৩১৮৪

পরিচ্ছেদঃ ২০৩৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং দাউদকে সুলায়মান দান করলাম (পুত্র হিসেবে) তিনি ছিলেন উত্তম বান্দা এবং অতিশয় আল্লাহ আভিমুখী (৩৮ঃ ৩০) الأَوَّابٌ অর্থ গোনাহ থেকে ফিরে যে আল্লাহ অভিমুখী হয়। মহানা আল্লাহর বাণীঃ “(সুলায়মান) (আঃ) দু’আ করলেন) হে আল্লাহ ! আমাকে দান করুন এমন রাজ্য যার অধিকারী আমি ছাড়া কেউ না হয়। (৩৮ঃ ৩৫) মহান আল্লাহর বাণীঃ আর ইয়াহুদীরা তারই অনুসরণ করত যা সুলায়মানের রাজত্বকালে শয়তানেরা আবৃত্ত করতো (২ঃ ১০২) মহান আল্লাহর বাণীঃ আমি বায়ুকে সুলায়মানের অধীন করে দিলাম। যা সকালে এক মাসের পথ অতিক্রম করত এবং বিকেলে এক মাসের পথ অতিক্রম করত। আর আমি তার জন্য বিগলিত তামার এক প্রসবন প্রবাহিত করেছিলাম। أَسَلْنَا অর্থ বিগলিত করে দিলাম عَيْنَ الْقِطْرِ অর্থ লোহার প্রসবন – আর কতক জিন তার রবের নির্দেশে তার সামনে কাজ করত। তাদের যে কেউ আমার আদেশ অমান্য করে, তাকে জলন্ত আগুনের শাস্তি আস্বাদন করাব। জ্বিনেরা সুলায়মানের ইচ্ছানুযায়ী তার জন্য প্রাসাদ তৈরি করত। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, مَحَارِيبَ অর্থ বড় বড় দালানের তুলনায় ছোট ইমারত ভাস্কর্য শিল্প প্রস্তুত করতো, আর হাউস সদৃশ বৃহদাকার রান্না করার পাত্র তৈরি করত। যেমন উটের জন্য হাওয থাকে। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, যেমন যমিনে গর্ত থাকে। আর তৈরি করত বিশাল বিশাল ডেকচি যা সুদৃঢ়ভাবে স্থাপিত। হে দাউদের পরিবার আমার কৃতজ্ঞতার সাথে তোমরা কাজ কর। আর আমার বান্দাগণের অল্পই শুকুর গুযারী করে (৩৪ঃ ১২-১৩) إِلاَّ دَابَّةُ الأَرْضِ কেবল মাটির পোকা অর্থাৎ উই পোকা যা তার (সুলায়মানের) লাঠি খেতেছিল। مِنْسَأَتَهُ তার লাঠি। যখন সে (সুলায়মান) পড়ে গেল ... লাঞ্চনাদায়ক শাস্তিতে (৩৪ঃ ১৪) মহান আল্লাহর বাণীঃ সম্পদের মোহে আমার রবের স্মরণ থেকে – আয়াতাংশে عَنْ অর্থ مِن - فَطَفِقَ مَسْحًا অর্থ তিনি (সুলায়মান) ঘোড়াগুলোর গর্দানসমূহ ও তাদের হাঁটুর নলাসমূহ কাটতে লাগলেন। الأَصْفَادُ অর্থ শৃঙ্খলসমূহ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, الصَّافِنَاتُ অর্থ দৌড়ের জন্য প্রস্তুত ঘোড়াসমূহ। এ অর্থ صَفَنَ الْفَرَسُ থেকে গৃহীত। ঘোড়া যখন দৌড়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে এক পা উঠিয়ে অন্য পায়ের খুরার উপর দাঁড়িয়ে যায়, তখন এ বাক্য বলা হয়। الْجِيَادُ অর্থ দ্রুতগামী, جَسَدًا শয়তান, رُخَاءً উত্তম, حَيْثُ أَصَابَ যেখানে ইচ্ছা فَامْنُنْ দান করা بِغَيْرِ حِسَابٍ দ্বিধাহীনভাবে (৩৮ঃ ৩১-৩৮)

৩১৮৪। খালিদ ইবনু মাখলাদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সুলায়মান ইবনু দাউদ (আলাইহিস সালাম) বলেছেন, আজ রাতে আমি আমার সত্তর জন্য স্ত্রীর নিকট যাব। প্রত্যেক স্ত্রী একজন করে আশ্বারোহী যোদ্ধা গর্ভধারণ করবে। এরা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করবে। তখন তাঁর সাথী বললেন, ইন্‌শা আল্লাহ (বলুন)। কিন্তু তিনি মুখে তা বলেন নি। এরপর একজন স্ত্রী ব্যতীত কেউ গর্ভধারণ করলেন, না। সে যাও এক (পুত্র) সন্তান প্রসব করলেন। তাও তার এক অঙ্গ ছিল না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তিনি যদি ’ইন্‌শা আল্লাহ’ মুখে বলতেন, তা হলে (সবগুলো সন্তানই জন্ম নিত এবং) আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতো। শু’আয়ব এবং আবূ যিনাদ (রহঃ) এখানে নব্বই জন্য স্ত্রীর কথা উল্লেখ করেছেন আর এটাই সঠিক বর্ণনা।

بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَوَهَبْنَا لِدَاوُدَ سُلَيْمَانَ نِعْمَ الْعَبْدُ إِنَّهُ أَوَّابٌ الرَّاجِعُ الْمُنِيبُ، وَقَوْلُهُ: {هَبْ لِي مُلْكًا لاَ يَنْبَغِي لأَحَدٍ مِنْ بَعْدِي} وَقَوْلُهُ: {وَاتَّبَعُوا مَا تَتْلُوا الشَّيَاطِينُ عَلَى مُلْكِ سُلَيْمَانَ}، {وَلِسُلَيْمَانَ الرِّيحَ غُدُوُّهَا شَهْرٌ وَرَوَاحُهَا شَهْرٌ وَأَسَلْنَا لَهُ عَيْنَ الْقِطْرِ} أَذَبْنَا لَهُ عَيْنَ الْحَدِيدِ {وَمِنَ الْجِنِّ مَنْ يَعْمَلُ بَيْنَ يَدَيْهِ} إِلَى قَوْلِهِ: {مِنْ مَحَارِيبَ} قَالَ مُجَاهِدٌ بُنْيَانٌ مَا دُونَ الْقُصُورِ {وَتَمَاثِيلَ وَجِفَانٍ كَالْجَوَابِ} كَالْحِيَاضِ لِلإِبِلِ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: كَالْجَوْبَةِ مِنَ الأَرْضِ {وَقُدُورٍ رَاسِيَاتٍ} إِلَى قَوْلِهِ: {الشَّكُورُ}، {فَلَمَّا قَضَيْنَا عَلَيْهِ الْمَوْتَ مَا دَلَّهُمْ عَلَى مَوْتِهِ إِلاَّ دَابَّةُ الأَرْضِ} الأَرَضَةُ {تَأْكُلُ مِنْسَأَتَهُ} عَصَاهُ {فَلَمَّا خَرَّ} إِلَى قَوْلِهِ: {الْمُهِينِ}، {حُبَّ الْخَيْرِ عَنْ ذِكْرِ رَبِّي}، {فَطَفِقَ مَسْحًا بِالسُّوقِ وَالأَعْنَاقِ} يَمْسَحُ أَعْرَافَ الْخَيْلِ وَعَرَاقِيبَهَا الأَصْفَادُ الْوَثَاقُ. قَالَ مُجَاهِدٌ: {الصَّافِنَاتُ} صَفَنَ الْفَرَسُ رَفَعَ إِحْدَى رِجْلَيْهِ حَتَّى تَكُونَ عَلَى طَرَفِ الْحَافِرِ. {الْجِيَادُ} السِّرَاعُ. {جَسَدًا} شَيْطَانًا. {رُخَاءً} طَيِّبَةً، {حَيْثُ أَصَابَ} حَيْثُ شَاءَ. {فَامْنُنْ} أَعْطِ. {بِغَيْرِ حِسَابٍ} بِغَيْرِ حَرَجٍ

حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا مُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ لأَطُوفَنَّ اللَّيْلَةَ عَلَى سَبْعِينَ امْرَأَةً تَحْمِلُ كُلُّ امْرَأَةٍ فَارِسًا يُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، فَقَالَ لَهُ صَاحِبُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ‏.‏ فَلَمْ يَقُلْ، وَلَمْ تَحْمِلْ شَيْئًا إِلاَّ وَاحِدًا سَاقِطًا إِحْدَى شِقَّيْهِ ‏"‏‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَوْ قَالَهَا لَجَاهَدُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ ‏"‏‏.‏ قَالَ شُعَيْبٌ وَابْنُ أَبِي الزِّنَادِ ‏"‏ تِسْعِينَ ‏"‏‏.‏ وَهْوَ أَصَحُّ‏.‏

حدثنا خالد بن مخلد، حدثنا مغيرة بن عبد الرحمن، عن ابي الزناد، عن الاعرج، عن ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ قال سليمان بن داود لاطوفن الليلة على سبعين امراة تحمل كل امراة فارسا يجاهد في سبيل الله، فقال له صاحبه ان شاء الله‏.‏ فلم يقل، ولم تحمل شيىا الا واحدا ساقطا احدى شقيه ‏"‏‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لو قالها لجاهدوا في سبيل الله ‏"‏‏.‏ قال شعيب وابن ابي الزناد ‏"‏ تسعين ‏"‏‏.‏ وهو اصح‏.‏


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "Solomon (the son of) David said, 'Tonight I will sleep with seventy ladies each of whom will conceive a child who will be a knight fighting for "Allah's Cause.' His companion said, 'If Allah will.' But Solomon did not say so; therefore none of those women got pregnant except one who gave birth to a half child." The Prophet (ﷺ) further said, "If the Prophet (ﷺ) Solomon had said it (i.e. 'If Allah will') he would have begotten children who would have fought in Allah's Cause." Shuaib and Ibn Abi Az-Zinad said, "Ninety (women) is more correct (than seventy).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ আম্বিয়া কিরাম (আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء)