৩৯১৩

পরিচ্ছেদঃ ২২০২. খায়বারের যুদ্ধ

৩৯১৩। মুহাম্মদ ইবনুল আলা (রহঃ) ... আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা ইয়ামানে থাকা অবস্থায় আমাদের কাছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিজরতের খবর পৌছলো। তাই আমি ও আমার দু’ভাই আবূ বুরদা ও আবূ রুহম এবং আমাদের কাওমের আরো মোট বায়ান্ন কি তিপ্পান্ন কিংবা আরো কিছু লোকজনসহ আমরা হিজরতের জন্য বেরিয়ে পড়লাম। আমি ছিলাম আমার দু’ ভাইয়ের চেয়ে বয়সে ছোট। আমরা একটি জাহাজে আরোহণ করলাম। জাহাজটি আমাদেরকে আবিসিনিয়া দেশের (বাদশাহ্) নাজ্জাশীর নিকট পৌছিয়ে দিল। সেখানে আমরা জাফর ইবনু আবূ তালিবের সাক্ষাৎ পেলাম এবং তাঁর সাথেই আমরা রয়ে গেলাম। অবশেষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খায়বার বিজয়কালে সকলে (হাবশা থেকে) প্রত্যাবর্তন করে এসে তাঁর সঙ্গে একত্রিত হলাম। এ সময়ে মুসলিমদের কেউ কেউ আমাদেরকে অর্থৎ জাহাজযোগে আগমনকারীদেরকে বললো, হিজরতের ব্যাপারে আমরা তোমাদের অপেক্ষা অগ্রগামী।

আমাদের সাথে আগমনকারী আসমা বিন্‌ত উমায়স একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী হাফসার সাথে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। অবশ্য তিনিও (তাঁর স্বামী জা’ফরসহ) নাজ্জাশী বাদশাহর দেশের হিজরতকারীদের সাথে হিজরত করেছিলেন। আসমা (রাঃ) হাফসার কাছেই ছিলেন। এ সময়ে উমর (রাঃ) তাঁর ঘরে প্রবেশ করলেন। উমর (রাঃ) আসমাকে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, ইনি কে? হাফসা (রাঃ) বললেন, তিনি আসমা বিনত উমায়স (রাঃ)। উমর (রাঃ) বললেন, ইনিই কি হাবশা দেশে হিজরতকারিণী আসমা? ইনিই কি সমুদ্র ভ্রমণকারিণী? আসমা (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ! তখন উমর (রাঃ) বললেন, হিজরতের ব্যাপারে আমরা তোমাদের চেয়ে আগে আছি। সুতরাং তোমাদের তুলনায় আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বেশি ঘনিষ্ঠ।

এতে আসমা (রাঃ) রেগে গেলেন এবং বললেন, কখনো হতে পারে না। আল্লাহর কসম, আপনারা তো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলেন, তিনি আপনাদের ক্ষুধার্তদের আহারের ব্যবস্থা করতেন, আপনাদের মধ্যকার অবুঝ লোকদেরকে সুদুপদেশ দিতেন। আর আমরা ছিলাম এমন এক এলাকায় অথবা তিনি বলেছেন এমন এক দেশে যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বহুদূর এবং সর্বদা শত্রু কবলিত-হাবশা দেশে। আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল এর উদ্দেশ্যেই ছিলো আমাদের এ কুরবানী। আল্লাহর কসম, আমি ততক্ষণ পর্যন্ত কোন খাবার গ্রহণ করবো না এবং পানিও পান করবো না, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি যা বলেছেন তা আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে না জানাব।

সেখানে আমাদেরকে কষ্ট দেয়া হতো, ভয় দেখানো হতো। অচিরেই আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এসব কথা বলবো। এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করবো। তবে আল্লাহর কসম, আমি মিথ্যা বলবো না, ঘুরিয়ে কিংবা এর উপর বাড়িয়েও কিছু বলবো না। এরপর যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসলেন, তখন আসমা (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর নবী! উমর (রাঃ) এসব কথা বলেছেন, তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি তাঁকে কি উত্তর দিয়েছ? আসমা (রাঃ) বললেনঃ আমি তাঁকে এরূপ এরূপ বলেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (এ ব্যাপারে) তোমাদের তুলনায় উমর (রাঃ) আমার বেশি ঘনিষ্ঠ নয়। কারণ উমর (রাঃ) এবং তাঁর সাথীদের তো মাত্র একটিই হিজরত লাভ হয়েছে, আর তোমরা যারা জাহাজে আরোহণকারী ছিলে তাদের দু’টি হিজরত অর্জিত হয়েছে। আসমা (রাঃ) বলেন, এ ঘটনার পর আমি আবূ মূসা (রাঃ) এবং জাহাজযোগে আগমনকারী অন্যদেরকে দেখেছি যে, তাঁরা দলে দলে এসে আমার নিকট থেকে এ হাদীসখানা শুনতেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদের সম্পর্কে যে কথাটি বলেছিলেন এ কথাটি তাদের কাছে এতই প্রিয় ছিল যে, তাঁদের কাছে দুনিয়ার অন্য কোন জিনিস এত প্রিয় ছিল না।

