পরিচ্ছেদঃ ৩০/২৩. বিপদে ধৈর্যধারণ
৮/৪০৩০। উবাই ইবনে কাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিরাজে গমনের রাতে পরিচ্ছন্ন সুবাস লাভ করেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ হে জিবরাঈল! এই পরিচ্ছন্ন সুবাস কিসের? তিনি বলেন, এই সুগন্ধি এক কেশবিন্যাসকারিনী, তার পুত্রের ও তার স্বামীর কবর থেকে আসছে। রাবী বলেন, তিনি ঘটনার বর্ণনা এভাবে শুরু করেনঃ খিযির বনী ইসরাঈলের অভিজাতবর্গের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তিনি এক পাদ্রীর গীর্জার নিকট দিয়ে যাতায়াত করতেন। পাদ্রী তার সম্পর্কে জানতে পেরে তাকে দীন ইসলামের তালীম দিলেন। খিযির যৌবনে পদার্পণ করলে তার পিতা এক মহিলার সাথে তার বিবাহ দেন। খিযির এই মহিলাকে দীন ইসলামের তালীম দিলেন। তিনি তার থেকে প্রতিশ্রুতি নেন যে, সে যেন কাউকে এই দীনের শিক্ষা না দেয়। তিনি নারীসঙ্গ পছন্দ করতেন না। তাই তিনি তার স্ত্রীকে তালাক দেন।
অতঃপর তার পিতা অপর এক নারীর সাথে তার বিবাহ দেন। তিনি তাকেও দীন ইসলামের শিক্ষা দিলেন এবং তার থেকেও প্রতিশ্রুতি নিলেন যে, সে যেন কারো কাছে এ কথা প্রকাশ না করে। এক নারী বিষয়টি গোপন রাখলো এবং অপরজন তা প্রকাশ করে দিলে তিনি দেশত্যাগ করে সমুদ্রের এক দ্বীপে পালিয়ে গেলে। সেখানে দু’ ব্যক্তি লাকড়ি সংগ্রহের জন্য এসে খিযিরকে দেখতে পায়। তাদের একজন খিযিরের অবস্থানের বিষয় গোপন রাখলেন এবং অপর জন ফাঁস করে দিলো এবং বললো, আমি খিযিরকে দেখেছি। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, তোমার সাথে তাকে আর কে দেখেছে? সে বললো, অমুক। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে বিষয়টি গোপন রাখলো। তাদের বিধানে মিথ্যাবাদীর শাস্তি ছিল মৃত্যুদন্ড।
রাবী বলেন, অতঃপর সে দীন গোপনকারিনী মহিলাকে বিবাহ করলো। সেই মহিলা ফিরআওন তনয়ার কেশ বিন্যাসকালে তার হাতথেকে চিরুনী পড়ে গেলো। আর তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে, ফিরআওন নিপাত যাক। ফিরআওন তনয়া এই কথা তার পিতাকে অবহিত করে। এই মহিলার ছিল দু’ পুত্র ও স্বামী। ফিরআওন তাদেরকে ডেকে এনে উক্ত মহিলা ও তার স্বামীকে তাদের দীন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেয়। তারা উভয়ে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে ফিরআওন বললো, আমি তোমাদের দু’জনকে হত্যা করবো। তারা বললো, আপনি আমাদেরকে হত্যা করলে আমাদের প্রতি এতটুকু অনুগ্রহ করবেন যে, আমাদের দু’জনকে একই কবরে দাফন করবেন। সে তাই কলো।
অতঃপর যে রাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মিরাজের ঘটনা সংঘটিত হয়, তখন তিনি পূত-পবিত্র সুঘ্রাণ পেয়ে জিবরীল (আ)-কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি তাকে বিষয়টি অবহিত করেন।
بَاب الصَّبْرِ عَلَى الْبَلَاءِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ وَجَدَ رِيحًا طَيِّبَةً فَقَالَ " يَا جِبْرِيلُ مَا هَذِهِ الرِّيحُ الطَّيِّبَةُ قَالَ هَذِهِ رِيحُ قَبْرِ الْمَاشِطَةِ وَابْنَيْهَا وَزَوْجِهَا . قَالَ وَكَانَ بَدْءُ ذَلِكَ أَنَّ الْخَضِرَ كَانَ مِنْ أَشْرَافِ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَكَانَ مَمَرُّهُ بِرَاهِبٍ فِي صَوْمَعَتِهِ فَيَطْلُعُ عَلَيْهِ الرَّاهِبُ فَيُعَلِّمُهُ الإِسْلاَمَ فَلَمَّا بَلَغَ الْخَضِرُ زَوَّجَهُ أَبُوهُ امْرَأَةً فَعَلَّمَهَا الْخَضِرُ وَأَخَذَ عَلَيْهَا أَنْ لاَ تُعْلِمَهُ أَحَدًا وَكَانَ لاَ يَقْرَبُ النِّسَاءَ فَطَلَّقَهَا ثُمَّ زَوَّجَهُ أَبُوهُ أُخْرَى فَعَلَّمَهَا وَأَخَذَ عَلَيْهَا أَنْ لاَ تُعْلِمَهُ أَحَدًا فَكَتَمَتْ إِحَدَاهُمَا وَأَفْشَتْ عَلَيْهِ الأُخْرَى فَانْطَلَقَ هَارِبًا حَتَّى أَتَى جَزِيرَةً فِي الْبَحْرِ فَأَقْبَلَ رَجُلاَنِ يَحْتَطِبَانِ فَرَأَيَاهُ فَكَتَمَ أَحَدُهُمَا وَأَفْشَى الآخَرُ وَقَالَ قَدْ رَأَيْتُ الْخَضِرَ . فَقِيلَ وَمَنْ رَآهُ مَعَكَ قَالَ فُلاَنٌ فَسُئِلَ فَكَتَمَ وَكَانَ فِي دِينِهِمْ أَنَّ مَنْ كَذَبَ قُتِلَ قَالَ فَتَزَوَّجَ الْمَرْأَةَ الْكَاتِمَةَ فَبَيْنَمَا هِيَ تَمْشُطُ ابْنَةَ فِرْعَوْنَ إِذْ سَقَطَ الْمُشْطُ فَقَالَتْ تَعِسَ فِرْعَوْنُ . فَأَخْبَرَتْ أَبَاهَا وَكَانَ لِلْمَرْأَةِ ابْنَانِ وَزَوْجٌ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمْ فَرَاوَدَ الْمَرْأَةَ وَزَوْجَهَا أَنْ يَرْجِعَا عَنْ دِينِهِمَا فَأَبَيَا فَقَالَ إِنِّي قَاتِلُكُمَا . فَقَالاَ إِحْسَانًا مِنْكَ إِلَيْنَا إِنْ قَتَلْتَنَا أَنْ تَجْعَلَنَا فِي بَيْتٍ فَفَعَلَ فَلَمَّا أُسْرِيَ بِالنَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَجَدَ رِيحًا طَيِّبَةً فَسَأَلَ جِبْرِيلَ فَأَخْبَرَهُ " .
It was narrated from Ubayy bin Ka’b that on the night when he (ﷺ) was taken on the Night Journey (Isra’), the Messenger of Allah (ﷺ) noticed a good fragrance and said:
“O Jibril, what is this good fragrance?” He said: “This is the fragrance of the grave of the hairdresser and her two sons and her husband.” He said: “That began when Khadir, who was one of the nobles of the Children of Israel, used to pass by a monk in his cell. The monk used to meet him and he taught him Islam. When Khadir reached adolescence, his father married him to a woman. He taught her and made her promise not to teach it to anyone. He used not to touch women, so he divorced her, then his father married him to another woman, and he taught her and made her promise not to teach it to anyone. One of them kept the secret but the other disclosed it, so he fled until he came to an island in the sea. Two men came, gathering firewood, and saw him. One of them kept the secret but the other disclosed it and said: ‘I have seen Khadir.’ It was said: ‘Who else saw him besides you?’ He said: ‘So-and-so.’ (The other man) was questioned but he kept silent. According to their religion, the liar was to be killed. The woman who had kept the secret got married, and while she was combing the hair of Pharoah’s daughter, she dropped the comb and said: ‘May Pharoah perish!’ (The daughter) told her father about that. The woman had two sons and a husband. (Pharoah) sent for them, and tried to make the woman and her husband give up their religion, but they refused. He said: ‘I am going to kill you.’ They said: ‘It would be an act of kindness on your part, if you kill us, to put us in one grave.’ So he did that.” When the Prophet (ﷺ) was taken on the Night Journey (Isra’), he noticed a good fragrance and asked Jibril about it and he told him.”