১৮২৪

পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে

৮/১৮২৪। আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’দাজ্জালের আবির্ভাব হলে মুমীনদের মধ্য থেকে একজন মুমিন তার দিকে অগ্রসর হবে। তখন [পথিমধ্যে] দাজ্জালের সশস্ত্র প্রহরীদের সাথে তার দেখা হবে। তারা তাকে জিজ্ঞাসা করবে, ’কোন্ দিকে যাবার ইচ্ছা করছ?’ সে উত্তরে বলবে, ’যে ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটেছে, তার কাছে যেতে চাচ্ছি।’ তারা তাকে বলবে, ’তুমি কি আমাদের প্রভুর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর না?’ সে উত্তর দেবে, ’আমাদের প্রভু [আল্লাহ তো] গুপ্ত নন যে, [অন্য কাউকে প্রভু বানিয়ে মানতে লাগব]।’ [এরূপ শুনে] তারা বলবে, ’একে হত্যা করে দাও।’ তখন তারা নিজেদের মধ্যে একে অপরকে বলবে, ’তোমাদের প্রভু কি তোমাদেরকে নিষেধ করেননি যে, তোমরা তার বিনা অনুমতিতে কাউকে হত্যা করবে না?’

ফলে তারা ঐ মুমীনকে ধরে দাজ্জালের কাছে নিয়ে যাবে। যখন মুমিন দাজ্জালকে দেখতে পাবে, তখন সে [স্বতঃস্ফূর্তভাবে] বলে উঠবে, ’হে লোক সকল! এই সেই দাজ্জাল, যার সম্পর্কে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলোচনা করতেন।’ তখন দাজ্জাল তার জন্য আদেশ দেবে যে, ’ওকে উপুড় করে শোয়ানো হোক।’ তারপর বলবে, ’ওকে ধরে ওর মুখে-মাথায় প্রচন্ডভাবে আঘাত কর।’ সুতরাং তাকে মেরে মেরে তার পেট ও পিঠ চওড়া করে দেওয়া হবে। তখন সে [দাজ্জাল] প্রশ্ন করবে, ’তুমি আমার প্রতি বিশ্বাস রাখ?’ সে উত্তর দেবে, ’তুই তো মহা মিথ্যাবাদী মসীহ।’ সুতরাং তার সম্পর্কে আবার আদেশ দেওয়া হবে, ফলে তার মাথার সিঁথির উপর করাত রেখে তাকে দ্বিখন্ড করে দেওয়া হবে; এমনকি তার পা-দুটোকে আলাদা করে দেওয়া হবে। তারপর দাজ্জাল তার দেহ খন্ডদ্বয়ের মাঝখানে হাঁটতে থাকবে এবং বলবে, ’উঠ।’

সুতরাং সে [মুমীন] উঠে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে! দাজ্জাল আবার তাকে প্রশ্ন করবে, ’তুমি কি আমার প্রতি ঈমান আনছ?’ সে জবাব দেবে, ’তোর সম্পর্কে তো আমার ধারণা আরও দৃঢ় হয়ে গেল।’ তারপর মুমিন বলবে, ’হে লোক সকল! আমার পরে ও অন্য কারো সাথে এরূপ [নির্মম] আচরণ করতে পারবে না।’ সুতরাং দাজ্জাল তাকে যবেহ করার মানসে ধরবে। কিন্তু আল্লাহ তার ঘাড় থেকে কণ্ঠাস্থি পর্যন্ত তামায় পরিণত করে দেবেন। ফলে দাজ্জাল তাকে যবেহ করার কোন উপায় খুঁজে পাবে না। তারপর তার হাত-পা ধরে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। তখন লোকে ধারণা করবে যে, সে তাকে আগুনে নিক্ষেপ করল। কিন্তু [বাস্তবে] তাকে জান্নাতে নিক্ষেপ করা হবে।’’ অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’বিশ্বচরাচরের পালনকর্তার নিকট ঐ ব্যক্তিই সবার চেয়ে বড় শহীদ।’’ [মুসলিম, ইমাম বুখারী অনুরূপ অর্থে এর কিছু অংশ বর্ণনা করেছেন।] [1]

