২৭

পরিচ্ছেদঃ ২১. কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া

২৭। সালামা ইবনু কাইস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তুমি ওযু কর নাকে পানি দিয়ে ঝেড়ে ফেল এবং যখন (পায়খানায়) ঢিলা ব্যবহার কর বেজোড় সংখ্যায় ব্যবহার কর। -সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৪০৬)।

এ অনুচ্ছেদে উসমান, লাকীত ইবনু সাবিরাহ, ইবনু আব্বাস, মিকদাম ইবনু মাদিকারিব, ওয়াইল ইবনু হুজর ও আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে। আবু ঈসা বলেনঃ সালামা ইবনু কাইসের হাদীস হাসান সহীহ।

যে ব্যক্তি কুলি করেনি ও নাকে পানি দেয়নি তার ওযুর পূর্ণতা সম্পর্কে মনীষীদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তাদের মধ্যে এক দলের বক্তব্য হল, যে ব্যক্তি ওযুর সময় কুলি করেনি ও নাকে পানি দেয়নি এ অবস্থায় সে নামায আদায় করলে তাকে দ্বিতীয়বার তা আদায় করতে হবে। তারা ওযু এবং (ওয়াযিব) গোসলের সময় কুলি করা ও নাকে পানি দেয়া অত্যাবশ্যকীয় মনে করেছেন। এ দলে রয়েছেন ইবনু আবী লাইলা, আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক, ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল ও ইসহাক। ইমাম আহমাদ আরো বলেছেন, নাক পরিষ্কার করা কুলি করার চেয়ে বেশী জরুরী।

আবু ঈসা বলেনঃ অন্য এক দল বলেছেন, যদি নাপাকির গোসলে কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া না হয় তবে আবার নামায আদায় করতে হবে; আর যদি ওযুর সময় এটা ছাড়া হয় তাহলে নতুন করে নামায আদায় করতে হবে না। এটা সুফিয়ান সাওরী ও কুফার কিছু লোকের (ইমাম আবু হানীফা ও তার মতানুসারী) বক্তব্য। অপর এক দলের মতে, গোসল অথবা ওযুর সময় এ দুটি কাজ বাদ দিলে নামায নতুন করে আদায় করতে হবে না। কেননা এটা নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত। অতএব কেউ যদি ফরয গোসলে বা ওযুর সময় কুলি না করে এবং নাকে পানি না দেয় আর এই ওযু দিয়ে নামায আদায় করে নেয় তাহলে পুনরায় নামায আদায় করতে হবে না। ইমাম মালিক ও শাফিঈ সর্বশেষ এই অভিমত প্রকাশ করেছেন।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، وَجَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا تَوَضَّأْتَ فَانْتَثِرْ وَإِذَا اسْتَجْمَرْتَ فَأَوْتِرْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُثْمَانَ وَلَقِيطِ بْنِ صَبِرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَالْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ وَوَائِلِ بْنِ حُجْرٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ سَلَمَةَ بْنِ قَيْسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِيمَنْ تَرَكَ الْمَضْمَضَةَ وَالاِسْتِنْشَاقَ فَقَالَتْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ إِذَا تَرَكَهُمَا فِي الْوُضُوءِ حَتَّى صَلَّى أَعَادَ الصَّلاَةَ وَرَأَوْا ذَلِكَ فِي الْوُضُوءِ وَالْجَنَابَةِ سَوَاءً ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ ابْنُ أَبِي لَيْلَى وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ وَقَالَ أَحْمَدُ الاِسْتِنْشَاقُ أَوْكَدُ مِنَ الْمَضْمَضَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَالَتْ طَائِفَةٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يُعِيدُ فِي الْجَنَابَةِ وَلاَ يُعِيدُ فِي الْوُضُوءِ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَبَعْضِ أَهْلِ الْكُوفَةِ ‏.‏ وَقَالَتْ طَائِفَةٌ لاَ يُعِيدُ فِي الْوُضُوءِ وَلاَ فِي الْجَنَابَةِ لأَنَّهُمَا سُنَّةٌ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلاَ تَجِبُ الإِعَادَةُ عَلَى مَنْ تَرَكَهُمَا فِي الْوُضُوءِ وَلاَ فِي الْجَنَابَةِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ مَالِكٍ وَالشَّافِعِيِّ فِي آخِرَةٍ ‏.‏

حدثنا قتيبة بن سعيد، حدثنا حماد بن زيد، وجرير، عن منصور، عن هلال بن يساف، عن سلمة بن قيس، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اذا توضات فانتثر واذا استجمرت فاوتر ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن عثمان ولقيط بن صبرة وابن عباس والمقدام بن معديكرب وواىل بن حجر وابي هريرة ‏.‏ قال ابو عيسى حديث سلمة بن قيس حديث حسن صحيح ‏.‏ واختلف اهل العلم فيمن ترك المضمضة والاستنشاق فقالت طاىفة منهم اذا تركهما في الوضوء حتى صلى اعاد الصلاة وراوا ذلك في الوضوء والجنابة سواء ‏.‏ وبه يقول ابن ابي ليلى وعبد الله بن المبارك واحمد واسحاق ‏.‏ وقال احمد الاستنشاق اوكد من المضمضة ‏.‏ قال ابو عيسى وقالت طاىفة من اهل العلم يعيد في الجنابة ولا يعيد في الوضوء وهو قول سفيان الثوري وبعض اهل الكوفة ‏.‏ وقالت طاىفة لا يعيد في الوضوء ولا في الجنابة لانهما سنة من النبي صلى الله عليه وسلم فلا تجب الاعادة على من تركهما في الوضوء ولا في الجنابة ‏.‏ وهو قول مالك والشافعي في اخرة ‏.‏


Salamah bin Qais narrated that :
Allah's Messenger said: "When you perform Wudu then sniff water in the nose and blow it out, and when you use small stones (to remove filth) then make it odd (numbered)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
১/ পবিত্রতা রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে (كتاب الطهارة عن رسول الله ﷺ)