২৪৫১

পরিচ্ছেদঃ ২৬৫. স্বামীর অনুমতি ব্যতীত স্ত্রীর (নফল) রোযা রাখা।

২৪৫১. উসমান ইবন আবূ শায়বা ..... আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈকা মহিলা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে আগমন করে এবং এ সময় আমরাও তাঁর নিকট উপস্থিত ছিলাম। সে মহিলা বলে, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার স্বামী সাফ্ওয়ান ইবন মু’আত্তাল, যখন আমি নামায পড়ি, তখন আমাকে মারধর করে। আর আমি রোযা রাখলে সে আমাকে রোযা ভাঙ্গতে বলে। অথচ সে সূর্যোদয়ের পূর্বে কখনও ফযরের নামায পড়ে না। রাবী বলেন, সাফওয়ানও তাঁর নিকট উপস্থিত ছিল।

রাবী বলেন, তিনি তার নিকট উক্ত মহিলার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! তার বক্তব্য, ’’আমাকে মারধর করে, যখন আমি নামায আদায় করি।’’ প্রকৃত ব্যাপার এই যে, সে এমন (দীর্ঘ) দু’টি সূরা (নামাযের মধ্যে) পড়ে, যা পড়তে তাকে আমি নিষেধ করি। রাবী বলেন, তিনি ইরশাদ করেন, যদি কেউ (ছোট) একটি সূরা পড়ে, তবে তা তার জন্য যথেষ্ট হবে। আর তার বক্তব্য, ’’আমি রোযা রাখলে সে আমাকে ইফতার করতে বলে।’’ ব্যাপার এই যে, সে সব সময়ই (নফল) রোযা রাখে। আর আমি যুবক হওয়ার কারণে (স্ত্রী সহবাস ব্যতীত) থাকতে পারি না।

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আজ হতে কোন স্ত্রীলোক স্বামীর অনুমতি ব্যতীত (নফল) রোযা রাখতে পারবে না। আর তার বক্তব্য যে, আমি সূর্যোদয়ের পূর্বে (ফজরের) নামায আদায় করি না। এ সম্পর্কে আমার বক্তব্য এই যে, আমরা পানি সরবরাহকারী পরিবারের লোক। রাতের প্রথমভাগে কাজ করি, শেষ রাতে নিদ্রা যাই এবং এটাই আমাদের অভ্যাস। এজন্য আমরা সূর্যোদয় হওয়া ব্যতীত নিদ্রা হতে জাগতে পারি না। তিনি বলেন, তুমি যখনই নিদ্রা হতে জাগ্রত হবে, তখনই নামায পড়ে নিবে।

باب الْمَرْأَةِ تَصُومُ بِغَيْرِ إِذْنِ زَوْجِهَا

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ عِنْدَهُ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ زَوْجِي صَفْوَانَ بْنَ الْمُعَطَّلِ يَضْرِبُنِي إِذَا صَلَّيْتُ وَيُفَطِّرُنِي إِذَا صُمْتُ وَلاَ يُصَلِّي صَلاَةَ الْفَجْرِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ‏.‏ قَالَ وَصَفْوَانُ عِنْدَهُ ‏.‏ قَالَ فَسَأَلَهُ عَمَّا قَالَتْ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمَّا قَوْلُهَا يَضْرِبُنِي إِذَا صَلَّيْتُ فَإِنَّهَا تَقْرَأُ بِسُورَتَيْنِ وَقَدْ نَهَيْتُهَا ‏.‏ قَالَ فَقَالَ ‏"‏ لَوْ كَانَتْ سُورَةً وَاحِدَةً لَكَفَتِ النَّاسَ ‏"‏ ‏.‏ وَأَمَّا قَوْلُهَا يُفَطِّرُنِي فَإِنَّهَا تَنْطَلِقُ فَتَصُومُ وَأَنَا رَجُلٌ شَابٌّ فَلاَ أَصْبِرُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَئِذٍ ‏"‏ لاَ تَصُومُ امْرَأَةٌ إِلاَّ بِإِذْنِ زَوْجِهَا ‏"‏ ‏.‏ وَأَمَّا قَوْلُهَا إِنِّي لاَ أُصَلِّي حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَإِنَّا أَهْلُ بَيْتٍ قَدْ عُرِفَ لَنَا ذَاكَ لاَ نَكَادُ نَسْتَيْقِظُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِذَا اسْتَيْقَظْتَ فَصَلِّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ حَمَّادٌ - يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ - عَنْ حُمَيْدٍ أَوْ ثَابِتٍ عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ ‏.‏

حدثنا عثمان بن ابي شيبة، حدثنا جرير، عن الاعمش، عن ابي صالح، عن ابي سعيد، قال جاءت امراة الى النبي صلى الله عليه وسلم ونحن عنده فقالت يا رسول الله ان زوجي صفوان بن المعطل يضربني اذا صليت ويفطرني اذا صمت ولا يصلي صلاة الفجر حتى تطلع الشمس ‏.‏ قال وصفوان عنده ‏.‏ قال فساله عما قالت فقال يا رسول الله اما قولها يضربني اذا صليت فانها تقرا بسورتين وقد نهيتها ‏.‏ قال فقال ‏"‏ لو كانت سورة واحدة لكفت الناس ‏"‏ ‏.‏ واما قولها يفطرني فانها تنطلق فتصوم وانا رجل شاب فلا اصبر ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم يومىذ ‏"‏ لا تصوم امراة الا باذن زوجها ‏"‏ ‏.‏ واما قولها اني لا اصلي حتى تطلع الشمس فانا اهل بيت قد عرف لنا ذاك لا نكاد نستيقظ حتى تطلع الشمس ‏.‏ قال ‏"‏ فاذا استيقظت فصل ‏"‏ ‏.‏ قال ابو داود رواه حماد - يعني ابن سلمة - عن حميد او ثابت عن ابي المتوكل ‏.‏


Narrated AbuSa'id al-Khudri:

A woman came to the Prophet (ﷺ) while we were with him.

She said: Messenger of Allah, my husband, Safwan ibn al-Mu'attal, beats me when I pray, and makes me break my fast when I keep a fast, and he does not offer the dawn prayer until the sun rises.

He asked Safwan, who was present, about what she had said. He replied: Messenger of Allah, as for her statement "he beats me when I pray", she recites two surahs (during prayer) and I have prohibited her (to do so).

He (the Prophet) said: If one surah is recited (during prayer), that is sufficient for the people.

(Safwan continued:) As regards her saying "he makes me break my fast," she dotes on fasting; I am a young man, I cannot restrain myself.

The Messenger of Allah (ﷺ) said on that day: A woman should not fast except with the permission of her husband.

(Safwan said:) As for her statement that I do not pray until the sun rises, we are a people belonging to a class, and that (our profession of supplying water) is already known about us. We do not awake until the sun rises. He said: When you awake, offer your prayer.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮/ সওম (كتاب الصوم )