(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدرِيِّ رضي الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «يَخْرُجُ الدَّجَّالُ فَيَتَوجَّهُ قِبَلَهُ رَجُلٌ مِنَ المُؤمِنِينَ فَيَتَلَقَّاهُ المَسَالِحُ : مَسَالِحُ الدَّجَّال . فَيقُولُونَ لَهُ : إِلَى أَيْنَ تَعْمِدُ ؟ فَيَقُولُ : أَعْمِدُ إِلَى هَذَا الَّذِي خَرَجَ . فَيَقُولُونَ لَهُ : أَوَمَا تُؤْمِنُ بِرَبِّنَا ؟ فَيَقُولُ : مَا بِرَبِّنَا خَفَاءٌ ! فَيَقُولُونَ : اقْتُلُوهُ . فَيقُولُ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ : أَلَيْسَ قَدْ نَهَاكُمْ رَبُّكُمْ أَنْ تَقْتُلُوا أَحَداً دُونَهُ ؟ فَيَنْطَلِقُونَ بِهِ إِلَى الدَّجَّالِ، فَإِذَا رَآهُ المُؤْمِنُ قَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ هَذَا الدَّجَّالَ الَّذِي ذَكَرَ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم ؛ فَيَأمُرُ الدَّجَّالُ بِهِ فَيُشَبَّحُ ؛ فَيَقُولُ : خُذُوهُ وَشُجُّوهُ . فَيُوسَعُ ظَهْرُهُ وَبَطْنُهُ ضَرْباً، فَيَقُولُ : أَوَمَا تُؤْمِنُ بِي ؟ فَيَقُولُ : أَنْتَ المَسِيحُ الكَذَّابُ ! فَيُؤْمَرُ بِهِ، فَيُؤْشَرُ بِالمنْشَارِ مِنْ مَفْرِقِهِ حَتَّى يُفَرِّقَ بَيْنَ رِجْلَيْهِ . ثُمَّ يَمْشِي الدَّجَّالُ بَيْنَ القِطْعَتَيْنِ ثُمَّ يَقُولُ لَهُ : قُمْ، فَيَسْتَوِي قَائِماً . ثُمَّ يَقُولُ لَهُ : أَتُؤْمِنُ بِي ؟ فَيَقُولُ : مَا ازْدَدْتُ فِيكَ إِلاَّ بَصِيرَةً . ثُمَّ يَقُولُ : يَا أَيُّهَا النَّاسُ إنَّهُ لاَ يَفْعَلُ بَعْدِي بِأَحَدٍ مِنَ النَّاسِ ؛ فَيَأخُذُهُ الدَّجَّالُ لِيَذْبَحَهُ، فَيَجْعَلُ اللهُ مِا بَيْنَ رَقَبَتِهِ إلَى تَرْقُوَتِهِ نُحَاساً، فَلاَ يَسْتَطِيعُ إِلَيهِ سَبِيلاً، فَيَأخُذُهُ بِيَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ فَيَقْذِفُ بِهِ، فَيَحْسَبُ النَّاسُ أَنَّهُ قَذَفَهُ إلَى النَّارِ، وَإِنَّمَا أُلْقِيَ فِي الجَنَّةِ» . فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم :«هَذَا أَعْظَمُ النَّاس شَهَادَةً عِندَ رَبِّ العَالَمِينَ» . رواه مسلم . وروى البخاري بعضه بمعناه .

وعن ابي سعيد الخدري رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «يخرج الدجال فيتوجه قبله رجل من المومنين فيتلقاه المسالح : مسالح الدجال . فيقولون له : الى اين تعمد ؟ فيقول : اعمد الى هذا الذي خرج . فيقولون له : اوما تومن بربنا ؟ فيقول : ما بربنا خفاء ! فيقولون : اقتلوه . فيقول بعضهم لبعض : اليس قد نهاكم ربكم ان تقتلوا احدا دونه ؟ فينطلقون به الى الدجال، فاذا راه المومن قال: يا ايها الناس، ان هذا الدجال الذي ذكر رسول الله صلى الله عليه وسلم ؛ فيامر الدجال به فيشبح ؛ فيقول : خذوه وشجوه . فيوسع ظهره وبطنه ضربا، فيقول : اوما تومن بي ؟ فيقول : انت المسيح الكذاب ! فيومر به، فيوشر بالمنشار من مفرقه حتى يفرق بين رجليه . ثم يمشي الدجال بين القطعتين ثم يقول له : قم، فيستوي قاىما . ثم يقول له : اتومن بي ؟ فيقول : ما ازددت فيك الا بصيرة . ثم يقول : يا ايها الناس انه لا يفعل بعدي باحد من الناس ؛ فياخذه الدجال ليذبحه، فيجعل الله ما بين رقبته الى ترقوته نحاسا، فلا يستطيع اليه سبيلا، فياخذه بيديه ورجليه فيقذف به، فيحسب الناس انه قذفه الى النار، وانما القي في الجنة» . فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم :«هذا اعظم الناس شهادة عند رب العالمين» . رواه مسلم . وروى البخاري بعضه بمعناه .

(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour


Abu Sa'id Al-Khudri (May Allah be pleased with him) reported:
I heard the Prophet (ﷺ) saying, "Dajjal (the Antichrist) will come forth and a person from amongst the believers will go towards him and the armed watchmen of Dajjal will meet him and they will say to him: 'Where do you intend to go?' He will say: 'I intend to go to this one who has appeared.' They will say to him: 'Don't you believe in our lord (meaning Dajjal)?' He will say: 'There (i.e., we know Him to be Allah, Alone, without any partners) is nothing hidden about our Rubb.' Some of them will say: 'Let us kill him', but some others will say: 'Has your lord (Dajjal) not forbidden you to kill anyone without his consent?' So they will take him to Dajjal. When the believer will see him, he will say: 'O people! This is Dajjal about whom the Messenger of Allah (ﷺ) has informed us.' Dajjal will have him laid on his stomach and have his head. He will be struck on his back and on his stomach. Dajjal will ask him: 'Don't you believe in me?' He will say: 'You are the false Messiah.' He will then give his order to have him sawn with a saw into two from the parting of his hair up to his legs. After that Dajjal will walk between the two halves and will say to him: 'Stand up', and he will stand on his feet. He will then say to him: 'Don't you believe in me?' The person will say: 'It has added to my insight that you are Dajjal'. He will add: 'O people! He will not be able to behave with anyone amongst people in such a manner after me.' Dajjal will try to kill him. The space between his neck and collarbone will turn into copper and he will find no way to kill him. So he will catch hold of him by his hand and feet and throw him into (what appears to be the fire). The people will think that he has been thrown into the fire whereas he will be thrown into Jannah." The Messenger of Allah (ﷺ) added, "He will be the most eminent amongst the people with regard to martyrdom near the Rubb of the worlds."

[Muslim]

Commentary: In this narration we find the description of a believer's steadfastness and forbearance and his final martyrdom while facing the wickedness and temptation of the mischief of Dajjal, i.e., Antichrist.
Here, we find that the part of his neck will turn into copper which could either happen in reality or, according to another interpretation, that he (Dajjal) will not be able to kill him. Allah knows better, as Allah can do whatever He likes, or it may just be a statement like a parable or a simile and some people think that this refers to the fact that Dajjal will not be able to cut his neck. But it is better to consider it in terms of reality


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৮/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ (كتاب المنثورات والملح)