৫১৬৬

পরিচ্ছেদঃ ৬৭/৬৮. ওয়ালীমাহ একটি অধিকার।

وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ عَوْفٍ قَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ.

’আবদুর রহমান ইবনু ’আওফ (রাঃ) বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, ওয়ালীমার ব্যবস্থা কর, একটি বকরী দিয়ে হলেও।


৫১৬৬. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় আসেন তখন আমার বয়স দশ বছর ছিল। আমার মা, চাচী ও ফুফুরা আমাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খাদিম হবার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন। এরপর আমি দশ বছরকাল তাঁর খেদমত করি। যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তিকাল হয় তখন আমার বয়স ছিল বিশ বছর। আমি পর্দা সম্পর্কে অন্যদের চেয়ে অধিক জানি। পর্দা সম্পর্কীয় প্রাথমিক আয়াতসমূহ যয়নাব বিনতে জাহাশ (রাঃ)-এর সঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাসর রাত যাপনের সময় অবতীর্ণ হয়েছিল। সেদিন সকাল বেলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুলহা ছিলেন এবং লোকদেরকে ওয়ালীমার দাওয়াত করলেন। সুতরাং তাঁরা এসে খানা খেলেন। কিছু লোক ব্যতীত সবাই চলে গেলেন। তাঁরা দীর্ঘ সময় অবস্থান করলেন।

তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠে বাইরে গেলেন। আমিও তাঁর পিছু পিছু চলে এলাম, যাতে করে অন্যেরাও বের হয়ে আসে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামনের দিকে এগিয়ে গেলেন, এমন কি তিনি ’আয়িশাহ (রাঃ)-এর কক্ষের নিকট পর্যন্ত গেলেন, এরপরে বাকি লোকগুলো হয়ত চলে গেছে এ কথা ভেবে তিনি ফিরে এলেন, আমিও তাঁর সঙ্গে ফিরে এলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাইনাব (রাঃ)-এর কক্ষে প্রবেশ করে দেখতে পেলেন যে, লোকগুলো বসে রয়েছে- চলে যায়নি। সুতরাং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুনরায় বাইরে বেরুলেন এবং আমি তাঁর সঙ্গে এলাম। যখন আমরা ’আয়িশাহ (রাঃ)-এর কক্ষের নিকট পর্যন্ত পৌঁছলাম, তিনি ভাবলেন যে, এতক্ষণে হয়ত লোকগুলো চলে গেছে। তিনি ফিরে এলেন। আমিও তাঁর সঙ্গে ফিরে এসে দেখলাম যে, লোকগুলো চলে গেছে। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ও তাঁর মাঝখানে একটি পর্দা টেনে দিলেন। এ সময় পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হল। [৪৭৯১](আধুনিক প্রকাশনী- ৪৭৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৮৮)

بَاب الْوَلِيمَةُ حَقٌّ

يَحْيٰى بْنُ بُكَيْرٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَّه“ كَانَ ابْنَ عَشْرِ سِنِينَ مَقْدَمَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ فَكَانَ أُمَّهَاتِي يُوَاظِبْنَنِي عَلٰى خِدْمَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَخَدَمْتُه“ عَشْرَ سِنِينَ وَتُوُفِّيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا ابْنُ عِشْرِينَ سَنَةً فَكُنْتُ أَعْلَمَ النَّاسِ بِشَأْنِ الْحِجَابِ حِينَ أُنْزِلَ وَكَانَ أَوَّلَ مَا أُنْزِلَ فِي مُبْتَنٰى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِزَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ أَصْبَحَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِهَا عَرُوسًا فَدَعَا الْقَوْمَ فَأَصَابُوا مِنَ الطَّعَامِ ثُمَّ خَرَجُوا وَبَقِيَ رَهْطٌ مِنْهُمْ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَطَالُوا الْمُكْثَ فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ وَخَرَجْتُ مَعَه“ لِكَيْ يَخْرُجُوا فَمَشَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَمَشَيْتُ حَتّٰى جَاءَ عَتَبَةَ حُجْرَةِ عَائِشَةَ ثُمَّ ظَنَّ أَنَّهُمْ خَرَجُوا فَرَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَه“ حَتّٰى إِذَا دَخَلَ عَلٰى زَيْنَبَ فَإِذَا هُمْ جُلُوسٌ لَمْ يَقُوْمُوا فَرَجَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَرَجَعْتُ مَعَه“ حَتّٰى إِذَا بَلَغَ عَتَبَةَ حُجْرَةِ عَائِشَةَ وَظَنَّ أَنَّهُمْ خَرَجُوا فَرَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَه“ فَإِذَا هُمْ قَدْ خَرَجُوا فَضَرَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَيْنِي وَبَيْنَه“ بِالسِّتْرِ وَأُنْزِلَ الْحِجَابُ.

يحيى بن بكير قال حدثني الليث عن عقيل عن ابن شهاب قال اخبرني انس بن مالك انه“ كان ابن عشر سنين مقدم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة فكان امهاتي يواظبنني على خدمة النبي صلى الله عليه وسلم فخدمته“ عشر سنين وتوفي النبي صلى الله عليه وسلم وانا ابن عشرين سنة فكنت اعلم الناس بشان الحجاب حين انزل وكان اول ما انزل في مبتنى رسول الله صلى الله عليه وسلم بزينب بنت جحش اصبح النبي صلى الله عليه وسلم بها عروسا فدعا القوم فاصابوا من الطعام ثم خرجوا وبقي رهط منهم عند النبي صلى الله عليه وسلم فاطالوا المكث فقام النبي صلى الله عليه وسلم فخرج وخرجت معه“ لكي يخرجوا فمشى النبي صلى الله عليه وسلم ومشيت حتى جاء عتبة حجرة عاىشة ثم ظن انهم خرجوا فرجع ورجعت معه“ حتى اذا دخل على زينب فاذا هم جلوس لم يقوموا فرجع النبي صلى الله عليه وسلم ورجعت معه“ حتى اذا بلغ عتبة حجرة عاىشة وظن انهم خرجوا فرجع ورجعت معه“ فاذا هم قد خرجوا فضرب النبي صلى الله عليه وسلم بيني وبينه“ بالستر وانزل الحجاب.


Narrated Anas bin Malik:

I was ten years old when Allah's Messenger (ﷺ) arrived at Medina. My mother and aunts used to urge me to serve the Prophet (ﷺ) regularly, and I served him for ten years. When the Prophet (ﷺ) died I was twenty years old, and I knew about the order of Al-Hijab (veiling of ladies) more than any other person when it was revealed. It was revealed for the first time when Allah's Messenger (ﷺ) had consummated his marriage with Zainab bint Jahsh. When the day dawned, the Prophet (ﷺ) was a bridegroom and he invited the people to a banquet, so they came, ate, and then all left except a few who remained with the Prophet (ﷺ) for a long time. The Prophet (ﷺ) got up and went out, and I too went out with him so that those people might leave too. The Prophet (ﷺ) proceeded and so did I, till he came to the threshold of `Aisha's dwelling place. Then thinking that these people have left by then, he returned and so did I along with him till he entered upon Zainab and behold, they were still sitting and had not gone. So the Prophet (ﷺ) again went away and I went away along with him. When we reached the threshold of `Aisha's dwelling place, he thought that they had left, and so he returned and I too, returned along with him and found those people had left. Then the Prophet (ﷺ) drew a curtain between me and him, and the Verses of Al-Hijab were revealed.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৭/ বিয়ে (كتاب النكاح)