৩১৭৫

পরিচ্ছেদঃ ২০৩২. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর নিশ্চয়ই ইউনুস রাসুলগনের অন্তর্গত ছিলেন। ... তখন তিন নিজকে ধিক্কার দিতে লাগলেন। (৩৭ঃ ১৩৯-১৪২) মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, مليم অর্থ অপরাধী المشحرون অরহ বোঝাই নৌযান। (আল্লাহর বাণীঃ) যদি তিনি আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা না করতেন ...। (৩৭ঃ ১৪৩) তারপতকে ইউনুসকে আমি নিক্ষেপ করলাম একত তৃনহীন প্রান্তরে এবং তিনি তখন রুগ্ন ছিলেন। পরে আমি তার উপর এক লাউ গাছ উদ্গত করলাম। (৩৭ঃ ১৪৫- ১৪৬) العراء অর্থ যমিনের উপরিভাগ। يقطين অর্থ কান্ডবিহীন তৃনলতা, যেমন লাউগাছ ও তার সদৃশ। (মহান আল্লাহর বাণীঃ) তাকে আমি এক লাখ বা ততোধিক লোকের প্রতি প্রেরন করেছিলাম এবং তারা ঈমান এনেছিল। ফলে আমি তাদেরকে কিছু কালের জন্য জীবন উপভোগ করতে দিলাম। (৩৭ঃ ১৪৭-৪৮) (মহান আল্লাহর বাণীঃ) আপনি মাছের সাথীর ন্যায় অধৈর্য হবেন না। তিনি বিষদাচ্ছন্ন অবস্থায় কাতর-প্রারথনা করেছিলেন। (৬৮ঃ ৪৮) كظيم অর্থ বিষাদাচ্ছন্ন।

৩১৭৫। ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার এক ইয়াহুদী তার কিছু দ্রব্য সামগ্রী বিক্রির জন্য পেশ করছিল, তার বিনিময়ে তাঁকে এমন কিছু দেওয়া হল যা সে পছন্দ করল না। তখন সে বললো, না! সেই সত্তার কসম, যে মূসা (আলাইহিস সালাম) কে মানব জাতির উপর মর্যাদা দান করেছেন। এ কথাটি একজন আনসারী (মুসলিম) শুনলেন, তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন, আর তার (ইয়াহুদীর) মুখের উপর এক চড় মারলেন। আর বললেন, তুমি বলছো, সেই সত্তার কসম! যিনি মূসাকে মানব জাতির উপর মর্যাদা দান করেছেন অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে বিদ্যমান। তখন সে ইয়াহুদী লোকটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গেলো এবং বললো, হে আবূল কাসিম। নিশ্চয়ই আমার জন্য নিরাপত্তা এবং আহাদ রয়েছে অর্থাৎ আমি একজন যিম্মি। অতএব অমুক ব্যাক্তির কি হল, কি কারণে সে আমার মুখে চড় মারলো?

তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, কেন তুমি তার মুখে চড় মারলে? আনসারী ব্যাক্তি ঘটনাটি বর্ণনা করলো। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগান্বিত হলেন। এমনকি তার চেহারায় তা প্রকাশ পেল। তারপর তিনি বললেন, আল্লাহর নবীগণের মধ্যে কাউকে কারো উপর (অন্যকে হেয় করে) মর্যাদা দান করো না। কেননা কিয়ামতের দিন যখন শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়া হবে, তখন আল্লাহ যাকে চাইবেন সে ব্যতিত আসমান ও যমীনের বাকী সবাই বেহুশ হয়ে যাবে। তারপর দ্বিতীয়বার তাতে ফুঁক দেওয়া হবে। তখন সর্বপ্রথম আমাকেই উঠানো হবে। তখনই আমি দেখতে পাব মূসা (আলাইহিস সালাম) আরশ ধরে রয়েছেন। আমি জানিনা, তূর পর্বতের ঘটনার দিন তিনি যে বেহুশ হয়েছিলেন, এটা কি তারই বিনিময়, না আমারই আগে তাঁকে উঠানো হয়েছে? আর আমি এ কথাও বলি না যে কোন ব্যাক্তি ইউনুস ইবনু মাত্তার চেয়ে অধিক মর্যাদাবান।

باب قول الله تعالى وإن يونس لمن المرسلين إلى قوله وهو مليم قال مجاهد مذنب المشحون الموقر فلولا أنه كان من المسبحين الآية فنبذناه بالعراء بوجه الأرض وهو سقيم وأنبتنا عليه شجرة من يقطين من غير ذات أصل الدباء ونحوه وأرسلناه إلى مائة ألف أو يزيدون فآمنوا فمتعناهم إلى حين ولا تكن كصاحب الحوت إذ نادى وهو مكظوم كظيم وهو مغموم

