১৭৯৬

পরিচ্ছেদঃ ১৭. ধীরস্থিরতার সাথে কিরআত পড়া, অতি দ্রুত পাঠ বর্জন করা এবং এক রাকাআতে দুই ও ততোধিক সূরাহ সংযোজনের বৈধতা

১৭৯৬-(২৭৮/...) শায়বান ইবনু ফাররূখ (রহঃ) ..... আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা ফজরের সালাত আদায় করার পর আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) এর নিকট গেলাম। আমরা দরজার নিকট এসে সালাম করলে তিনি আমাদেরকে (ভিতরে প্রবেশের) অনুমতি দিলেন। আমরা কিছুক্ষণ দরজায় থেমে থাকলাম। তখন বাদী বের হয়ে এসে বলল, আপনারা প্রবেশ করছেন না কেন? আমরা ভিতরে প্রবেশ করে দেখলাম তিনি তাসবীহ পড়ছেন। তিনি জিজ্ঞেস করেন, অনুমতি দেয়ার পরও তোমাদের প্রবেশে কী বাঁধা ছিল? আমরা বললাম না, তেমন কোন বাঁধা ছিল না, তবে আমরা ভাবলাম, হয়ত ঘরের মধ্যে কে ঘুমিয়ে আছে। তিনি বললেন, তুমি উম্মু ’আবদের পুত্রের পরিবার সম্পর্কে অলসতার ধারণা করলে।

বর্ণনাকারী বললেন, অতঃপর তিনি তাসবীহ পাঠে রত হলেন, শেষে যখন ভাবলেন যে, সূর্য উদিত হয়েছে তখন বললেন, হে বাদী দেখ, সূর্য উদিত হ’ল কি না? বর্ণনাকারী বলেন, সে তাকিয়ে দেখল সূর্য উদিত হয়নি। তিনি আবার তাসবীহ পাঠে রত হলেন। শেষে তিনি যখন ভাবলেন, সূর্য উদিত হয়েছে তখন বললেন, হে বাদী। দেখ তো সূর্য উদিত হয়েছে কি না? বর্ণনাকারী বলেন, সে তাকিয়ে দেখল সূর্য উদিত হয়নি। তিনি আবার তাসবীহ পাঠে রত হলেন। শেষে তিনি যখন ভাবলেন, সূর্য উদিত হয়েছে তখন বললেন, হে বাদী। দেখো তো সূর্য উদিত হয়েছে কি না? সে তাকিয়ে দেখল যে, সূর্য উদিত হয়েছে।

আবদুল্লাহ (রাযিঃ) বললেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি এ দিনটি আমাদের ফেরত দিয়েছেন। অধস্তন বর্ণনাকারী মাহদী বলেন, আমার মনে হয় তিনি এও বলেছেনঃ “এবং আমাদের অপরাধের কারণে আমাদের ধ্বংস করেননি।" বর্ণনাকারী বলেন, উপস্থিত লোকদের একজন বলল, গত রাতে আমি (সালাতে) মুফাস্‌সাল সূরাহ সম্পূর্ণটা পড়েছি। আবদুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, কবিতা পাঠের মতো দ্রুত আমরা অবশ্যই কুরআনের সূরাহসমূহের পাঠ শুনেছি। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসব সূরাহ্ (সালাতে) পড়তেন আমি সেসব সূরাহ মুখস্থ করে রেখেছিঃ মুফাসসাল সূরাহসমূহ থেকে আঠারো সূরাহ এবং হা-মীম গ্রুপের দুটি সূরাহ। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৭৮১, ইসলামীক সেন্টার ১৭৮৮)

باب تَرْتِيلِ الْقِرَاءَةِ وَاجْتِنَابِ الْهَذِّ وَهُوَ الإِفْرَاطُ فِي السُّرْعَةِ وَإِبَاحَةِ سُورَتَيْنِ فَأَكْثَرَ فِي الرَّكْعَةِ

حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا وَاصِلٌ الأَحْدَبُ، عَنْ أَبِي، وَائِلٍ قَالَ غَدَوْنَا عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ يَوْمًا بَعْدَ مَا صَلَّيْنَا الْغَدَاةَ فَسَلَّمْنَا بِالْبَابِ فَأَذِنَ لَنَا - قَالَ - فَمَكَثْنَا بِالْبَابِ هُنَيَّةً - قَالَ - فَخَرَجَتِ الْجَارِيَةُ فَقَالَتْ أَلاَ تَدْخُلُونَ فَدَخَلْنَا فَإِذَا هُوَ جَالِسٌ يُسَبِّحُ فَقَالَ مَا مَنَعَكُمْ أَنْ تَدْخُلُوا وَقَدْ أُذِنَ لَكُمْ فَقُلْنَا لاَ إِلاَّ أَنَّا ظَنَنَّا أَنَّ بَعْضَ أَهْلِ الْبَيْتِ نَائِمٌ ‏.‏ قَالَ ظَنَنْتُمْ بِآلِ ابْنِ أُمِّ عَبْدٍ غَفْلَةً قَالَ ثُمَّ أَقْبَلَ يُسَبِّحُ حَتَّى ظَنَّ أَنَّ الشَّمْسَ قَدْ طَلَعَتْ فَقَالَ يَا جَارِيَةُ انْظُرِي هَلْ طَلَعَتْ قَالَ فَنَظَرَتْ فَإِذَا هِيَ لَمْ تَطْلُعْ فَأَقْبَلَ يُسَبِّحُ حَتَّى إِذَا ظَنَّ أَنَّ الشَّمْسَ قَدْ طَلَعَتْ قَالَ يَا جَارِيَةُ انْظُرِي هَلْ طَلَعَتْ فَنَظَرَتْ فَإِذَا هِيَ قَدْ طَلَعَتْ ‏.‏ فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَقَالَنَا يَوْمَنَا هَذَا - فَقَالَ مَهْدِيٌّ وَأَحْسِبُهُ قَالَ - وَلَمْ يُهْلِكْنَا بِذُنُوبِنَا - قَالَ - فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ قَرَأْتُ الْمُفَصَّلَ الْبَارِحَةَ كُلَّهُ - قَالَ - فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ إِنَّا لَقَدْ سَمِعْنَا الْقَرَائِنَ وَإِنِّي لأَحْفَظُ الْقَرَائِنَ الَّتِي كَانَ يَقْرَؤُهُنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَمَانِيَةَ عَشَرَ مِنَ الْمُفَصَّلِ وَسُورَتَيْنِ مِنْ آلِ حم.

حدثنا شيبان بن فروخ، حدثنا مهدي بن ميمون، حدثنا واصل الاحدب، عن ابي، واىل قال غدونا على عبد الله بن مسعود يوما بعد ما صلينا الغداة فسلمنا بالباب فاذن لنا - قال - فمكثنا بالباب هنية - قال - فخرجت الجارية فقالت الا تدخلون فدخلنا فاذا هو جالس يسبح فقال ما منعكم ان تدخلوا وقد اذن لكم فقلنا لا الا انا ظننا ان بعض اهل البيت ناىم ‏.‏ قال ظننتم بال ابن ام عبد غفلة قال ثم اقبل يسبح حتى ظن ان الشمس قد طلعت فقال يا جارية انظري هل طلعت قال فنظرت فاذا هي لم تطلع فاقبل يسبح حتى اذا ظن ان الشمس قد طلعت قال يا جارية انظري هل طلعت فنظرت فاذا هي قد طلعت ‏.‏ فقال الحمد لله الذي اقالنا يومنا هذا - فقال مهدي واحسبه قال - ولم يهلكنا بذنوبنا - قال - فقال رجل من القوم قرات المفصل البارحة كله - قال - فقال عبد الله هذا كهذ الشعر انا لقد سمعنا القراىن واني لاحفظ القراىن التي كان يقروهن رسول الله صلى الله عليه وسلم ثمانية عشر من المفصل وسورتين من ال حم.


Abu Wa'il reported:
One day we went to 'Abdullah b. Mas'ud after we had observed the dawn prayer and we paid salutation at the door. He permitted us to enter, but we stayed for a while at the door, when the slave-girl came out and said: Why don't you come in? So we went in and (we found 'Abdullah b. Mas'ud) sitting and glorifying Allah (i. e. he was busy in dhikr) and he said: What obstructed you from coming in though you had been granted permission for it? We said: There was nothing (behind it) but we entertained the idea that some inmate of the house might be sleeping. He said: Do you presume any idleness on the part of the family of Ibn Umm 'Abd (the mother of Abdullah b. Mas'ud)? He was again busy with the glorification of Allah till he thought that the sun had risen. He said: Girl, see whether (the sun) has arisen. She glanced but it had not risen (by that time). He was again busy with the glorification (of Allah) and he (again) thought that the sun had arisen. She glanced (and confirmed) that, it had risen. Upon this he ('Abdullah b. Mas'ud) said: Praise be to Allah Who did not call us to account for our sins today. Mahdi said: I think that he said, He did not destroy us for our sins. One among the people said: I recited all the mufassal surahs during the night. 'Abdullah said: (You must have recited them) like the (recitation) of poetry. I heard (the Holy Prophet) combining (the sarahs) and I remember the combinations which the Messenger of Allah (ﷺ) made In the recitation (of surahs). These were constituted of eighteen mufassal surahs and two surahs (commencing with) Ha-Mim.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ ওয়াইল (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৭। কুরআনের মর্যাদাসমূহ ও এতদসংশ্লিষ্ট বিষয় (باب فضائل القران وما يتعلق به)