আবূ বুরদা (রাঃ) বলেন যে, আসমা (রাঃ) বলেছেন, আমি আবূ মূসা [আশ্‌আরী (রাঃ)]-কে দেখেছি, তিনি বারবারই আমার কাছ থেকে এ হাদীসটি শুনতে চাইতেন। আবূ বুরদা (রাঃ) আবূ মূসা (রাঃ) থেকে আরো বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আশআরী গোত্রের লোকজন রাতের বেলায় এলেও আমি তাদেরকে তাদের কুরআন তিলাওয়াতের আওয়াজ থেকেই চিনতে পারি। এবং রাতের বেলায় তাদের কুরআন তিলাওয়াত শুনেই আমি তাদের বাড়িঘর চিনে নিতে পারি। যদিও আমি দিনের বেলায় তাদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে দেখিনি। হাকীম ছিলেন আশআরীদের একজন। যখন তিনি কোন দল কিংবা (বর্ণনাকারী বলেছেন) কোন শত্রুর মুকাবিলায় আসতেন তখন তিনি তাদেরকে বলতেন, আমার বন্ধুরা তোমাদের বলেছেন, যেন তোমরা তাঁদের জন্য অপেক্ষা কর।

হাদিস নং - ৪২৩০, ৪২৩১ ও ৪২৩২

باب غَزْوَةُ خَيْبَرَ

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا بُرَيْدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى ـ رضى الله عنه ـ قَالَ بَلَغَنَا مَخْرَجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ بِالْيَمَنِ، فَخَرَجْنَا مُهَاجِرِينَ إِلَيْهِ أَنَا، وَأَخَوَانِ لِي أَنَا أَصْغَرُهُمْ، أَحَدُهُمَا أَبُو بُرْدَةَ، وَالآخَرُ أَبُو رُهْمٍ ـ إِمَّا قَالَ بِضْعٌ وَإِمَّا قَالَ ـ فِي ثَلاَثَةٍ وَخَمْسِينَ أَوِ اثْنَيْنِ وَخَمْسِينَ رَجُلاً مِنْ قَوْمِي، فَرَكِبْنَا سَفِينَةً، فَأَلْقَتْنَا سَفِينَتُنَا إِلَى النَّجَاشِيِّ بِالْحَبَشَةِ، فَوَافَقْنَا جَعْفَرَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَأَقَمْنَا مَعَهُ حَتَّى قَدِمْنَا جَمِيعًا، فَوَافَقْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حِينَ افْتَتَحَ خَيْبَرَ، وَكَانَ أُنَاسٌ مِنَ النَّاسِ يَقُولُونَ لَنَا ـ يَعْنِي لأَهْلِ السَّفِينَةِ ـ سَبَقْنَاكُمْ بِالْهِجْرَةِ، وَدَخَلَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ، وَهْىَ مِمَّنْ قَدِمَ مَعَنَا، عَلَى حَفْصَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم زَائِرَةً، وَقَدْ كَانَتْ هَاجَرَتْ إِلَى النَّجَاشِيِّ فِيمَنْ هَاجَرَ، فَدَخَلَ عُمَرُ عَلَى حَفْصَةَ وَأَسْمَاءُ عِنْدَهَا، فَقَالَ عُمَرُ حِينَ رَأَى أَسْمَاءَ مَنْ هَذِهِ قَالَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ‏.‏ قَالَ عُمَرُ الْحَبَشِيَّةُ هَذِهِ الْبَحْرِيَّةُ هَذِهِ قَالَتْ أَسْمَاءُ نَعَمْ‏.‏ قَالَ سَبَقْنَاكُمْ بِالْهِجْرَةِ، فَنَحْنُ أَحَقُّ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْكُمْ‏.‏ فَغَضِبَتْ وَقَالَتْ كَلاَّ وَاللَّهِ، كُنْتُمْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُطْعِمُ جَائِعَكُمْ، وَيَعِظُ جَاهِلَكُمْ، وَكُنَّا فِي دَارِ أَوْ فِي أَرْضِ الْبُعَدَاءِ الْبُغَضَاءِ بِالْحَبَشَةِ، وَذَلِكَ فِي اللَّهِ وَفِي رَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم وَايْمُ اللَّهِ، لاَ أَطْعَمُ طَعَامًا، وَلاَ أَشْرَبُ شَرَابًا حَتَّى أَذْكُرَ مَا قُلْتَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ كُنَّا نُؤْذَى وَنُخَافُ، وَسَأَذْكُرُ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَسْأَلُهُ، وَاللَّهِ لاَ أَكْذِبُ وَلاَ أَزِيغُ وَلاَ أَزِيدُ عَلَيْهِ‏.‏
فَلَمَّا جَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّ عُمَرَ قَالَ كَذَا وَكَذَا‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَمَا قُلْتِ لَهُ ‏"‏‏.‏ قَالَتْ قُلْتُ لَهُ كَذَا وَكَذَا‏.‏ قَالَ ‏"‏ لَيْسَ بِأَحَقَّ بِي مِنْكُمْ، وَلَهُ وَلأَصْحَابِهِ هِجْرَةٌ وَاحِدَةٌ، وَلَكُمْ أَنْتُمْ أَهْلَ السَّفِينَةِ هِجْرَتَانِ ‏"‏‏.‏ قَالَتْ فَلَقَدْ رَأَيْتُ أَبَا مُوسَى وَأَصْحَابَ السَّفِينَةِ يَأْتُونِي أَرْسَالاً، يَسْأَلُونِي عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ، مَا مِنَ الدُّنْيَا شَىْءٌ هُمْ بِهِ أَفْرَحُ وَلاَ أَعْظَمُ فِي أَنْفُسِهِمْ مِمَّا قَالَ لَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم.
قَالَ أَبُو بُرْدَةَ قَالَتْ أَسْمَاءُ فَلَقَدْ رَأَيْتُ أَبَا مُوسَى وَإِنَّهُ لَيَسْتَعِيدُ هَذَا الْحَدِيثَ مِنِّي‏.‏
قَالَ أَبُو بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنِّي لأَعْرِفُ أَصْوَاتَ رُفْقَةِ الأَشْعَرِيِّينَ بِالْقُرْآنِ، حِينَ يَدْخُلُونَ بِاللَّيْلِ، وَأَعْرِفُ مَنَازِلَهُمْ مِنْ أَصْوَاتِهِمْ بِالْقُرْآنِ بِاللَّيْلِ، وَإِنْ كُنْتُ لَمْ أَرَ مَنَازِلَهُمْ حِينَ نَزَلُوا بِالنَّهَارِ، وَمِنْهُمْ حَكِيمٌ، إِذَا لَقِيَ الْخَيْلَ ـ أَوْ قَالَ الْعَدُوَّ ـ قَالَ لَهُمْ إِنَّ أَصْحَابِي يَأْمُرُونَكُمْ أَنْ تَنْظُرُوهُمْ ‏"‏‏.‏

