহ ঝরে যায়। অতঃপর সে যখন তার পদদ্বয় ধৌত করে তখন তার আঙ্গুলসমূহ দিয়ে তার পাপসমূহ ঝরে যায়। অতঃপর সে যদি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে, আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করে, তার যথাযোগ্য মর্যাদা বর্ণনা করে এবং আল্লাহর জন্য নিজের অন্তরকে পৃথক করে নেয় তাহলে সে তার জন্মদিনের মতো গুনাহমুক্ত হয়ে যায়।

আমর ইবনু আবাসাহ (রাযিঃ) এ হাদীসে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহচর আবূ উমামাহ্ (রাযিঃ)-এর নিকট বর্ণনা করলে তিনি তাকে বলেন, হে আমর ইবনু আবাসাহ। লক্ষ্য করুন আপনি বলছেন, এক স্থানেই লোকটিকে এত সাওয়াব দেয়া হবে! আমর (রাযিঃ) বলেন, হে আবূ উমামাহ! আমি বার্ধক্যে পৌছে গেছি, আমার হাড়গোড় দুর্বল হয়ে গেছে এবং আমার মৃত্যু সন্নিকটে। এ অবস্থায় আল্লাহ ও রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি মিথ্যারোপে আমার কী ফায়দাহ। আমি যদি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ হাদীস একবার, দু’বার, তিনবার, এমনকি সাতবার গুনতাম তাহলে কখনো তা বর্ণনা করতাম না, কিন্তু এর অধিক সংখ্যক বার তার নিকট শুনেছি। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৮০০, ইসলামীক সেন্টার ১৮০৭)

باب إِسْلاَمِ عَمْرِو بْنِ عَبَسَةَ ‏

حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَعْقِرِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا شَدَّادُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَبُو عَمَّارٍ، وَيَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، - قَالَ عِكْرِمَةُ وَلَقِيَ شَدَّادٌ أَبَا أُمَامَةَ وَوَاثِلَةَ وَصَحِبَ أَنَسًا إِلَى الشَّامِ وَأَثْنَى عَلَيْهِ فَضْلاً وَخَيْرًا - عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ قَالَ عَمْرُو بْنُ عَبَسَةَ السُّلَمِيُّ كُنْتُ وَأَنَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ أَظُنُّ أَنَّ النَّاسَ عَلَى ضَلاَلَةٍ وَأَنَّهُمْ لَيْسُوا عَلَى شَىْءٍ وَهُمْ يَعْبُدُونَ الأَوْثَانَ فَسَمِعْتُ بِرَجُلٍ بِمَكَّةَ يُخْبِرُ أَخْبَارًا فَقَعَدْتُ عَلَى رَاحِلَتِي فَقَدِمْتُ عَلَيْهِ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُسْتَخْفِيًا جُرَءَاءُ عَلَيْهِ قَوْمُهُ فَتَلَطَّفْتُ حَتَّى دَخَلْتُ عَلَيْهِ بِمَكَّةَ فَقُلْتُ لَهُ مَا أَنْتَ قَالَ ‏"‏ أَنَا نَبِيٌّ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْتُ وَمَا نَبِيٌّ قَالَ ‏"‏ أَرْسَلَنِي اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْتُ وَبِأَىِّ شَىْءٍ أَرْسَلَكَ قَالَ ‏"‏ أَرْسَلَنِي بِصِلَةِ الأَرْحَامِ وَكَسْرِ الأَوْثَانِ وَأَنْ يُوَحَّدَ اللَّهُ لاَ يُشْرَكُ بِهِ شَىْءٌ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ لَهُ فَمَنْ مَعَكَ عَلَى هَذَا قَالَ ‏"‏ حُرٌّ وَعَبْدٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَمَعَهُ يَوْمَئِذٍ أَبُو بَكْرٍ وَبِلاَلٌ مِمَّنْ آمَنَ بِهِ ‏.‏ فَقُلْتُ إِنِّي مُتَّبِعُكَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ إِنَّكَ لاَ تَسْتَطِيعُ ذَلِكَ يَوْمَكَ هَذَا أَلاَ تَرَى حَالِي وَحَالَ النَّاسِ وَلَكِنِ ارْجِعْ إِلَى أَهْلِكَ فَإِذَا سَمِعْتَ بِي قَدْ ظَهَرْتُ فَأْتِنِي ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَذَهَبْتُ إِلَى أَهْلِي وَقَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وَكُنْتُ فِي أَهْلِي فَجَعَلْتُ أَتَخَبَّرُ الأَخْبَارَ وَأَسْأَلُ النَّاسَ حِينَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ حَتَّى قَدِمَ عَلَىَّ نَفَرٌ مِنْ أَهْلِ يَثْرِبَ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ فَقُلْتُ مَا فَعَلَ هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَقَالُوا النَّاسُ إِلَيْهِ سِرَاعٌ وَقَدْ أَرَادَ قَوْمُهُ قَتْلَهُ فَلَمْ يَسْتَطِيعُوا ذَلِكَ ‏.‏ فَقَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَعْرِفُنِي قَالَ ‏"‏ نَعَمْ أَنْتَ الَّذِي لَقِيتَنِي بِمَكَّةَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ بَلَى ‏.‏ فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَخْبِرْنِي عَمَّا عَلَّمَكَ اللَّهُ وَأَجْهَلُهُ ‏.‏ أَخْبِرْنِي عَنِ الصَّلاَةِ قَالَ ‏"‏ صَلِّ صَلاَةَ الصُّبْحِ ثُمَّ أَقْصِرْ عَنِ الصَّلاَةِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ حَتَّى تَرْتَفِعَ فَإِنَّهَا تَطْلُعُ حِينَ تَطْلُعُ بَيْنَ قَرْنَىْ شَيْطَانٍ وَحِينَئِذٍ يَسْجُدُ لَهَا الْكُفَّارُ ثُمَّ صَلِّ فَإِنَّ الصَّلاَةَ مَشْهُودَةٌ مَحْضُورَةٌ حَتَّى يَسْتَقِلَّ الظِّلُّ بِالرُّمْحِ ثُمَّ أَقْصِرْ عَنِ الصَّلاَةِ فَإِنَّ حِينَئِذٍ تُسْجَرُ جَهَنَّمُ فَإِذَا أَقْبَلَ الْفَىْءُ فَصَلِّ فَإِنَّ الصَّلاَةَ مَشْهُودَةٌ مَحْضُورَةٌ حَتَّى تُصَلِّيَ الْعَصْرَ ثُمَّ أَقْصِرْ عَنِ الصَّلاَةِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ فَإِنَّهَا تَغْرُبُ بَيْنَ قَرْنَىْ شَيْطَانٍ وَحِينَئِذٍ يَسْجُدُ لَهَا الْكُفَّارُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ فَالْوُضُوءُ حَدِّثْنِي عَنْهُ قَالَ ‏"‏ مَا مِنْكُمْ رَجُلٌ يُقَرِّبُ وَضُوءَهُ فَيَتَمَضْمَضُ وَيَسْتَنْشِقُ فَيَنْتَثِرُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا وَجْهِهِ وَفِيهِ وَخَيَاشِيمِهِ ثُمَّ إِذَا غَسَلَ وَجْهَهُ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا وَجْهِهِ مِنْ أَطْرَافِ لِحْيَتِهِ مَعَ الْمَاءِ ثُمَّ يَغْسِلُ يَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا يَدَيْهِ مِنْ أَنَامِلِهِ مَعَ الْمَاءِ ثُمَّ يَمْسَحُ رَأْسَهُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا رَأْسِهِ مِنْ أَطْرَافِ شَعْرِهِ مَعَ الْمَاءِ ثُمَّ يَغْسِلُ قَدَمَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا رِجْلَيْهِ مِنْ أَنَامِلِهِ مَعَ الْمَاءِ فَإِنْ هُوَ قَامَ فَصَلَّى فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَمَجَّدَهُ بِالَّذِي هُوَ لَهُ أَهْلٌ وَفَرَّغَ قَلْبَهُ لِلَّهِ إِلاَّ انْصَرَفَ مِنْ خَطِيئَتِهِ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ ‏"‏ ‏.‏ فَحَدَّثَ عَمْرُو بْنُ عَبَسَةَ بِهَذَا الْحَدِيثِ أَبَا أُمَامَةَ صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ أَبُو أُمَامَةَ يَا عَمْرَو بْنَ عَبَسَةَ انْظُرْ مَا تَقُولُ فِي مَقَامٍ وَاحِدٍ يُعْطَى هَذَا الرَّجُلُ فَقَالَ عَمْرٌو يَا أَبَا أُمَامَةَ لَقَدْ كَبِرَتْ سِنِّي وَرَقَّ عَظْمِي وَاقْتَرَبَ أَجَلِي وَمَا بِي حَاجَةٌ أَنْ أَكْذِبَ عَلَى اللَّهِ وَلاَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ لَوْ لَمْ أَسْمَعْهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا - حَتَّى عَدَّ سَبْعَ مَرَّاتٍ - مَا حَدَّثْتُ بِهِ أَبَدًا وَلَكِنِّي سَمِعْتُهُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏

حدثني احمد بن جعفر المعقري، حدثنا النضر بن محمد، حدثنا عكرمة بن عمار، حدثنا شداد بن عبد الله ابو عمار، ويحيى بن ابي كثير، عن ابي امامة، - قال عكرمة ولقي شداد ابا امامة وواثلة وصحب انسا الى الشام واثنى عليه فضلا وخيرا - عن ابي امامة قال قال عمرو بن عبسة السلمي كنت وانا في الجاهلية اظن ان الناس على ضلالة وانهم ليسوا على شىء وهم يعبدون الاوثان فسمعت برجل بمكة يخبر اخبارا فقعدت على راحلتي فقدمت عليه فاذا رسول الله صلى الله عليه وسلم مستخفيا جرءاء عليه قومه فتلطفت حتى دخلت عليه بمكة فقلت له ما انت قال ‏"‏ انا نبي ‏"‏ ‏.‏ فقلت وما نبي قال ‏"‏ ارسلني الله ‏"‏ ‏.‏ فقلت وباى شىء ارسلك قال ‏"‏ ارسلني بصلة الارحام وكسر الاوثان وان يوحد الله لا يشرك به شىء ‏"‏ ‏.‏ قلت له فمن معك على هذا قال ‏"‏ حر وعبد ‏"‏ ‏.‏ قال ومعه يومىذ ابو بكر وبلال ممن امن به ‏.‏ فقلت اني متبعك ‏.‏ قال ‏"‏ انك لا تستطيع ذلك يومك هذا الا ترى حالي وحال الناس ولكن ارجع الى اهلك فاذا سمعت بي قد ظهرت فاتني ‏"‏ ‏.‏ قال فذهبت الى اهلي وقدم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة وكنت في اهلي فجعلت اتخبر الاخبار واسال الناس حين قدم المدينة حتى قدم على نفر من اهل يثرب من اهل المدينة فقلت ما فعل هذا الرجل الذي قدم المدينة فقالوا الناس اليه سراع وقد اراد قومه قتله فلم يستطيعوا ذلك ‏.‏ فقدمت المدينة فدخلت عليه فقلت يا رسول الله اتعرفني قال ‏"‏ نعم انت الذي لقيتني بمكة ‏"‏ ‏.‏ قال فقلت بلى ‏.‏ فقلت يا نبي الله اخبرني عما علمك الله واجهله ‏.‏ اخبرني عن الصلاة قال ‏"‏ صل صلاة الصبح ثم اقصر عن الصلاة حتى تطلع الشمس حتى ترتفع فانها تطلع حين تطلع بين قرنى شيطان وحينىذ يسجد لها الكفار ثم صل فان الصلاة مشهودة محضورة حتى يستقل الظل بالرمح ثم اقصر عن الصلاة فان حينىذ تسجر جهنم فاذا اقبل الفىء فصل فان الصلاة مشهودة محضورة حتى تصلي العصر ثم اقصر عن الصلاة حتى تغرب الشمس فانها تغرب بين قرنى شيطان وحينىذ يسجد لها الكفار ‏"‏ ‏.‏ قال فقلت يا نبي الله فالوضوء حدثني عنه قال ‏"‏ ما منكم رجل يقرب وضوءه فيتمضمض ويستنشق فينتثر الا خرت خطايا وجهه وفيه وخياشيمه ثم اذا غسل وجهه كما امره الله الا خرت خطايا وجهه من اطراف لحيته مع الماء ثم يغسل يديه الى المرفقين الا خرت خطايا يديه من انامله مع الماء ثم يمسح راسه الا خرت خطايا راسه من اطراف شعره مع الماء ثم يغسل قدميه الى الكعبين الا خرت خطايا رجليه من انامله مع الماء فان هو قام فصلى فحمد الله واثنى عليه ومجده بالذي هو له اهل وفرغ قلبه لله الا انصرف من خطيىته كهيىته يوم ولدته امه ‏"‏ ‏.‏ فحدث عمرو بن عبسة بهذا الحديث ابا امامة صاحب رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال له ابو امامة يا عمرو بن عبسة انظر ما تقول في مقام واحد يعطى هذا الرجل فقال عمرو يا ابا امامة لقد كبرت سني ورق عظمي واقترب اجلي وما بي حاجة ان اكذب على الله ولا على رسول الله لو لم اسمعه من رسول الله صلى الله عليه وسلم الا مرة او مرتين او ثلاثا - حتى عد سبع مرات - ما حدثت به ابدا ولكني سمعته اكثر من ذلك ‏.‏


'Amr b. 'Abasa Sulami reported:
In the state of the Ignorance (before embracing Islam), I used to think that the people were in error and they were not on anything (which may be called the right path) and worshipped the idols. Meanwhile, I heard of a man in Mecca who was giving news (on the basis of his prophetic knowledge) ; so I sat on my ride and went to him. The Messenger of Allah (ﷺ) was at that time hiding as his people had made life hard for him. I adopted a friendly attitude (towards the Meccans and thus managed) to enter Mecca and go to him (the Holy Prophet) and I said to him: Who are you? He said: I am a Prophet (of Allah). I again said: Who is a Prophet? He said: (I am a Prophet in the sense that) I have been sent by Allah. I said: What is that which you have been sent with? He said: I have been sent to join ties of relationship (with kindness and affection), to break the Idols, and to proclaim the oneness of Allah (in a manner that) nothing is to be associated with Him. I said: Who is with you in this (in these beliefs and practices)? He said: A free man and a slave. He (the narrator) said: Abu Bakr and Bilal were there with him among those who had embraced Islam by that time. I said: I intend to follow you. He said: During these days you would not be able to do so. Don't you see the (hard) condition under which I and (my) people are living? You better go back to your people and when you hear that I have been granted victory, you come to me. So I went to my family. I was in my home when the Messenger of Allah (ﷺ) came to Medina. I was among my people and used to seek news and ask people when he arrived in Medina. Then a group of people belonging to Yathrib (Medina) came. I said (to them): How is that person getting on who has come to Medina? They said: The people are hastening to him, while his people (the polytheists of Mecca) planned to kill him, but they could not do so. I (on hearing it) came to Medina and went to him and said: Messenger of Allah, do you recognise me? He said: Yes, you are the same man who met me at Mecca. I said: It is so. I again said: Prophet of Allah, tell me that which Allah has taught you and which I do not know, tell me about the prayer. He said: Observe the dawn prayer, then stop praying when the sun is rising till it is fully up, for when it rises it comes up between the horns of Satan, and the unbelievers prostrate themselves to it at that time. Then pray, for the prayer is witnessed and attended (by angels) till the shadow becomes about the length of a lance; then cease prayer, for at that time Hell is heated up. Then when the shadow moves forward, pray, for the prayer is witnessed and attended by angels, till you pray the afternoon prayer, then cease prayer till the sun sets, for it sets between the horns of devil, and at that time the unbelievers prostrate themselves before it. I said: Apostle of Allah, tell me about ablution also. He said: None of you who uses water for ablution and rinses his mouth, snuffs up water and blows it, but the sins of his face, and his mouth and his nostrils fall out. When he washes his face, as Allah has commanded him, the sins of his face fall out from the end of his beard with water. Then (when) he washes his forearms up to the elbows, the sins of his arms fall out along with water from his finger-tips. And when he wipes his head, the sins of his head fall out from the points of his hair along with water. And (when) he washes his feet up to the ankles, the sins of his feet fall out from his toes along with water. And if he stands to pray and praises Allah, lauds Him and glorifies Him with what becomes Him and shows wholehearted devotion to Allah, his sins would depart leaving him (as innocent) as he was on the day his mother bore him. 'Amr b. 'Abasa narrated this hadith to Abu Umama, a Companion of the Messenger of Allah (ﷺ), and Abu Umama said to him: 'Amr b. 'Abasa, think what you are saying that such (a great reward) is given to a man at one place (only in the act of ablution and prayer). Upon this 'Amr said: Abu Umama, I have grown old and my bones have become weak and I am at the door of death; what impetus is there for me to attribute a lie to Allah and the Messenger of Allah (ﷺ)? Had I heard it from the Messenger of Allah (ﷺ) once, twice, or three times (even seven times), I would have never narrated it, but I have heard it from him on occasions more than these.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইকরিমা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৭। কুরআনের মর্যাদাসমূহ ও এতদসংশ্লিষ্ট বিষয় (باب فضائل القران وما يتعلق به)