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ بَيْنَمَا يَهُودِيٌّ يَعْرِضُ سِلْعَتَهُ أُعْطِيَ بِهَا شَيْئًا كَرِهَهُ‏.‏ فَقَالَ لاَ وَالَّذِي اصْطَفَى مُوسَى عَلَى الْبَشَرِ، فَسَمِعَهُ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَامَ، فَلَطَمَ وَجْهَهُ، وَقَالَ تَقُولُ وَالَّذِي اصْطَفَى مُوسَى عَلَى الْبَشَرِ، وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَظْهُرِنَا فَذَهَبَ إِلَيْهِ، فَقَالَ أَبَا الْقَاسِمِ، إِنَّ لِي ذِمَّةً وَعَهْدًا، فَمَا بَالُ فُلاَنٍ لَطَمَ وَجْهِي‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ لِمَ لَطَمْتَ وَجْهَهُ ‏"‏‏.‏ فَذَكَرَهُ، فَغَضِبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى رُئِيَ فِي وَجْهِهِ، ثُمَّ قَالَ ‏"‏ لاَ تُفَضِّلُوا بَيْنَ أَنْبِيَاءِ اللَّهِ، فَإِنَّهُ يُنْفَخُ فِي الصُّورِ، فَيَصْعَقُ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ وَمَنْ فِي الأَرْضِ، إِلاَّ مَنْ شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ يُنْفَخُ فِيهِ أُخْرَى، فَأَكُونُ أَوَّلَ مَنْ بُعِثَ فَإِذَا مُوسَى آخِذٌ بِالْعَرْشِ، فَلاَ أَدْرِي أَحُوسِبَ بِصَعْقَتِهِ يَوْمَ الطُّورِ أَمْ بُعِثَ قَبْلِي -‏ وَلَا أَقُولُ إِنَّ أَحَدًا أَفْضَلُ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى"‏‏.‏

حدثنا يحيى بن بكير، عن الليث، عن عبد العزيز بن ابي سلمة، عن عبد الله بن الفضل، عن الاعرج، عن ابي هريرة ـ رضى الله عنه ـ قال بينما يهودي يعرض سلعته اعطي بها شيىا كرهه‏.‏ فقال لا والذي اصطفى موسى على البشر، فسمعه رجل من الانصار فقام، فلطم وجهه، وقال تقول والذي اصطفى موسى على البشر، والنبي صلى الله عليه وسلم بين اظهرنا فذهب اليه، فقال ابا القاسم، ان لي ذمة وعهدا، فما بال فلان لطم وجهي‏.‏ فقال ‏"‏ لم لطمت وجهه ‏"‏‏.‏ فذكره، فغضب النبي صلى الله عليه وسلم حتى رىي في وجهه، ثم قال ‏"‏ لا تفضلوا بين انبياء الله، فانه ينفخ في الصور، فيصعق من في السموات ومن في الارض، الا من شاء الله، ثم ينفخ فيه اخرى، فاكون اول من بعث فاذا موسى اخذ بالعرش، فلا ادري احوسب بصعقته يوم الطور ام بعث قبلي -‏ ولا اقول ان احدا افضل من يونس بن متى"‏‏.‏


Narrated Abu Huraira:

Once while a Jew was selling something, he was offered a price that he was not pleased with. So, he said, "No, by Him Who gave Moses superiority over all human beings!" Hearing him, an Ansari man got up and slapped him on the face and said, "You say: By Him Who Gave Moses superiority over all human beings although the Prophet (Muhammad) is present amongst us!" The Jew went to the Prophet and said, "O Abu-l-Qasim! I am under the assurance and contract of security, so what right does so-and-so have to slap me?" The Prophet (ﷺ) asked the other, "Why have you slapped". He told him the whole story. The Prophet (ﷺ) became angry, till anger appeared on his face, and said, "Don't give superiority to any prophet amongst Allah's Prophets, for when the trumpet will be blown, everyone on the earth and in the heavens will become unconscious except those whom Allah will exempt. The trumpet will be blown for the second time and I will be the first to be resurrected to see Moses holding Allah's Throne. I will not know whether the unconsciousness which Moses received on the Day of Tur has been sufficient for him, or has he got up before me. And I do not say that there is anybody who is better than Yunus bin Matta."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ আম্বিয়া কিরাম (আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء)