১৬৭৭

পরিচ্ছেদঃ ৩০৩ : গণক, জ্যোতিষী ইত্যাদি ভবিষ্যদ্বক্তার নিকট গমন নিষেধ

যারা কাঁকর, যবদানা ইত্যাদি মেরে [ফালনামা খুলে বা হাত চালিয়ে বা হস্তরেখা পড়ে অথবা রাশি গণনা করে] ভাগ্য-ভবিষ্যৎ তথা অজানা ও গায়েবী বিষয়ের খবর বলে, তাদের নিকট এসে ঐ শ্রেণীর কিছু জিজ্ঞাসা করা বৈধ নয়।


১/১৬৭৭। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কিছু লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গণকদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, ’’ওরা অপদার্থ।’’ [অর্থাৎ ওদের কথার কোন মূল্য নেই]। তারা নিবেদন করল, ’হে আল্লাহর রাসূল! ওরা তো কখনো কখনো আমাদেরকে কোন জিনিস সম্পর্কে বলে, আর তা সত্য ঘটে যায়।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’এই সত্য কথাটি জ্বিন [ফিরিশ্তার নিকট থেকে] ছোঁ মেরে নিয়ে তার ভক্তের কানে পৌঁছে দেয়। তারপর সে ঐ [একটি সত্য] কথার সাথে একশ’টি মিথ্যা মিশিয়ে দেয়।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

বুখারীর অন্য এক বর্ণনায় আছে, যা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন যে, ’’ফিরিশ্তাবর্গ আল্লাহর বিধানসমূহ নিয়ে মেঘমালার অভ্যন্তরে অবতরণ করেন এবং সে সব কথাবার্তা আলোচনা করেন, যার সিদ্ধান্ত আসমানে হয়েছে। সুতরাং শয়তান অতি সংগোপনে লুকিয়ে তা শুনে ফেলে এবং ভবিষ্যৎ-বক্তা গণকদের মনে প্রক্ষিপ্ত করে। তারপর তার সাথে তারা নিজেদের পক্ষ থেকে একশত মিথ্যা মিশ্রণ করে তা প্রচার করে।’’

بَابُ النَّهْيِ عَنْ إِتْيَانِ الْكُهَّانِ وَالْمُنَجِّمِيْنَ وَالعَرَّافِ وَأَصْحَابِ الرَّمْلِ، وَالطَّوَارِقِ بِالْحَصٰى وَالشَّعِيْرِ وَنَحْوِ ذٰلِكَ

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ : سَأَلَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أُنَاسٌ عَنِ الكُهَّانِ، فَقَالَ: «لَيْسُوا بِشَيءٍ» فَقَالُوا : يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّهُمْ يُحَدِّثُونَا أَحْيَاناً بِشَيءٍ، فَيَكُونُ حَقّاً ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «تِلْكَ الكَلِمَةُ مِنَ الحَقِّ يَخْطَفُهَا الجِنِّيُّ فَيَقُرُّهَا فِي أُذُنِ وَلِيِّهِ، فَيَخْلِطُونَ مَعَهَا مئَةَ كَذْبَةٍ». متفق عليه
وَفِي رِوَايَةٍ لِلبُخَارِيِّ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا : أَنَّها سَمِعَتْ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : إِنَّ المَلائِكَةَ تَنْزِلُ فِي العَنَانِ - وَهُوَ السَّحَابُ - فَتَذْكُرُ الأَمْرَ قُضِيَ فِي السَّماءِ، فَيَسْتَرِقُ الشَّيْطَانُ السَّمْعَ، فَيَسْمَعُهُ، فَيُوحِيهِ إلَى الكُهَّانِ، فَيَكْذِبُونَ مَعَهَا مِئَةَ كَذْبَةٍ مِنْ عِنْدِ أَنْفُسِهِمْ

عن عاىشة رضي الله عنها، قالت : سال رسول الله صلى الله عليه وسلم اناس عن الكهان، فقال: «ليسوا بشيء» فقالوا : يا رسول الله صلى الله عليه وسلم انهم يحدثونا احيانا بشيء، فيكون حقا ؟ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «تلك الكلمة من الحق يخطفها الجني فيقرها في اذن وليه، فيخلطون معها مىة كذبة». متفق عليه وفي رواية للبخاري عن عاىشة رضي الله عنها : انها سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ان الملاىكة تنزل في العنان - وهو السحاب - فتذكر الامر قضي في السماء، فيسترق الشيطان السمع، فيسمعه، فيوحيه الى الكهان، فيكذبون معها مىة كذبة من عند انفسهم

(303) Chapter: Prohibition of Consultation with Soothsayers


'Aishah (May Allah be pleased with her) said:
Some people asked the Messenger of Allah (ﷺ) about soothsayers. He (ﷺ) said, "They are of no account." Upon this they said to him, "O Messenger of Allah! But they sometimes make true predictions." Thereupon the Messenger of Allah (ﷺ) said, "That is a word pertaining to truth which a jinn snatches (from the angels) and whispers into the ears of his friend (the soothsayers) who will then mix more than a hundred lies with it."

[Al-Bukhari and Muslim].

The narration in Al-Bukhari is: "The angels descend in the clouds and mention matters which has been decreed in heaven; Satan steals a hearing (listens to it stealthily) and communicates it to the soothsayers who tell along with it a hundred lies."


Commentary: Kahin (soothsayer), Munajjim (astrologer) and Arraf (foreteller) have similar characteristics but with a slight difference. All of them make predictions about the future. Kahin would overhear some jinn and disclose the secret to people which would sometimes prove true, because the jinn's source of information was Satan who sometimes stole away some information from the angels. But after the annunciation of the Prophet (PBUH) it was made impossible for jinns and satans to overhear anything in the skies. Moreover, Kahin and others of his ilk would make predictions on the basis of certain signs and circumstantial evidence which could go wrong or right. This is so even to this day. Astrological prediction is also a form of foretelling but this is often wrong. Al-`Irafah, or what is known to be as divination is also an indication of some future occurrence on the basis of certain causes and events. All the three occult arts supplement each other and also take the help of similar other things. In other words, these are all different forms of soothsaying. Geomancy also tries to tell about the invisible future. At-Tarq is the art of taking omen by striking birds with gravel on their wings or by throwing barley, etc., before them. In the latter formula, if a bird flies towards the right side, it would be a good omen; and if it goes towards the left it will be a bad one. All such things are unlawful and have been strictly forbidden by Islam. If anything predicted by these means comes by chance true, it does not furnish any justification for their validity.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৭/ নিষিদ্ধ বিষয়াবলী (كتاب الأمور المنهي عنها)