পরিচ্ছেদঃ ১৭/৭. ওয়ালাআর উত্তরাধিকার স্বত্ব
১/২৭৩২। ’আমর ইবনে শু’আইব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাবাব ইবনে হুযাইফা ইবনে সাঈদ ইবনে সাহম (রহঃ) উম্মু ওয়াইল বিনতে মামার আল-জুমাহিয়্যাকে বিবাহ করেন। তার গর্ভে তার তিনটি সন্তান জন্মগ্রহণ করে। অতঃপর তাদের মা মারা গেলে তারা ওয়ারিসী সূত্রে তার পরিত্যক্ত সম্পত্তি ও তার মুক্তদাসদের ওয়ালাআর মালিক হয়।
অতঃপর ’আমর ইবনুল আ’স (রাঃ) তাদেরকে সিরিয়ায় নিয়ে যান। সেখানে তারা আমওয়াস নামক মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। অতঃপর ’আমর (রাঃ) তাদের ওয়ারিস হন। তিনি ছিলেন তাদের আসাবা। ’আমর ইবনুল আ’স (রাঃ) ফিরে এলে মা’মারের পুত্ররা এসে তাদের বোনের ওয়ালাআর দাবিদার হয়ে উমার (রাঃ) -এর নিকট মামলা দায়ের করে। উমার (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট যা শুনেছি তদনুযায়ী তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করবো।
আমি তাঁকে বলতে শুনেছিঃ পুত্র ও পিতা (ওয়ালাআ সূত্রে) যা পেয়েছে তা তার আসাবাগণের প্রাপ্য। রাবী বলেন, অতএব তিনি এ সম্পর্কে আমাদের অনুকূলে ফয়সালা দিলেন এবং আমাদেরকে একখানা পত্র লিখে দিলেন যাতে আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রাঃ) , যায়েদ ইবনে সাবিত (রাঃ) ও আরো একজন সাক্ষী হয়েছিলেন। এরপর আবদুল মালেক ইবনে মারওয়ানের খেলাফতকালে উম্মু ওয়াইলের এক মুক্তদাস দু’ হাজার দীনার রেখে মারা গেলো। আমি অবহিত হলাম যে, পূর্বের সেই ফয়সালা পরিবর্তন করা হয়েছে।
অতএব তারা হিশাম ইবনে ইসমাঈলের নিকট অভিযোগ দায়ের করলে তিনি আমাদেরকে আবদুল মালেকের নিকট পাঠান। আমরা তার কাছে উমার (রাঃ) এর পত্রসহ উপস্থিত হলাম। তিনি বলেন, আমি জানতাম না যে, এই সুস্পষ্ট ফয়সালা নিয়েও লোকজন বিবাদ করবে। আমার ধারণা ছিলো না যে, মদীনাবাসীদের অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছবে যে, তারা এই ফয়সালা নিয়ে সন্দেহ করবে। অতএব তিনি এ ব্যাপারে আমাদের পক্ষে রায় দিলেন এবং এরপর থেকে আমরা এ সম্পত্তি ওয়ারিসী সূত্রে ভোগদখল করে আসছি।
بَاب مِيرَاثِ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ تَزَوَّجَ رِئَابُ بْنُ حُذَيْفَةَ بْنِ سُعَيْدِ بْنِ سَهْمٍ أُمَّ وَائِلٍ بِنْتَ مَعْمَرٍ الْجُمَحِيَّةَ فَوَلَدَتْ لَهُ ثَلاَثَةً فَتُوُفِّيَتْ أُمُّهُمْ فَوَرِثَهَا بَنُوهَا رِبَاعًا وَوَلاَءَ مَوَالِيهَا فَخَرَجَ بِهِمْ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ مَعَهُ إِلَى الشَّامِ فَمَاتُوا فِي طَاعُونِ عَمْوَاسَ فَوَرِثَهُمْ عَمْرٌو وَكَانَ عَصَبَتَهُمْ فَلَمَّا رَجَعَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ جَاءَ بَنُو مَعْمَرٍ يُخَاصِمُونَهُ فِي وَلاَءِ أُخْتِهِمْ إِلَى عُمَرَ فَقَالَ عُمَرُ أَقْضِي بَيْنَكُمْ بِمَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعْتُهُ يَقُولُ " مَا أَحْرَزَ الْوَلَدُ أَوِ الْوَالِدُ فَهُوَ لِعَصَبَتِهِ مَنْ كَانَ " . قَالَ فَقَضَى لَنَا بِهِ وَكَتَبَ لَنَا بِهِ كِتَابًا فِيهِ شَهَادَةُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَآخَرَ حَتَّى إِذَا اسْتُخْلِفَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ تُوُفِّيَ مَوْلًى لَهَا وَتَرَكَ أَلْفَىْ دِينَارٍ فَبَلَغَنِي أَنَّ ذَلِكَ الْقَضَاءَ قَدْ غُيِّرَ فَخَاصَمُوهُ إِلَى هِشَامِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ فَرَفَعَنَا إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ فَأَتَيْنَاهُ بِكِتَابِ عُمَرَ فَقَالَ إِنْ كُنْتُ لأَرَى أَنَّ هَذَا مِنَ الْقَضَاءِ الَّذِي لاَ يُشَكُّ فِيهِ وَمَا كُنْتُ أَرَى أَنَّ أَمْرَ أَهْلِ الْمَدِينَةِ بَلَغَ هَذَا أَنْ يَشُكُّوا فِي هَذَا الْقَضَاءِ . فَقَضَى لَنَا بِهِ فَلَمْ نَزَلْ فِيهِ بَعْدُ .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated from ‘Amr bin Shu’aib, from his father, that his grandfather said:
“Rabab bin Hudhaifah (bin Sa’eed) bin Sahm married Umm Wa’il bint Ma’mar Al-Jumahiyyah, and she bore him three sons. Their mother died and her sons inherited her houses and the Wala’ of her freed slaves. ‘Amr bin ‘As took them out to Sham, and they died of the plague of ‘Amwas. ‘Amr inherited from them, and he was their ‘Asabah.* When ‘Amr came back, Banu Ma’mar came to him and they referred their dispute with him concerning the Wala’ of their sister to ‘Umar. ‘Umar said: ‘I will judge between you according to what I heard from the Messenger of Allah (ﷺ). I heard him say: “What the son or father acquires goes to his. ‘Asabah, no matter who they are.’” So he ruled in our favour and wrote a document to that effect, in which was the testimony of ‘Abdur-Rahman bin ‘Awf, Zaid bin Thabit and someone else. Then when ‘Abdul-Malik bin Marwan was appointed caliph, a freed slave of hers (Umm Wa’il’s) died, leaving behind two thousand Dinar. I heard that that ruling had been changed, so they referred the dispute to Hisham bin Isma’il. We referred the matter to ‘Abdul-Malik, and brought him the document of ‘Umar. He said: ‘I thought that this was a ruling concerning which there was no doubt. I never thought that the people of Al-Madinah would reach such a state that they would doubt this ruling. So he ruled in our favour, and it remained like that afterwards.”