حدثني محمد بن العلاء، حدثنا ابو اسامة، حدثنا بريد بن عبد الله، عن ابي بردة، عن ابي موسى ـ رضى الله عنه ـ قال بلغنا مخرج النبي صلى الله عليه وسلم ونحن باليمن، فخرجنا مهاجرين اليه انا، واخوان لي انا اصغرهم، احدهما ابو بردة، والاخر ابو رهم ـ اما قال بضع واما قال ـ في ثلاثة وخمسين او اثنين وخمسين رجلا من قومي، فركبنا سفينة، فالقتنا سفينتنا الى النجاشي بالحبشة، فوافقنا جعفر بن ابي طالب فاقمنا معه حتى قدمنا جميعا، فوافقنا النبي صلى الله عليه وسلم حين افتتح خيبر، وكان اناس من الناس يقولون لنا ـ يعني لاهل السفينة ـ سبقناكم بالهجرة، ودخلت اسماء بنت عميس، وهى ممن قدم معنا، على حفصة زوج النبي صلى الله عليه وسلم زاىرة، وقد كانت هاجرت الى النجاشي فيمن هاجر، فدخل عمر على حفصة واسماء عندها، فقال عمر حين راى اسماء من هذه قالت اسماء بنت عميس‏.‏ قال عمر الحبشية هذه البحرية هذه قالت اسماء نعم‏.‏ قال سبقناكم بالهجرة، فنحن احق برسول الله صلى الله عليه وسلم منكم‏.‏ فغضبت وقالت كلا والله، كنتم مع رسول الله صلى الله عليه وسلم يطعم جاىعكم، ويعظ جاهلكم، وكنا في دار او في ارض البعداء البغضاء بالحبشة، وذلك في الله وفي رسوله صلى الله عليه وسلم وايم الله، لا اطعم طعاما، ولا اشرب شرابا حتى اذكر ما قلت لرسول الله صلى الله عليه وسلم ونحن كنا نوذى ونخاف، وساذكر ذلك للنبي صلى الله عليه وسلم واساله، والله لا اكذب ولا ازيغ ولا ازيد عليه‏.‏ فلما جاء النبي صلى الله عليه وسلم قالت يا نبي الله ان عمر قال كذا وكذا‏.‏ قال ‏"‏ فما قلت له ‏"‏‏.‏ قالت قلت له كذا وكذا‏.‏ قال ‏"‏ ليس باحق بي منكم، وله ولاصحابه هجرة واحدة، ولكم انتم اهل السفينة هجرتان ‏"‏‏.‏ قالت فلقد رايت ابا موسى واصحاب السفينة ياتوني ارسالا، يسالوني عن هذا الحديث، ما من الدنيا شىء هم به افرح ولا اعظم في انفسهم مما قال لهم النبي صلى الله عليه وسلم. قال ابو بردة قالت اسماء فلقد رايت ابا موسى وانه ليستعيد هذا الحديث مني‏.‏ قال ابو بردة عن ابي موسى، قال النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اني لاعرف اصوات رفقة الاشعريين بالقران، حين يدخلون بالليل، واعرف منازلهم من اصواتهم بالقران بالليل، وان كنت لم ار منازلهم حين نزلوا بالنهار، ومنهم حكيم، اذا لقي الخيل ـ او قال العدو ـ قال لهم ان اصحابي يامرونكم ان تنظروهم ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Musa:

The news of the migration of the Prophet (from Mecca to Medina) reached us while we were in Yemen. So we set out as emigrants towards him. We were (three) I and my two brothers. I was the youngest of them, and one of the two was Abu Burda, and the other, Abu Ruhm, and our total number was either 53 or 52 men from my people. We got on board a boat and our boat took us to Negus in Ethiopia. There we met Ja`far bin Abi Talib and stayed with him. Then we all came (to Medina) and met the Prophet (ﷺ) at the time of the conquest of Khaibar. Some of the people used to say to us, namely the people of the ship, "We have migrated before you." Asma' bint 'Umais who was one of those who had come with us, came as a visitor to Hafsa, the wife the Prophet (ﷺ) . She had migrated along with those other Muslims who migrated to Negus. `Umar came to Hafsa while Asma' bint 'Umais was with her. `Umar, on seeing Asma,' said, "Who is this?" She said, "Asma' bint 'Umais," `Umar said, "Is she the Ethiopian? Is she the sea-faring lady?" Asma' replied, "Yes." `Umar said, "We have migrated before you (people of the boat), so we have got more right than you over Allah's Messenger (ﷺ) " On that Asma' became angry and said, "No, by Allah, while you were with Allah's Messenger (ﷺ) who was feeding the hungry ones amongst you, and advised the ignorant ones amongst you, we were in the far-off hated land of Ethiopia, and all that was for the sake of Allah's Messenger (ﷺ) . By Allah, I will neither eat any food nor drink anything till I inform Allah's Messenger (ﷺ) of all that you have said. There we were harmed and frightened. I will mention this to the Prophet (ﷺ) and will not tell a lie or curtail your saying or add something to it."

So when the Prophet (ﷺ) came, she said, "O Allah's Prophet `Umar has said so-and-so." He said (to Asma'), "What did you say to him?" Asma's aid, "I told him so-and-so." The Prophet (ﷺ) said, "He (i.e. `Umar) has not got more right than you people over me, as he and his companions have (the reward of) only one migration, and you, the people of the boat, have (the reward of) two migrations." Asma' later on said, "I saw Abu Musa and the other people of the boat coming to me in successive groups, asking me about this narration,, and to them nothing in the world was more cheerful and greater than what the Prophet (ﷺ) had said about them." Narrated Abu Burda:
Asma' said, "I saw Abu Musa requesting me to repeat this narration again and again."

Narrated Abu Burda:
Abu Musa said, "The Prophet (ﷺ) said, "I recognize the voice of the group of Al- Ashariyun, when they recite the Qur'an, when they enter their homes at night, and I recognize their houses by (listening) to their voices when they are reciting the Qur'an at night although I have not seen their houses when they came to them during the day time. Amongst them is Hakim who, on meeting the cavalry or the enemy, used to say to them (i.e. the enemy). My companions order you to wait for them.' "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى)