১৭৭৮

পরিচ্ছেদঃ ২১. হজ্জে ইফরাদ।

১৭৭৮. সুলায়মান ইবন হারব (রহঃ) ...... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে যিলহাজ্জের নতুন চাঁদ উদয়ের কিছু আগে রওনা হলাম। যুলহুলায়ফাতে পৌঁছে তিনি বলেন, যে কেউ হজ্জের ইহরাম বাঁধতে পায়, সে যেন তা বাঁধে আর যদি কেউ উমরার ইহরাম বাঁধতে চায় তবে সে যেন তা-ই করে।

উহাইবের সূত্রে মূসা কতৃৃর্ক বর্ণিত হাদীসে আছে, যদি আমার সাথে কুরবানীর পশু না থাকত, তবে আমি উমরার জন্য ইহরাম বাঁতাম। আর হাম্মাদ ইবন সালামের বর্ণনায় আছে, আমি (উমরার সাথে) হজ্জের ইহরাম বাঁধলাম। কেনানা আমার সাথে কুরবানীর পশু আছে। এরপর উভয় হাদীসের বর্ণনাকারী একমত হয়ে (হাদীসের বাকী অংশ) বর্ণনা করেন।

এরপর আমি (আয়েশা) ছিলাম উমরার ইহরাধারী দলভূক্ত। পথিমধ্যে আমার হায়েয শুরু হল এবং আমি কাঁদতে লাগলাম। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে আমি বলি, যদি আমি এ বছর (হজ্জে) বের না হতাম, তবে ভাল ছিল। তখন তিনি বলেন, তোমার উমরা ত্যাগ কর, তোমার মাথার চুল খুলে ফেল এবং চিরুনি কর, এবং (রাবী মূসার বর্ণনা মতে) হজ্জের ইহরাম বাঁধ। রাবী সুলায়মানের বর্ণনায় আছে এবং মুসলিমেরা তাদের হজ্জে যা করে তুমিও তা-ই কর (তাওয়াফ ব্যতীত)।

এরপর তাওয়াফে যিয়ারার রাতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুর রহমান (রাঃ)-কে (আয়েশার ভাই) নির্দেশ দিলে তিনি তাঁকে তানঈম নামক স্থানে যান। রাবী মূসার বর্ণনায় আরো আছে, এরপর তিনি (আয়েশা) তাঁর পূরববর্তী উমরার পরিবর্তে (নতুন) উমরার জন্য ইহরাম বাঁধেন। এরপর তিনি বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ করেন এবং আল্লাহ্ তাঁর হজ্জ ও উমরা পূর্ণ করেন। রাবী হিশামের বর্ণনায় আছে, আর এরূপ করার জন্য তাঁর উপর কুরবানী ওয়াজিব হয়নি। রাবী মুহাম্মদ ইবন সালামার হাদীসে আরও বর্ণনা করেছেন যে, বাতহার (মিনায় অবস্থানের) রাতে তিনি (হায়েয থেকে) পবিত্র হন।

باب فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُوَافِينَ هِلاَلَ ذِي الْحِجَّةِ فَلَمَّا كَانَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ قَالَ ‏"‏ مَنْ شَاءَ أَنْ يُهِلَّ بِحَجٍّ فَلْيُهِلَّ وَمَنْ شَاءَ أَنْ يُهِلَّ بِعُمْرَةٍ فَلْيُهِلَّ بِعُمْرَةٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ مُوسَى فِي حَدِيثِ وُهَيْبٍ ‏"‏ فَإِنِّي لَوْلاَ أَنِّي أَهْدَيْتُ لأَهْلَلْتُ بِعُمْرَةٍ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ فِي حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ ‏"‏ وَأَمَّا أَنَا فَأُهِلُّ بِالْحَجِّ فَإِنَّ مَعِيَ الْهَدْىَ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ اتَّفَقُوا فَكُنْتُ فِيمَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ فَلَمَّا كَانَ فِي بَعْضِ الطَّرِيقِ حِضْتُ فَدَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَبْكِي فَقَالَ ‏"‏ مَا يُبْكِيكِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ وَدِدْتُ أَنِّي لَمْ أَكُنْ خَرَجْتُ الْعَامَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ ارْفُضِي عُمْرَتَكِ وَانْقُضِي رَأْسَكِ وَامْتَشِطِي ‏"‏ ‏.‏ قَالَ مُوسَى ‏"‏ وَأَهِلِّي بِالْحَجِّ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ سُلَيْمَانُ ‏"‏ وَاصْنَعِي مَا يَصْنَعُ الْمُسْلِمُونَ فِي حَجِّهِمْ ‏"‏ ‏.‏ فَلَمَّا كَانَ لَيْلَةُ الصَّدَرِ أَمَرَ - يَعْنِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - عَبْدَ الرَّحْمَنِ فَذَهَبَ بِهَا إِلَى التَّنْعِيمِ ‏.‏ زَادَ مُوسَى فَأَهَلَّتْ بِعُمْرَةٍ مَكَانَ عُمْرَتِهَا وَطَافَتْ بِالْبَيْتِ فَقَضَى اللَّهُ عُمْرَتَهَا وَحَجَّهَا ‏.‏ قَالَ هِشَامٌ وَلَمْ يَكُنْ فِي شَىْءٍ مِنْ ذَلِكَ هَدْىٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ زَادَ مُوسَى فِي حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الْبَطْحَاءِ طَهُرَتْ عَائِشَةُ رضى الله عنها ‏.‏

حدثنا سليمان بن حرب، قال حدثنا حماد بن زيد، ح وحدثنا موسى بن اسماعيل، حدثنا حماد يعني ابن سلمة، ح وحدثنا موسى، حدثنا وهيب، عن هشام بن عروة، عن ابيه، عن عاىشة، انها قالت خرجنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم موافين هلال ذي الحجة فلما كان بذي الحليفة قال ‏"‏ من شاء ان يهل بحج فليهل ومن شاء ان يهل بعمرة فليهل بعمرة ‏"‏ ‏.‏ قال موسى في حديث وهيب ‏"‏ فاني لولا اني اهديت لاهللت بعمرة ‏"‏ ‏.‏ وقال في حديث حماد بن سلمة ‏"‏ واما انا فاهل بالحج فان معي الهدى ‏"‏ ‏.‏ ثم اتفقوا فكنت فيمن اهل بعمرة فلما كان في بعض الطريق حضت فدخل على رسول الله صلى الله عليه وسلم وانا ابكي فقال ‏"‏ ما يبكيك ‏"‏ ‏.‏ قلت وددت اني لم اكن خرجت العام ‏.‏ قال ‏"‏ ارفضي عمرتك وانقضي راسك وامتشطي ‏"‏ ‏.‏ قال موسى ‏"‏ واهلي بالحج ‏"‏ ‏.‏ وقال سليمان ‏"‏ واصنعي ما يصنع المسلمون في حجهم ‏"‏ ‏.‏ فلما كان ليلة الصدر امر - يعني رسول الله صلى الله عليه وسلم - عبد الرحمن فذهب بها الى التنعيم ‏.‏ زاد موسى فاهلت بعمرة مكان عمرتها وطافت بالبيت فقضى الله عمرتها وحجها ‏.‏ قال هشام ولم يكن في شىء من ذلك هدى ‏.‏ قال ابو داود زاد موسى في حديث حماد بن سلمة فلما كانت ليلة البطحاء طهرت عاىشة رضى الله عنها ‏.‏


Ai’shah said :
We went out along with The Messenger of Allah (SWAS) when the moon of the month of Dhu al-Hijja was going to appear shortly. When he reached Dhu al-Hulaifah he said : Anyone who wants to perform Hajj should raise his voice in Talbiyah for Hajj (after wearing Ihram); and he who wants to perform `Umrah should raise his voice in talbiyah for an `Umrah. The narrator Musa in the version of Wuhaib reported him (the Prophet) as saying if there were no sacrificial animals with me, I would raise my voice in talbiyah for an `Umrah. But according to the version of Hammad bin Salamah, he said as for myself, I shall raise my voice in talbiyah for Hajj because I have sacrificial animal with me. The agreed version goes I (Ai’shah) was one of those persons who wore Ihram for an ‘Umrah. But on my way (to Makkah) I menstruated. The Messenger of Allah (SWAS) entered upon me while I was weeping. He asked why are you weeping? I wished I would not come out (for Hajj) this year. He said give up your `Umrah; untie your hair and comb. The version of Musa said and raise your voice in talbiyah for Hajj (after wearing Ihram). Sulaiman’s version goes and do as all the Muslims do during their Hajj. When the night for performing the obligatory circumambulation (tawaf al-Ziyarah) came, the Messenger of Allah (SWAS) commanded `Abd al-Rahman. He took her to al-Tan’im (instead of the words “her ‘Umrah”). She went round the Ka’bah. Allah thus completed both her ‘Umrah and Hajj.

Hisham said : No sacrificial animal was offered during all this time.

In the version of Hammad bin Salamah, the narrator Musa added when the night of al-Batha came Ai’ shah was purified.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫/ হাজ্জ (হজ্জ/হজ) (كتاب المناسك)