পরিচ্ছেদঃ ৮. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যে সকল মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে তার বর্ণনা
৪৮. আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কিছু সাহাবী বসে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তিনি বের হয়ে যখন তাদের কাছাকাছি এলেন, তিনি তাদেরকে পরস্পর কিছু আলাপ-আলোচনা করতে শুনতে পেলেন। অতঃপর তিনি তাদের কথাবার্তা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন। তাদের কেউ বলছিল, কী আশ্চর্য্যের কথা! আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিকুল থেকে একজনকে খলীল রূপে গ্রহণ করেছেন। ইবরাহীম আলাইহিস সালাম হচ্ছেন তাঁর সেই খলীল। আরেকজন বলল, এরচেয়ে বিস্ময়ের বিষয় কী হতে পারে: “ আল্লাহ মুসা আলাইহিস সালাম-এর সাথে কথা বলেছেন।”- (সূরা নিসা: ১৬৪) অপর একজন বলল, ঈসা আলাইহিস সালাম তো আল্লাহর কালিমা এবং তাঁর (প্রদত্ত) রূহ। আরেকজন বলল, আদম আলাইহিস সালামকে আল্লাহ বিশেষভাবে মনোনীত করেছেন। (তাদের আলোচনা চলছিলো) এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের কাছে এসে সালাম দিলেন এবং বললেন: ’আমি তোমাদের কথা-বার্তা ও বিস্মিত হওয়ার বিষয়গুলি শুনেছি।
নিশ্চয় ইবরাহীম আল্লাহর খলীল, এটা ঠিকই। আল্লাহ মুসা’র সাথে গোপনে কথা বলেছেন, সেটাও ঠিক। ঈসা আল্লাহর কালিমা ও তাঁর রূহ, সেটিও ঠিক। আদম আলাইহিস সালাম আল্লাহ’র মনোনীত, একথাও ঠিক। তবে তোমরা শুনে রাখ, আমি আল্লাহর হাবীব, এতে আমার কোন অহংকার নেই। কিয়ামতের দিন আমিই প্রশংসার পতাকা বহন করবো, তাতে কোন অহংকার নেই। কিয়ামতের দিন আমিই সর্বপ্রথম শাফা’আত করবো এবং আমার শাফা’আতই সর্বপ্রথম গ্রহণ করা হবে, তাতে কোন অহংকার নেই। আমিই সর্বপ্রথম জান্নাতের কড়া নাড়াব এবং এতেও কোন অহংকার নেই। আর আমার জন্যই আল্লাহ সর্বপ্রথম জান্নাতের দরজা খুলে দেবেন এবং আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং আমার সাথে থাকবে দরিদ্র মুমিনগণ, এতেও কোন অহংকার নেই। আর আমি হলাম আল্লাহর নিকট পূর্বাপর সকলের চেয়ে মর্যাদাবান, এতেও কোন অহংকার নেই।”[1]
بَاب مَا أُعْطِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ الْفَضْلِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ، حَدَّثَنَا زَمْعَةُ، عَنْ سَلَمَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: جَلَسَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْتَظِرُونَهُ فَخَرَجَ حَتَّى إِذَا دَنَا مِنْهُمْ، سَمِعَهُمْ يَتَذَاكَرُونَ، فَتَسَمَّعَ حَدِيثَهُمْ، فَإِذَا بَعْضُهُمْ، يَقُولُ: عَجَبًا إِنَّ اللَّهَ اتَّخَذَ مِنْ خَلْقِهِ خَلِيلًا، فَإِبْرَاهِيمُ خَلِيلُهُ، وَقَالَ آخَرُ: مَاذَا بِأَعْجَبَ مِنْ: [وَكَلَّمَ اللَّهُ مُوسَى تَكْلِيمًا]، وَقَالَ آخَرُ: فَعِيسَى كَلِمَةُ اللَّهِ وَرُوحُهُ، وَقَالَ آخَرُ: وَآدَمُ اصْطَفَاهُ اللَّه، فَخَرَجَ عَلَيْهِمْ فَسَلَّمَ، وَقَالَ: "قَدْ سَمِعْتُ كَلَامَكُمْ وَعَجَبَكُمْ، إِنَّ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلُ اللَّهِ، وَهُوَ كَذَلِكَ، وَمُوسَى نَجِيُّهُ، وَهُوَ كَذَلِكَ، وَعِيسَى رُوحُهُ وَكَلِمَتُهُ، وَهُوَ كَذَلِكَ، وَآدَمُ اصْطَفَاهُ اللَّهُ تَعَالَى، وَهُوَ كَذَلِكَ، أَلَا وَأَنَا حَبِيبُ اللَّهِ، وَلَا فَخْرَ، وَأَنَا حَامِلُ لِوَاءِ الْحَمْدِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَلَا فَخْرُ وَأَنَا أَوَّلُ شَافِعٍ، وَأَوَّلُ مُشَفَّعٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا فَخْرُ، وَأَنَا أَوَّلُ مَنْ يُحَرِّكُ بِحَلَقِ الْجَنَّةِ وَلَا فَخْرُ، فَيَفْتَحُ اللَّهُ فَيُدْخِلُنِيهَا وَمَعِي فُقَرَاءُ الْمُؤْمِنِينَ وَلَا فَخْرُ، وَأَنَا أَكْرَمُ الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ عَلَى اللَّهِ، وَلَا فَخْرُ
إسناده ضعيف لضعف زمعه
তাখরীজ: তিরমিযী ৩৬২০; ইবনু কাছীর তাফসীর ২/৩৭৫।
দেখুন, আনাস রা: এর হাদীস, আমার তাহক্বীক্বকৃত মুসনাদে আবী ইয়ালা ৩৯৫৯, ৩৯৬৪, ৩৯৬৭, ৩৯৮৯; ওয়াসিলাহ রা: এর হাদীস সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬২৪২, ৬৩৩৩, ৬৪৭৫, মুসনাদে আবী ইয়ালা নং ৭৪৮৫, ৭৪৮৭ তে। সেখানকার টীকায় বিস্তারিত দেখুন।